২০১৮ সালে ক্যানসারে আক্রান্ত হন অভিনেত্রী পাপিয়া সেন। তবে সেই মারণ রোগকে জয় করে আবার বহু বছর পর পর্দায় দেখা গেল তাঁকে। লীনা গঙ্গোপাধ্যায়ের লেখার মাধ্যমে জি বাংলার নতুন ধারাবাহিক 'কনে দেখা আলো'য় ঠাম্মির চরিত্রে ফিরলেন অভিনেত্রী পাপিয়া সেন। অভিনেত্রীর আরও দুটি পরিচয় সব্যসাচী চক্রবর্তীর বোন এবং পরিচালক রাজা সেনের স্ত্রী। 

 

 

 

স্বামীর ছবির ক্ষেত্রে ক্যামেরার পিছনেও কাজ করেছেন তিনি। তবে এতদিন পর আবার ছোটপর্দায় ফিরে দারুণ খুশি পাপিয়া সেন। এত বছর পর ছোটপর্দায় ফিরে সহ অভিনেতা-অভিনেত্রীদের থেকে যে এই সম্মান এবং ভালবাসা পাবেন তা নাকি আশা করেননি পাপিয়া সেন। এমনকী এত বছর পরও তাঁর জন্য দর্শকের ভালবাসা অটুট। শেষবার লীনা গঙ্গোপাধ্যায়ের ধারাবাহিক 'চোখের তারা তুই'তে অভিনয় করেন পাপিয়া সেন। এত লম্বা বিরতির পর আবার লীনা গঙ্গোপাধ্যায়ের লেখাতে ফেরা তাঁর, এটাই যেন অন্যতম ভাল লাগার জায়গা পাপিয়া সেন এর ক্ষেত্রে। পুরনো শিল্পী এবং কলাকুশলীদের ফিরে পেয়ে দারুণ অনুভূতি অভিনেত্রীর। এত বছর পর পুরনো ফেলে আসা জায়গায় ফিরতে পেরে আরও ভাল আছেন তিনি। 

 

 

 

উল্লেখ্য, সব্যসাচী চক্রবর্তী স্ত্রী মিঠু চক্রবর্তীও ক্যানসারে আক্রান্ত হন। তবে এখন তিনি সুস্থ হয়ে আবার কাজে ফেরার ভাবনা চিন্তা করছেন। পাপিয়া সেন জানান,তিনি ধীরে ধীরে সুস্থ হওয়ার পর দাদা ও বউদি মিঠু চক্রবর্তীর সঙ্গে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন জায়গা ঘুরেছেন। এবার বউদির অসুস্থতার পর তাঁর পাশে একইভাবে থাকছেন তিনি। চক্রবর্তী পরিবারে যেকোনও খারাপ সময়ে একে অপরের পাশে থেকেছেন সব সময়। শুধুই যখন সম্পর্কে দূরত্ব, এমন এক কঠিন সময় যেন এই পরিবার এক অন্যতম উদাহরণ। 

 

 

আরও পড়ুন: প্লুটোর মৃত্যু ভাবাচ্ছে দর্শককে, ধারাবাহিকে আত্মহত্যা দেখানো কতটা ঠিক? কী বললেন পর্দার মা, মালবিকা সেন? 

 

নিজের মনের জোর এবং কাছের মানুষদের ভালবাসায় এভাবেই সুস্থ হয়ে উঠেছেন পাপিয়া সেন। তবে শুধুমাত্র ক্যানসারের কারণে নয়, একসময় মেয়ের দুই যমজ সন্তানকে একা হাতে সামলেছেন এই অভিনেত্রী। আনন্দে তাদের সঙ্গে অনেকটা সময় কাটিয়েছেন। এই সেই সময় স্বেচ্ছায় বিরতি নেন তিনি। এরপরেই মারণ রোগে আক্রান্ত হন অভিনেত্রী। পাপিয়া সেনের কথায়, "যখন এই রোগের কথা জানতে পারি তখন মনে হয় এটাই আমার শেষ। কিন্তু আবার এটাও ভাবি যে এত তাড়াতাড়ি কোনওকিছু শেষ হতে পারে না। অনেক সময় মনে হয়েছে আর পারছি না আর হয়তো এগোতে পারব না। কিন্তু এই ভাবনাকে প্রশ্রয় না দিয়ে জীবনী শক্তি আমাকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছে। আমি এখন সম্পূর্ণ সুস্থ। পর্দা থেকে দূরে থাকলেও রাজার ছবির সঙ্গে নানা ভাবে যুক্ত থেকেছ। বিশেষ করে হিসেবের দিকটা খেয়াল রাখতাম, যা অত্যন্ত কঠিন কাজ। উপভোগ করেছি সবটা।"

 

 

 

 

তিনি আরও বলেন, "জীবনে ওঠা-পড়া তো থাকবেই, ব্যক্তিগত জীবন থেকে কর্ম ক্ষেত্রে এসবটাই দেখেছি। তবুও এগিয়ে যাওয়া থামালে চলবে না। এত বছর পর এই জায়গায় ফিরে আমি যে এত ভালবাসা পাচ্ছি, মাঝে মধ্যে ভাবি আমি কি এর যোগ্য? মানুষ আজও আমায় মনে রেখেছেন। যখন তাঁরা জানতে পারেন আমি 'কনে দেখা আলো' ধারাবাহিকের মাধ্যমে আবার ছোটপর্দায় ফিরছি আমাকে শুভেচ্ছা বার্তায় ভরিয়ে দিয়েছেন। আমি সত্যিই এত ভালবাসা আশা করিনি। এখানে আমি একটি মিষ্টি ঠাম্মির চরিত্রে অভিনয় করছি। লাজবন্তীর পাশে থাকতে দেখা যাবে এই ঠাম্মিকে।"