আজকাল ওয়েবডেস্ক: নয় বছর বয়স থেকে বন্ধুত্ব। একরাতেই শেষ হল সম্পর্ক। ৩৯ বছর বয়সি এক যুবককে কুপিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠল তাঁর ছোটবেলার বন্ধুর বিরুদ্ধে। জানা গেছে, বাড়ি ঢুকেই যুবককে খুন করে তাঁর বাল্যবন্ধু।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে কর্ণাটকের বেঙ্গালুরুতে। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে, মৃত যুবকের নাম, বিজয় কুমার। অভিযুক্ত যুবকের নাম, ধনঞ্জয় ওরফে জয়। গত তিন দশক ধরে তাঁরা একে অপরের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন। বেঙ্গালুরুর মাগাড়িতে বেড়ে উঠেছেন দুই বন্ধু।
দশ বছর আগে আশা নামের এক তরুণীর সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন বিজয়। তখন থেকেই তাঁরা কামাক্ষীপল্যতে থাকতেন। পুলিশ জানিয়েছে, সম্প্রতি বিজয় জানতে পারেন, ধনঞ্জয়ের সঙ্গে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িত আশা। দু'জনকে আপত্তিকর অবস্থায় একদিন দেখেও ফেলেছিলেন। আশার ফোনে দু'জনের অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ছবিও দেখেন বিজয়। এরপরই তুমুল দাম্পত্য কলহ শুরু হয়।
বিয়ে টিকিয়ে রাখতে স্ত্রী আশাকে নিয়ে মাচোহাল্লিতে চলে যান বিজয়। কিন্তু সেখানে যাওয়ার পরেও ধনঞ্জয়ের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছিলেন আশা। দু'জনের প্রায়ই কথা হত। বিষয়টি জানতে পেরেই মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন বিজয়। ঘটনার দিন সন্ধ্যা পর্যন্ত বাড়িতে ছিলেন তিনি। সেই রাতেই ওই এলাকায় বিজয়ের মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
পুলিশের অনুমান, ঘনিষ্ঠ বাল্যবন্ধু ও স্ত্রীর বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের জেরেই বিজয়কে খুন করা হয়েছে। সম্ভবত এই খুনটি আশা ও ধনঞ্জয় পরিকল্পনামাফিক করেছেন। আশাকে ইতিমধ্যেই আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ। ঘটনার পর থেকে ধনঞ্জয় পলাতক। তার খোঁজে তল্লাশি অভিযান শুরু করেছেন তদন্তকারীরা।
প্রসঙ্গত, দুই মাস আগেই কর্ণাটকে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক ঘিরে আরও একটি নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটেছিল। সেবারেও বিবাহবহির্ভূত প্রেমের সম্পর্কে একমাত্র 'পথের কাঁটা' স্বামী। তাঁকেই নৃশংসভাবে খুন করে স্ত্রী ও তার প্রেমিক। গলায় পা চেপে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছিল তাঁকে। স্ত্রীর কীর্তি ফাঁস হতেই শোরগোল গোটা এলাকায়।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে কর্ণাটকের তুমাকুরু জেলায়। পুলিশ জানিয়েছে, প্রথমে ৫০ বছর বয়সি প্রৌঢ়ের নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়েছিল। তল্লাশি চালাতে প্রথমেই তাঁর বাড়িতে পৌঁছয় পুলিশ। ঘরে ঢুকেই দেখে, বিছানায় পড়ে লঙ্কার গুঁড়ো। এমনকী সেই ঘরে ধস্তাধস্তির চিহ্ন পাওয়া গেছে। তখনই সন্দেহ হয় পুলিশের।
স্ত্রীকে দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদের পরেই খুনের ঘটনাটি ফাঁস হয়। পুলিশকে ঘাতক স্ত্রী জানিয়েছে, কয়েক বছর আগেই পাশের গ্রামের এক যুবকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে সে। বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক ঘিরে পরিবারে অশান্তিও বাড়ছিল। শেষমেশ প্রেমিকের সঙ্গে মিলে স্বামীকে খুনের পরিকল্পনা করে।
গত ২৪ জুন স্বামীর চোখে লঙ্কার গুঁড়ো ছুড়ে মারে স্ত্রী। তারপর বেধড়ক মারধর করে। শেষে গলায় পা চেপে শ্বাসরোধ করে। স্বামীর নিথর দেহ বস্তায় ভরে, গ্রাম থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে কুয়োয় ফেলে দেয় সে। যাতে পুলিশের সন্দেহ না হয়। সেই কুয়ো থেকে দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায় পুলিশ। গ্রেপ্তার করা হয়েছে প্রৌঢ়ের স্ত্রী ও তার প্রেমিককে।
