বলিউডের আসন্ন রোম্যান্টিক–কমেডি ‘সানি সংস্কারী কি তুলসি কুমারী’ ঘিরে ইতিমধ্যেই উত্তেজনা তুঙ্গে। বরুণ ধাওয়ান, জাহ্নবী কাপুর, সানিয়া মালহোত্রা ও রোহিত সরাফকে নিয়ে গড়ে উঠেছে ছবির ঝলমলে তারকাবাহিনী। তবে ছবির ট্রেলার লঞ্চের মঞ্চেই সামনে এল এমন এক গল্প, যা শুনে মুহূর্তে চমকে উঠলেন সকলে। বরুণ স্বীকার করলেন, তিনি নিজে জীবনে একবার ‘ব্যবহৃত’ হয়েছিলেন—এবং সেটা করেছিলেন দেশের তাবড় এক সুপারমডেল!
বরুণের সেই অবিশ্বাস্য অভিজ্ঞতা শুনে ইতিমধ্যেই ফিসফাস শুরু হয়েছে বলিপাড়ায়। ছবির ট্রেলার লঞ্চ অনুষ্ঠানে বরুণ খোলাখুলি বলেন— “একবার এক সুপারমডেল আমাকে ব্যবহার করেছিলেন। নাম বলব না, তবে তিনি আমার দ্বিগুণ লম্বা ছিলেন! তাঁর প্রাক্তন তখন অন্য কারও সঙ্গে নাচছিলেন। আমি একপাশে বসে ছিলাম। হঠাৎ তিনি এসে বললেন, ‘চলো, নাচা যাক একসঙ্গে’। আমি তখন মনের আনন্দে স্রেফ নাচছিলাম, কিন্তু বুঝতে পারছিলাম তিনি ক্রমাগত তাঁর প্রাক্তনের দিকে তাকিয়ে আছেন। শেষে কী হল জানেন? নাচ থামতেই তাঁরা আবার একসঙ্গে বেরিয়ে গেলেন!”
বরুণের এই অকপট স্বীকারোক্তিতে একঝটকায় আলোচনার কেন্দ্রে চলে আসে ছবির মূল থিম—‘প্রাক্তনকে হিংসুটে করার জন্য অন্য সম্পর্কের নাটক’। জাহ্নবী কাপুর অবশ্য মজার ছলেই জানিয়েছেন, তিনি কখনও জীবনে ছবির তুলসির মতো প্রাক্তনকে হিংসা করার চেষ্টা করেননি। বরুণের সেই ঘটনা শুনে তিনি হেসেই খুন!
গল্পের কেন্দ্রে সানি (বরুণ) ও তুলসি (জাহ্নবী)। দু’জনেরই প্রাক্তন প্রেমিক-প্রেমিকা অন্য সম্পর্কে ব্যস্ত। একে অপরকে ‘সঙ্গী’ বানিয়ে তারা চেষ্টা করে প্রাক্তনদের মন খারাপ করানোর।এই যাত্রায় তৈরি হয় একের পর এক কৌতুক, মিষ্টি রোম্যান্স আর অনাবিল নাটকীয় পরিস্থিতি। ট্রেলারের শুরুতেই দেখা যায়, সানিয়ার চরিত্র অনন্যা সানিকে ফিরিয়ে দেয়। অন্যদিকে রোহিত সরাফের বিক্রম হল তুলসির পুরনো প্রেমিক। এখান থেকেই জমাট বাঁধে দ্বন্দ্ব–ভালবাসা মেশানো খেলা।
এই ছবির প্রযোজনার দায়িত্বে রয়েছেন হিরু যশ জোহর, করণ জোহর, আদার পুনাওয়ালা, অপূর্বা মেহতা ও শশাঙ্ক খৈতান। ধর্মা প্রোডাকশনস ও মেন্টর ডিসাইপল এন্টারটেইনমেন্টের ব্যানারে তৈরি ছবিটি মুক্তি পাবে ২ অক্টোবর, গান্ধী জয়ন্তীর দিনে। বরুণ এখন বাস্তবে সুখী সংসারের মানুষ। ছোটবেলার প্রেমিকা নাতাশা দালালের সঙ্গে বিবাহিত তিনি। তাঁদের মেয়ের নাম লারা। অথচ সিনেমার পর্দায় তাঁকে আবার দেখা যাবে ‘প্রাক্তনের প্রতিশোধ-রোম্যান্সে’ ডুবে থাকতে!
এবার প্রশ্ন উঠছে—‘সানি সংস্কারী কি তুলসি কুমারী’ কি সত্যিই দর্শককে হাসির মোড়কে এক চিমটি নস্টালজিয়া আর সম্পর্কের জটিলতায় ভাসিয়ে নিয়ে যেতে পারবে না কি বরুণের এই সুপারমডেল-অভিজ্ঞতার গল্পেই থেকে যাবে আলোচনার বিষয়ে?
