আজকাল ওয়েবডেস্ক: ভোটমুখী বিহারে ভোটার তালিকার ‘বিশেষ নিবিড় সংশোধন' চালাচ্ছে কমিশন। সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যম সূত্রের খবর, তাতেই উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। তাতে দেখা গিয়েছে, বিহারের ভোটার হিসেবে নাম রয়েছে  দুই পাকিস্তানি মহিলার। তথ্য সামনে আসতেই ব্যাপক হইচই।

সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, স্বাধীনতার পর পরেই, ১৯৫০-এর দশকে ভারতে প্রবেশকারী দুই পাকিস্তানি মহিলাকে বিহারে ভোটার হিসেবে নিবন্ধিত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে। জানা গিয়েছে এসআইআর প্রক্রিয়াতেই উঠে এসেছে এই তথ্য। ঘটনার তদন্ত ইতিমদধ্যেই শুরু করেছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। সূত্রের তথ্য, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ভিসার মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যাওয়া বিদেশি নাগরিকদের তথ্য যাচাই করার সময়েই এই তথ্য প্রকাশ্যে আসে। 

গোটা ঘটনাটি ঘটেছে ফারজানা খানম নামক বিএলও-এর তত্বাবধায়ক এলাকায়। তিনি জানিয়েছেন, এক মহিলার নাম  ইমরানা খানম। তাঁর পাসপোর্ট ১৯৫৬ সালের, ভিসা পেয়েছেন ১৯৫৮ সালে। ওই মহিলা বর্তমানে গুরুতর অসুস্থ। কথা বলার অবস্থাতেও নেই বলে জানা গিয়েছে।  ফারজানা খানম জানিয়েছেন ১১ আগস্ট স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের নোটিস পান তিনি। ইমরানা কথা বলার অবস্থাতে না থাকলেও, প্রয়োজনীয় নথি যাচাই করে তিনি ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছেন বলে জানিয়েছেন সর্বভারতীয় সংবাদ সংস্থায়।

দিনকয়েক আগেই বিহারে খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশিত হয়েছে। তাতে ৬৫ লক্ষ মানুষ বাদ পড়েছেন তালিকা থেকে। তাদের মধ্যে ২২ লক্ষের বেশি ভোটার মৃত, তথ্য তেমনটাই। কিন্তু বিরোধীরা প্রথম থেকে ঘটনায় সুর চড়িয়েছে। অন্যদিকে, বিহারের বিশেষ নিবিড় সংশোধন (এসআইআর) প্রক্রিয়া ঘিরে বিতর্কের আবহেই নির্বাচন কমিশনকে নিশানা করে 'ভোট চুরি'র অভিযোগ তুলেছেন রাহুল গান্ধী। কংগ্রেস-সহ বেশ কয়েকটি বিরোধী দল বিজেপির সঙ্গে কমিশনের যোগসাজশের মারাত্মক অভিযোগ তুলেছে। তারা দাবি করেছে যে, ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধন (এসআইআর) -এর মাধ্যমে ভোটার সংযোজন এবং বাদ দিয়ে বিহার বিধানসভা নির্বাচনে কারসাজি করার চেষ্টা চলছে।

?ref_src=twsrc%5Etfw">August 24, 2025

এই প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, শুক্রবার বিহারের ভোটার তালিকায় বিশেষ সংশোধন সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে শীর্ষ আদালত জানায়, খসড়া ভোটার তালিকা থেকে বাদ যাওয়া ভোটারদের নামের নথিভুক্তি নিয়ে কোনও পদক্ষেপ করছে না রাজনৈতিক দলগুলি ৷ আদালতের কাছে এই উদাসীনতা আশ্চর্যের।


সুপ্রিম কোর্ট এদিন নির্দেশ দিয়েছে, বাদ যাওয়া ব্যক্তিরা অনলাইনে আবেদন জানাতে পারবেন ৷ তাঁরা আধার কার্ড বা অন্য কোনও গ্রহণযোগ্য নথিও জমা দিতে পারবেন ৷ নির্বাচন কমিশনকে সেই সমস্ত নথি গ্রহণ করতে হবে ৷ তাদের দেখতে হবে যাতে পুরো এসআইআর প্রক্রিয়াটি ভোটার-বান্ধব হয় ৷ এর জন্য রাজনৈতিক দলগুলিকে এগিয়ে আসার বার্তা দিয়েছে সর্বোচ্চ আদালত ৷

আরও পড়ুন: দাউ দাউ করে জ্বলছে গোটা বাস, ভিতরে তখন বহু যাত্রী, ভয়ঙ্কর বিপদ ঘটে গেল মাঝরাস্তায়


গত শুনানিতে দেওয়া আদালতের নির্দেশ মেনে এদিন হলফনামা জমা দিয়েছে কমিশন ৷ দেশে ভোট পরিচালনের নিয়ামক সংস্থা জানিয়েছে, "বিহারে স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশনের পর প্রথম দফায় খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশিত হয়েছে ৷ ভোটার তালিকা থেকে ৬৫ লক্ষ ব্যক্তির নাম বাদ গিয়েছে ৷ সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে বুথ অনুযায়ী ওই বাদ যাওয়া ব্যক্তিদের নাম বিহারের ৩৮ জন জেলা নির্বাচনী আধিকারিকরা তাঁদের সংশ্লিষ্ট ওয়েবসাইটে আপলোড করেছেন ৷ কেন তাঁদের নাম খসড়া ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি সেই কারণও জানানো হয়েছে ৷"