আজকাল ওয়েবডেস্ক: ইতিহাস গড়তে চলেছে লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগ (এলপিএল)। টুর্নামেন্টের আয়োজকরা সোমবার ঘোষণা করেছেন, টুর্নামেন্টের আসন্ন ষষ্ঠ সংস্করণে প্রথমবারের মতো ভারতীয় ক্রিকেটাররা অংশ নেবেন। ১ ডিসেম্বর থেকে শুরু হবে এই টি-টোয়েন্টি প্রতিযোগিতা। যা চলবে তিনটি আন্তর্জাতিক ভেন্যুতে। তালিকায় থাকছে কলম্বোর প্রেমাদাসা আন্তর্জাতিক স্টেডিয়াম, ক্যান্ডির পাল্লেকেলে আন্তর্জাতিক স্টেডিয়াম এবং দাম্বুলার রঙ্গিরি দাম্বুলা আন্তর্জাতিক স্টেডিয়াম। এক সরকারি বিবৃতিতে আয়োজকরা জানিয়েছেন, ‘এটি হবে এক ঐতিহাসিক আসর। প্রথমবার ভারতীয় ক্রিকেটাররা এলপিএলে যোগ দিচ্ছেন।

তাঁদের নাম খুব শীঘ্রই প্রকাশ করা হবে, যা নিঃসন্দেহে ভক্তদের মধ্যে নতুন উত্তেজনা যোগ করবে।’ এই আসরে মোট ২৪টি ম্যাচ হবে। ২০টি লিগ পর্বের খেলা এবং ৪টি নকআউট ম্যাচ। ফরম্যাট অনুযায়ী, পাঁচটি ফ্র্যাঞ্চাইজি একে অপরের বিরুদ্ধে দুইবার করে খেলবে। লিগ পর্ব শেষে সেরা চারটি দল যাবে প্লে-অফে। প্লে-অফের প্রথম ম্যাচ কোয়ালিফায়ার ওয়ান অনুষ্ঠিত হবে লিগ টেবিলের প্রথম ও দ্বিতীয় স্থানে থাকা দলের মধ্যে। এর বিজয়ী সরাসরি ফাইনালে উঠবে। তৃতীয় ও চতুর্থ স্থানে থাকা দলের মধ্যে হবে এলিমিনেটর, যার বিজয়ী মুখোমুখি হবে কোয়ালিফায়ার ওয়ানে পরাজিত দলের সঙ্গে কোয়ালিফায়ার টুয়ে।

সেই ম্যাচে জেতা দলই পাবে ফাইনালের দ্বিতীয় টিকিট। এলপিএলের টুর্নামেন্ট ডিরেক্টর সামান্থা দোদানওয়েলা বলেন, ‘এই সংস্করণের সময়সূচি এমনভাবে নির্ধারণ করা হয়েছে যাতে খেলোয়াড়রা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের বড় মরশুমের আগে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি ও অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারেন।’ তিনি আরও যোগ করেন, ‘বিগত কয়েকটি আসরে এলপিএল তরুণ প্রতিভাদের জন্য এক উৎকৃষ্ট মঞ্চ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এবারও আমরা আশা করছি, বেশ কিছু নতুন মুখ উঠে আসবে, যারা আগামী বিশ্বকাপের আগে আন্তর্জাতিক মঞ্চে চমক দেখাতে সক্ষম হবে।’

ক্রিকেট মহলের মতে, ভারতীয় ক্রিকেটারদের অংশগ্রহণের ফলে এই বছর এলপিএলের জনপ্রিয়তা আরও কয়েকগুণ বাড়বে এবং এটি ভারত–শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট সম্পর্কের ক্ষেত্রেও একটি নতুন অধ্যায় সূচনা করবে। উল্লেখ্য, সামনেই অস্ট্রেলিয়ার বিগ ব্যাশ লিগে সিডনি থান্ডার্সের হয়ে খেলতে চলেছেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। বিগ ব্যাশ লিগে খেলার জন্য আগে থেকেই কথাবার্তা চলছিল ৩৮ বছর বয়সি স্পিনারের।

জানা গিয়েছিল, ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার সিইও টড গ্রিনবার্গ নাকি অশ্বিনের সঙ্গে কথা বলতে শুরু করে দিয়েছিলেন। একটি ক্রিকেট বিষয়ক ওয়েবসাইটকে তিনি বলেন, ‘অশ্বিনের মতো স্বনামধন্য প্লেয়ারকে বিবিএলে পেলে আমাদের অনেক দিক থেকে লাভ হবে। ও চ্যাম্পিয়ন ক্রিকেটার। ওর আগমনে বিগ ব্যাশ লিগ আরও সমৃদ্ধ হবে।’‌ অশ্বিনও জানিয়েছিলেন তিনি এই বিষয়ে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে কথা বলা শুরু করেছেন।

বিবিএল’ও যথেষ্ট আগ্রহী প্রাক্তন ভারতীয় অফস্পিনারকে নিয়ে। কারণ ভারতীয় তারকারা বিগ ব্যাশে খেলেন না। আর প্রথম ভারতীয় হিসেবে অশ্বিন খেললে বিবিএলের জনপ্রিয়তা আরও বৃদ্ধি পাবে। প্রসঙ্গত, জল্পনা ছিল অবসরের পর অশ্বিনের পরবর্তী গন্তব্য হতে পারে ইংল্যান্ডের দ্য হান্ড্রেড লিগ। তারপর শোনা গিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা লিগে তিনি খেলতে পারেন।