কোলেস্টেরল, ডায়াবেটিস থেকে আর্থারাইটিস কিংবা স্থূলতা। আজকাল বয়স ৪০ পার হতে না হতেই শরীরে হানা দেয় একাধিক রোগ। নেপথ্যে থাকে ভুল খাদ্যাভাস, অত্যাধিক দুশ্চিন্তা, অপর্যাপ্ত ঘুম, শরীরচর্চার অভাব সহ নানান কারণ। আধুনিক ব্যস্ত জীবনযাত্রায় সুস্থতা ও দীর্ঘায়ু যেন অনেকের কাছেই স্বপ্নের মতো। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, ওষুধ বা জটিল চিকিৎসা নয়, বরং আমাদের প্রতিদিনের ছোট ছোট অভ্যাসই জীবনের দৈর্ঘ্য ও গুণমান নির্ধারণ করে। রোজকার জীবনযাপনের কয়েকটি অভ্যাসেই কিন্তু থাকে সুস্থতার চাবিকাঠি। তাহলে দৈনন্দিন জীবনে মাত্র কোন কোন অভ্যাস মেনে চললে শরীর-মন ভাল থাকবে, জেনে নিন- 

১. সকালে সূর্যালোকে হাঁটাঃ বিশেষজ্ঞদের মতে, সকালের রোদ শরীরের ঘড়িকে ঠিক রাখে, মন ভাল করে এবং শরীরে ভিটামিন-ডি উৎপাদন বাড়ায়। এটি হাড়কে মজবুত করে ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।

আরও পড়ুনঃ কমোডের চেয়েও বেশি জীবাণু চাদর-বালিশে, ভয়ঙ্কর সতর্কবার্তা গবেষণায়! সুস্থ থাকতে কতদিন অন্তর বেডসিট বদলাবেন?

২.  নিয়মিত শরীরচর্চাঃ কাজের চাপ থাকবেই। তবু এর মধ্যে থেকেই ২০ থেকে ২৫ মিনিট সময় বার করে নিয়মিত ব্যায়াম করুন। এতে বয়স যতই হোক, শরীর বরাবরের জন্য চাঙ্গা থাকবে।

৩. দিনভর সক্রিয় থাকাঃ শুধুমাত্র জিম বা কঠোর ব্যায়াম নয়, হাঁটা, সিঁড়িতে ওঠানামা কিংবা গৃহস্থালির কাজ, এসব দৈনন্দিন নড়াচড়া শরীরকে চনমনে রাখে এবং রোগ দূরে রাখে। 

৪. মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ করাঃ অতিরিক্ত মানসিক চাপ সরাসরি স্বাস্থ্যের ক্ষতি করে। প্রতিদিন কয়েক মিনিট মেডিটেশন, ডায়েরি লেখা বা নিজেকে সময় দেওয়া মনকে শান্ত করে ও শরীরের কোষগুলোকে তরতাজা রাখে।

৫. সুষম খাদ্যাভাসঃ কোনও ফ্যাড ডায়েট নয়, নির্দিষ্ট সময়ে ভাত-ডাল, শাকসবজি, ফলমূল ও স্বাস্থ্যকর প্রোটিন খেলে শরীর সুস্থ থাকে এবং আয়ু বাড়ে। প্রসেসড খাবার যেমন পিৎজা, বার্গার থেকে চিপস জাতীয় খাবার শরীরের বিপুল ক্ষতি করে। খাবার সংরক্ষণের জন্য এগুলিতে নুনের পরিমাণ অনেকটাই বেশি থাকে। তাছাড়া, অস্বাস্থ্যকর তেলও বেশি থাকায় ক্ষতি হয় হার্ট ও লিভারের।

আরও পড়ুনঃ আলো ফেলে ইচ্ছে মতো মুছে ফেলা যাবে স্মৃতি! অবাক করা আবিষ্কার বিজ্ঞানীদের

৬. ত্বকের যত্ন নেওয়াঃ সুস্থ ও আর্দ্র ত্বক কেবল সৌন্দর্যই নয়, শরীরের আভ্যন্তরীণ সুস্থতারও প্রতিচ্ছবি। পর্যাপ্ত জল পান, সঠিক খাবার এবং রোদ থেকে সুরক্ষা ত্বককে তরতাজা রাখে। কাজের চাপে জল খাওয়ার কথা মনেই থাকে না অনেকেরই। শরীরে জলের অভাব হলেই তার প্রভাব পড়বে হার্ট, লিভার, কিডনিতে। এমনকি জল কম খেলে ত্বকেরও বিভিন্ন রোগ হতে পারে।

৭. সামাজিক সম্পর্ক বজায় রাখাঃ গবেষকদের মতে, একাকীত্ব ধূমপানের মতো ক্ষতিকর। পরিবার, বন্ধু ও প্রিয়জনদের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখা মানসিক স্বাস্থ্য ভাল রাখে এবং দীর্ঘায়ু নিশ্চিত করে।