আজকাল ওয়েবডেস্ক: পুরনো ঘটনার পুনরাবৃত্তি। দিন কয়েক আগে রাশিয়ার যে কাণ্ড তোলপাড় ফেলেছিল বিশ্বে, ফের নাকি একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি। একাধিক আন্তর্জাতিক, সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর তেমনটাই। দিনকয়েক আগে জানা গিয়েছিল, ট্রাম্পের সঙ্গে পুতিন বৈঠক করার পর, তাঁর সহযোগিরা তাঁর মল-মূত্র ফিরিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন রাশিয়ায়। সূত্রের খবর, চীনে ডেমোক্র্যাটিক পিপলস্‌ রিপাবলিক অফ কোরিয়া (উত্তর কোরিয়া)-র কিম জং উন বৈঠক করার পর নাকি ওই স্থানের কিমের উপস্থিতির সমস্তরকম চিহ্ন মুছে ফেলা হয়েছে।

একাধিক সংবাদ মাধ্যম সূত্রের খবর, কিম-এর সহযোগীরা চেয়ার, তাঁর ব্যবহার করা গ্লাস সবকিছু যত্নের সঙ্গে মুছে ফেলেছেন, যাতে কোনও ছাপ না রয়ে যায়। ইতিমধ্যে সেই সংক্রান্ত একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। যদিও ওই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি আজকাল ডট ইন। তবে একাধিক সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খব, ওই ফুটেজ, পুতিনের সঙ্গে কিম-এর বৈঠকের পরবর্তী অবস্থার। এক্ষেত্রেও বিশেষজ্ঞদের মত, যাতে কিম-এর কোনও তথ্য কোনওভাবেই বিদেশিদের হাতে চলে না যায়, সেই ভাবনাতেই এই পদক্ষেও। ওই ভাবনাতেই অতি সক্রিয়তা।

?ref_src=twsrc%5Etfw">September 3, 2025

এর আগে, আগস্টের মাঝামাঝি জানা গিয়েছিল, ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে নতুন করে শান্তি প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে আলাস্কায় রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মুখোমুখি বসার পর, পুতিনের অদ্ভুত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে জোর চর্চা হয়। দুই ফরাসি সাংবাদিক রেজিস জঁতে ও মিখাইল রুবিনের দাবি, পুতিন যখনই বিদেশ সফরে যান, তাঁর ব্যক্তিগত নিরাপত্তা সংস্থা ফেডারেল প্রোটেকশন সার্ভিস-এর সদস্যরা তাঁর সমস্ত দেহবর্জ্য সংগ্রহ করেন। মল থেকে প্রস্রাব, সবই বিশেষ ব্যাগে সিল করা হয়। পরে সেগুলো একটি বিশেষ ব্রিফকেসে ভরে রাশিয়ায় ফেরত পাঠানো হয়। কারণ? বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থাগুলি যাতে তাঁর শারীরিক অবস্থার কোনও নমুনা হাতে না পায়।

আরও পড়ুন: চাকরিহারাদের জন্য আইনি পথে ব্যবস্থা, শিক্ষক দিবসের প্রাক্কালে বললেন মমতা

শুধু তাই নয়, একাধিক সফরে পুতিনের জন্য বিশেষভাবে তৈরি পোর্টেবল টয়লেটও বহন করা হয় বলে দাবি দুই সাংবাদিকের। রুশ প্রেসিডেন্টকে যাতে অন্য কোনও শৌচাগার ব্যবহার না করতে হয় এবং সমস্ত বর্জ্য নিশ্চিতভাবে সুরক্ষিত রাখা যায় তার জন্যই নাকি এমন ব্যবস্থা। সাংবাদিকদের দাবি, শুধু আলাস্কা নয়, ফ্রান্স, অস্ট্রিয়া-সহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে সফরের সময়ও একই সতর্কতা অবলম্বন করা হয়েছিল। তাঁদের আরও দাবি, এই প্রথা নতুন নয়। কয়েক দশক ধরেই নাকি রুশ প্রেসিডেন্টের সফরে এই ব্যবস্থা চালু আছে। ফলে আলাস্কার বৈঠকে যে এই ব্যবস্থা অবলম্বন করা হয়েছে তা নিয়ে অবাক হওয়ার কিছু নেই।

এবার প্রায় একই রকমের ব্যবস্থা দেখা গেল কিম-এর ক্ষেত্রেও। এর আগেই জানা গিয়েছিল, সামরিক কুচকাওয়াজে যোগদানের জন্য ব্যক্তিগত বুলেটপ্রুফ সবুজ রঙের ট্রেনে করে চীনে প্রবেশ করেন উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং উন। কিমের এই সফর বিরল হলেও অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। তার থেকেও বেশি চর্চা হয়েছিল একেবারে ট্রেনে চড়ে তাঁর হাজির হওয়া নিয়ে। কোরিয়ান সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সি মঙ্গলবার ভোরে জানিয়েছিল, চীনে অনুষ্ঠানে যোগদানের জন্য কিম সোমবার গভীর রাতে পিয়ংইয়ং ছাড়েন, তাঁর সঙ্গে ছিলেন বিদেশমন্ত্রী চোয়ে সন-হুই এবং অন্যান্য শীর্ষ কর্তারা। উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় রেডিও পরিষেবা কোরিয়ান সেন্ট্রাল ব্রডকাস্টিং স্টেশনকে উদ্ধৃত করে ইয়োনহাপ জানায়, কিমের ব্যক্তিগত ট্রেনটি মঙ্গলবার বিকেলের দিকে বেজিং পৌঁছে যাবে। সময়ের মধ্যেই পৌঁছেও যায়। 


এই প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, শেষবার বিদেশ সফরে ২০২৩ সালে কিম রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন। তারপর এবার চীন সফরে কিম। শেষবার ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে চীনে গিয়েছিলেন উত্তর কোরিয়ার সর্বাধিনায়ক।