গরমে ঘামের দুর্গন্ধ হওয়া অস্বাভাবিক কিছু নয়। কিন্তু এই দুর্গন্ধ অস্বস্তিকর পরিস্থিতিতে ফেলে দেয়। যতই সাজ-পোশাক ভাল করুন না কেন, গায়ের দুর্গন্ধ যে ব্যক্তিত্বের উপর প্রভাব ফেলে তা বলাই বাহুল্য। অনেক সময়ে নামিদামি পারফিউম মেখেও সুরাহা মেলে না। খানিকক্ষণের মধ্যেই উধাও হয় সুগন্ধ। সেক্ষেত্রে মুশকিল আসান হতে পারে কয়েকটি কৌশল। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শুধু দামি সুগন্ধি ব্যবহার করলেই হবে না, জানতে হবে সঠিকভাবে প্রয়োগ ও সংরক্ষণ করার নিয়মও। সঠিক নিয়ম মানলেই দিনভর ম ম করবে সুগন্ধির সৌরভ।
১. পালস পয়েন্টে লাগানঃ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় অল্প করে পারফিউম স্প্রে করুন। পালস পয়েন্টে বিশেষ করে নজর দিন। অর্থাৎ কবজি, গলা, কানের পিছনে, কনুইয়ের ভিতর দিকে এবং হাঁটুর পিছনে সামান্য পারফিউম লাগান। তাতেই সারা শরীর সুগন্ধে ভরে যাবে। একইসঙ্গে স্প্রে করে ঘষবেন না। কারণ এতে দ্রুত গন্ধ হারিয়ে যায়। স্প্রে করে বাতাসেই শুকিয়ে নিন কবজি। তবেই তা শরীরে দীর্ঘক্ষণ বজায় থাকবে।
আরও পড়ুনঃ দীর্ঘক্ষণ প্রস্রাব চেপে রাখেন? রোজের এই অভ্যাস কোন ভয়ঙ্কর রোগ ডেকে আনছে জানলে শিউরে উঠবেন
২. ত্বক ময়েশ্চারাইজ করুনঃ শুষ্ক ত্বকে পারফিউম দ্রুত মিলিয়ে যায়। তাই স্নানের পরপরই লোশন বা বডি অয়েল ব্যবহার করে ত্বক নরম রাখুন। ময়েশ্চারাইজড ত্বকে পারফিউম বেশি সময় টেকে। ত্বক রুক্ষ-শুষ্ক হলে গন্ধ দ্রুত উবে যায়। তাই প্রথমেই ত্বককে হাইড্রেট করতে হবে। ময়শ্চারাইজার বা বডি অয়েলের উপর পারফিউম লাগালে ঘামের পরও সুগন্ধ ফিকে হবে না।

৩. লেয়ারিং করুনঃ একই ধরনের গন্ধের বডি ওয়াশ, লোশন ও পারফিউম একসঙ্গে ব্যবহার করুন। এতে একাধিক স্তরে সুগন্ধ টিকে থাকে এবং ঘণ্টার পর ঘণ্টা মিষ্টি ঘ্রাণ পাওয়া যায়। রোজ এই নিয়ম মেনে পারফিউম লাগালে পার্থক্য বুঝতে পারবেন।
৪. চুলে লাগাতে পারেনঃ ত্বকের থেকেও ফ্যাব্রিক ও চুল গন্ধ বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারে। তাই জামাকাপড়, স্কার্ফ বা হেয়ার ব্রাশে একটু মিস্ট স্প্রে করে নিন। এতে সারাদিন সহজে গন্ধ উবে যাবে না।
৫. সংরক্ষণে সচেতন থাকুনঃ পারফিউম কখনওই সূর্যের আলো, গরম বা আর্দ্র জায়গায় রাখা উচিত নয়। এতে এর রাসায়নিক গঠন নষ্ট হয়ে গন্ধ দ্রুত উবে যায়। তাই বোতল সবসময় ঠান্ডা ও অন্ধকার স্থানে সংরক্ষণ করুন।
