আয়রন আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় খনিজ। রক্তে হিমোগ্লোবিন গঠনের জন্য আয়রনের ভূমিকা অপরিসীম। তবে অনেক সময় রক্তাল্পতা বা শরীরে আয়রনের ঘাটতি পূরণ করতে সাপ্লিমেন্ট খেতে হয়। যা চিকিৎসকের পরামর্শ মেনেই খাওয়া উচিত। নচেৎ শরীরে দেখা দিতে পারে নানা ধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া।বিশেষজ্ঞদের মতে, এর মধ্যে তিনটি সমস্যা সবচেয়ে বেশি দেখা যায়। তবে সঠিক জীবনযাপন ও খাদ্যাভ্যাসে সামান্য পরিবর্তন আনলেই এই সমস্যাগুলো নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।
কোষ্ঠকাঠিন্য: আয়রন সাপ্লিমেন্ট খাওয়ার পর অনেক সময় মল শক্ত হয়ে যায় এবং কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে। হজমতন্ত্রে আয়রন পুরোপুরি শোষিত না হয়ে অন্ত্রে জমে জল শোষণ করে নেয়, ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দেয়।
বমিভাব ও অস্বস্তি: খালি পেটে বা বেশি ডোজে আয়রন সাপ্লিমেন্ট খেলে পেটে জ্বালা, বমিভাব কিংবা খাবারের প্রতি অনীহা তৈরি হতে পারে। হজমের সময় আয়রন পাকস্থলীর আস্তরণে প্রভাব ফেলায় এউ ধরনের সমস্যা দেখা দেয়।
মলের রং কালো হয়ে যাওয়া: আয়রন শোষিত না হলে তার অতিরিক্ত অংশ মলের সঙ্গে বার হয়ে যায়। এতে মল গাঢ় বাদামী বা কালো রঙের হয়ে ওঠে। সাধারণত এটি ক্ষতিকারক নয়, তবে যদি রক্তের সঙ্গে মিশে যায় বা অন্য উপসর্গ যুক্ত হয়, তবে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন।
কীভাবে সামলাবেন
কোষ্ঠকাঠিন্য রোধে ফাইবারসমৃদ্ধ খাবার যেমন ফল, শাকসবজি, ওটস ইত্যাদি খাওয়া উচিত। পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পান করা এবং প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শে স্টুল সফটনার ব্যবহার করা যেতে পারে।

বমিভাব এড়াতে খালি পেটে নয়, খাবারের সঙ্গে আয়রন ট্যাবলেট খেতে হবে। একবারে বড় ডোজ না নিয়ে ভাগ করে নেওয়া ভাল। প্রয়োজনে তরল আয়রন সাপ্লিমেন্ট ব্যবহার করা যেতে পারে।
মলের রং পরিবর্তন হলে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। তবে যদি এর সঙ্গে পেট ব্যথা, রক্তক্ষরণ, অস্বাভাবিক দুর্বলতা বা ওজন কমে যায়, তাহলে অবিলম্বে চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করা উচিত।
বিশেষজ্ঞদের মতে, সঠিক ডোজ মেনে এবং খাবারের সঙ্গে আয়রন সাপ্লিমেন্ট নিলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই গুরুতর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া এড়ানো যায়। তাই চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া নিজে থেকে আয়রন সাপ্লিমেন্ট শুরু করা উচিত নয়।
