আজকাল ওয়েবডেস্ক: ভারতে বিনিয়োগের জন্য বিকল্প হিসেবে ব্যাঙ্ক ফিক্সড ডিপোজিট এবং অন্যান্য ক্ষুদ্র সঞ্চয় প্রকল্পগুলি বেশ জনপ্রিয়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও এই বিনিয়োগ বিকল্পগুলিতে বিশ্বাস করেন এবং সেই কারণেই তিনি তাঁর কষ্টার্জিত জীবনের বেশিরভাগ সঞ্চয় এই বিকল্পগুলিতে বিনিয়োগ করেছেন। 

৩১ মার্চ ২০২৫ তারিখ পর্যন্ত তাঁর ঘোষিত সম্পদ অনুযায়ী, মোদি সবচেয়ে বেশি বিনিয়োগ করেছেন ব্যাংক ফিক্সড ডিপোজিট (এফডি) এবং জাতীয় সঞ্চয় শংসাপত্রে (এনএসসি)। তাঁর মোট সম্পদের পরিমাণ ৩ কোটি ৪৩ লক্ষ টাকা। এক বছর আগে যা ছিল ৩ কোটি ২ লক্ষ টাকা। ২০১৯ সালের সাধারণ নির্বাচনের সময় এটি ছিল আড়াই কোটি টাকা। তাঁর হাতে নগদ ৫৯ হাজার ৯২০ টাকা রয়েছে।

আরও পড়ুন: ভারতের নির্বাচনে রাজনৈতিক দল নয় ‘নোটা’ই আসল সমাধান? গণতন্ত্রের শক্তি না কি দুর্বলতা?

ফিক্সড ডিপোজিট

মোদি সবচেয়ে বেশি ব্যাঙ্কে ফিক্সড ডিপোজিটকে বিশ্বাস করেন। তাঁর ৩ কোটি ২৬ লক্ষ ৩৪ হাজার ২৫৮ টাকার এফডি রয়েছে। এই টাকা গান্ধীনগরের এসবিআই শাখায় জমা আছে। 

জাতীয় সঞ্চয় শংসাপত্র (NSC)

ক্ষুদ্র সঞ্চয় প্রকল্প জাতীয় সঞ্চয় শংসাপত্র (NSC)-এও টাকা রাখা আছে প্রধানমন্ত্রীর। তিনি এই প্রকল্পে ৯ লক্ষ ৭৪ হাজার ৯৬৪ টাকা বিনিয়োগ করেছেন। NSC হল একটি পোস্ট অফিস স্কিম যার মেয়াদ পাঁচ বছর। এটি বার্ষিক ৭.৭% সুদ প্রদান করে। এটি পোস্ট অফিসের যে কোনও শাখায় খোলা যেতে পারে। এই প্রকল্পে বিনিয়োগ করলে আয়কর আইনের ধারা ৮০C এর অধীনে কর সুবিধাও পাওয়া যায়।

গয়না

তাঁর কাছে চারটি সোনার আংটি রয়েছে। মোট ওজন ৪৫ গ্রাম। মূল্য আনুমানিক ৩ লক্ষ ১০ হাজার ৩৬৫ টাকা।

ব্যাঙ্কে আমানত

গুজরাটের গান্ধীনগরের স্টেট ব্যাঙ্কে ১১০৪ টাকা জমা রয়েছে। ওই ব্যাঙ্কেই তাঁর ফিক্সড ডিপোজিট রয়েছে ৩ কোটি ২৬ লক্ষ ৩৪ হাজার ২৫৮ টাকার।

আরও পড়ুন: বিহার বিধানসভা ভোট থেকেই ইভিএমের নকশা বদল করল নির্বাচন কমিশন, জেনে নিন এর বিশেষত্ব

মিউচুয়াল ফান্ড, বন্ড

তিনি মিউচুয়াল ফান্ড, বন্ড, ডিবেঞ্চার বা শেয়ারে এক টাকাও বিনিয়োগ করেননি।

টিডিএস (ট্যাক্স ডিডাক্টেড অ্যাট সোর্স)

এছাড়াও, তার বেতন, বিনিয়োগ এবং আয় থেকে টিডিএস হিসেবে ১৬৮,৬৮৮ টাকা কেটে নেওয়া হয়েছে। এফডি থেকে অর্জিত সুদ ২২০,২১৮ টাকা।

প্রধানমন্ত্রী মোদীর সম্পদ কত বেড়েছে?

২০১৪ সালের নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী মোদি তাঁর সম্পদের পরিমাণ ১ কোটি ৬৫ লক্ষ টাকা ঘোষণা করেছিলেন। ২০১৯ সালের নির্বাচনে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছিল আড়াই কোটি টাকা। ২০২৪ সালে দাখিল করা হলফনামা অনুযায়ী, তাঁর সম্পদের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ কোটি ২ লক্ষ টাকায়। এখন তার মোট সম্পদের পরিমাণ ৩ কোটি ৪৩ লক্ষ ৬৯ হাজার ৫১৭ টাকা। এর অর্থ হল গত ১১ বছরে তাঁর সম্পদ দ্বিগুণেরও বেশি বেড়েছে এবং মাত্র এক বছরে ৪৩ লক্ষ টাকা বেড়েছে।

তাঁর আয়ের উৎস কী?

হলফনামা অনুসারে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আয়ের প্রাথমিক উৎস হল তাঁর সরকারি বেতন এবং তাঁর সঞ্চয়ের উপর অর্জিত সুদ।