আজকাল ওয়েবডেস্ক: দাপটের সঙ্গে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ অভিযান শুরু করল গতবারের চ্যাম্পিয়ন পিএসজি। ঘরের মাঠে আটালান্টাকে ৪–০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে লুইস এনরিকের ছেলেরা। অন্যদিকে দিনের সবথেকে আকর্ষণীয় ম্যাচে ক্লাব বিশ্বকাপ জয়ী চেলসিকে হারাল বায়ার্ন মিউনিখ। নিজেদের ম্যাচ জিতল লিভারপুলও।
আরও পড়ুন: পাইক্রফ্টের পর সূর্যকেও নিশানা করল পাক ক্রিকেট বোর্ড, তুলে দেওয়া হল একাধিক অভিযোগ
বুধবার রাতে ফ্রান্সের পার্ক দে প্রিন্সেসে ইতালির ক্লাব আটালান্টাকে ৪–০ গোলে হারাল প্যারিস সাঁ জাঁ। ম্যাচের ৩ মিনিটেই প্রথম গোল করেন অধিনায়ক মারকুয়েজ। এর পর নিয়মিত ব্যবধানে গোল করতে থাকে গতবারের চ্যাম্পিয়নরা। ৩১ মিনিটে খভিচা খভারাতসখেলিয়া দ্বিতীয় গোলটি করেন। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ব্যবধান বাড়িয়ে নেয় পিএসজি। ৫১ তম মিনিটে বারকোলার পাস থেকে নুনো মেন্ডেজ চমৎকার ফিনিশিংয়ে স্কোরলাইন করেন ৩–০। ইনজুরি টাইমে আটালান্টার ডিফেন্ডারের ভুলে পাওয়া বল থেকে গনসালো রামোস সহজ সুযোগ কাজে লাগিয়ে চতুর্থ গোলটি করেন।
আরও পড়ুন: সুপার ফোরে সলমনরা, রবিবার এশিয়া কাপে ফের ভারত–পাক
তবে বুধবার যে ম্যাচের দিকে সবচেয়ে বেশি নজর ছিল ফুটবলবিশ্বের সেটা হল বায়ার্ন মিউনিখ বনাম চেলসি। হেভিওয়েটদের লড়াইয়ে চেলসিকে ৩–১ গোলে হারাল জার্মান ক্লাবটি। আলিয়াঞ্জ অ্যারিনায় ম্যাচের ২০ মিনিটে আত্মঘাতী গোল করে বসেন চেলসি ডিফেন্ডার ট্রেভর চালোবা। মিনিট সাতেক বাদে আবার বায়ার্ন পেনাল্টি পেয়ে যায়। এবার বক্সে হ্যারি কেনকে ফাউল করেন কাইসেডো। স্পট থেকে গোল করতে ভুল করেননি কেন। এরপর অবশ্য পাল্টা আঘাত হানে চেলসিও। ২৯ মিনিটে কোল পালমারের গোলে ব্যবধান কমায় লন্ডনের ক্লাবটি। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে চেলসিকে আর প্রত্যাবর্তনের সুযোগ দেয়নি বায়ার্ন। একের পর এক আক্রমণে তাঁরা বিদ্ধ করেন চেলসিকে। ৬৩ মিনিটে ফের গোল পান কেন। এই গোলের ফলে নয়া রেকর্ডের মালিক হন কেন। রোনাল্ডো এবং নেইমারের পর তৃতীয় ফুটবলার হিসেবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে দুটি ক্লাবের হয়ে ২০ টির বেশি গোল করলেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক।
আরও পড়ুন: পাইক্রফ্ট ক্ষমা চেয়ে নেওয়ায় গলল বরফ, সব ভুলে মাঠে নামল পাকিস্তান ...
অন্যদিকে টানটান উত্তেজনার ম্যাচে দিয়েগো সিমিওনের অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদকে হারাল লিভারপুল। ঘরের মাঠে লিভারপুল জিতল ৩–২ গোলে। বুধবার রাতে অ্যানফিল্ডে আটলেটিকো মাদ্রিদের বিপক্ষে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক মেজাজে খেলে লিভারপুল। তারা দ্রুতই ২–০ গোলে এগিয়ে যায়। কিন্তু এরপর প্রত্যাবর্তন করে স্পেনের ক্লাবটি। প্রথমার্ধের ইনজুরি টাইম এবং ম্যাচের ৮১ মিনিটে গোল করে সমতা ফেরান লরেন্তে। কিন্তু শেষ মুহূর্তে ভ্যান ডাইক জিতিয়ে দেন লিভারপুলকে।
