মেয়ের মা হয়েছেন ছোটপর্দার 'মিশকা' ওরফে অভিনেত্রী অহনা দত্ত। মেয়েকে নিয়েই এখন দিন কাটছে তাঁর। মাত্র ২১ বছর বয়সে মা হয়েছেন অহনা। তাই রোজ নতুন কিছু শিখছেন তিনি। অন্তঃসত্ত্বা থাকালীন অহনা মাঝেমধ্যেই অনুরাগীদের সঙ্গে ভাগ করে নিতেন গর্ভের সন্তানের নিয়মিত নড়াচড়া করে উপস্থিতি জানান দেওয়ার বিষয়। কখনও আবার মাঝরাতের ক্রেভিং রক্ষা করতে বরের হাতের বিরিয়ানি, সবটাই অহনা তুলে ধরতেন নেটমাধ্যমে। সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার আগেই ঠিক করে ফেলেছিলেন তার নাম। এবার প্রকাশ্যে আনলেন মেয়ের নাম।
মঙ্গলবার সমাজমাধ্যমে স্বামী দীপঙ্করকে পাশে নিয়ে বসে থাকতে দেখা গেল অহনাকে। অভিনেত্রীর কোলে শুয়ে একরত্তি। যদিও অহনা মেয়ের মুখ দেখাননি এখনও পর্যন্ত। কিন্তু নামটা প্রকাশ্যে এনেছেন। অহনা জানান মেয়ের নাম রেখেছেন 'মীরা'।

 
 তিনি লেখেন, 'সংস্কৃত ভাষায় এর অর্থ 'সমুদ্র', 'সমৃদ্ধ', অথবা 'শান্তি'। তুমি আমাদের ভালবাসার সমুদ্র এবং আমাদের সর্বশ্রেষ্ঠ আনন্দ। তুমি আমাদের জীবনকে সমৃদ্ধ ও শান্তিপূর্ণ করে তোলো প্রতিদিন। আর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল তোমার নামকরণ করা হয়েছে তোমার ঠাকুরমার 'মীরা রায়'-এর নামে। যিনি তোমার বাবাকে সবচেয়ে বেশি ভালবাসতেন। আমরা বিশ্বাস করি যে তিনি তোমার ভিতরে বাস করেন। এবং তোমাকে সবচেয়ে সুন্দর ও শক্তিশালী মেয়ে হয়ে উঠতে সাহায্য করবেন।'
আরও পড়ুন: ‘…আমার কাছে গান শিখলেই সারেগামাপা-তে সুযোগ!’ বিস্ফোরক ইমন, ফাঁস করলেন তিক্ত অভিজ্ঞতা
মেয়ের জন্ম হতেই দীপঙ্কর সমাজমাধ্যমে লিখেছিলেন, 'মা'। এর আগেও বহু সাক্ষাৎকারে, তিনি জানিয়েছিলেন যে তাঁর মা-ই হয়তো তাঁদের সন্তানদের রূপে এই পৃথিবীতে আসতে চলেছে।
প্রসঙ্গত, সন্তানের বয়স সবে এক মাস। মা হিসেবে রোজই নতুন কিছু কিছু শিখছেন অহনা। অভিনেত্রীর কথায়, “সোশ্যাল মিডিয়ায় সবাই যে সব ভুল বলেন, তা কিন্তু নয়। এই তো সেদিনই আমি বাচ্চাকে ঘুম পাড়ানোর টিপস চেয়ে একটা পোস্ট করেছিলাম। কত মানুষ কত লিখলেন। তাতে আমার সাহায্যই হল। তাঁরা যে সময় বার করে কমেন্ট করে, এটা আমার ভাল লাগে। তবে অনেকেই আছেব যাঁরা আমায় আতসকাচের নীচে রেখে কাটাছেঁড়া করেন। এটা শুধু মায়েদের নয়, সব মেয়েদেরই বোধ হয় সহ্য করতে হয়। আমি যদি ঠিক-ভুল না জানতাম, সন্তান গর্ভে থাকাকালীন এত কাজ করতে পারতাম না। আমার স্বামী দীপঙ্কর সব সময় পাশে আছে। ভুল হলে ও সামলে নেবে।”
 
 আপাতত কাজ থেকে বিরতি নিয়েছেন অহনা। মা হওয়ার ধকল কম নয়। তাই শারীরিক এবং মানসিক ভাবে পুরোপুরি সুস্থ হয়ে ফের কাজ শুরু করবেন। সন্তান সামলানোর পাশাপাশি সময় বার করছেন নিজের জন্যও। তাঁর কথায়, “নিজে ভাল না থাকলে সন্তানকেও ভাল রাখতে পারব না। তাই নিজেক দিকেও নজর দিচ্ছি। এই তো সেদিন আমি আর দীপঙ্কর এক ফাঁকে বেরিয়ে মোমো খেয়ে এলাম। এভাবেই সব কিছু সামলে দিন কাটছে আমাদের।”
