আজকাল ওয়েবডেস্ক: ব্যস্ত সময়ে হুগলি জেলায় দুটি পৃথক পথ দুর্ঘটনায় ছড়াল চাঞ্চল্য। প্রথম দুর্ঘটনাটি ঘটেছে পোলবার সুগন্ধা পঞ্চায়েতের কামদেবপুরে। ঘটনাটি ঘটেছে কামদেবপুরের দিল্লি রোডের ওপর। জানা গিয়েছে, এক্সপ্রেসওয়ের ওপর শ্রীরামপুরের দিক থেকে মগড়ার দিকে যাওয়ার রাস্তায় একটি চার চাকা গাড়ি প্রচন্ড গতিতে আসছিল। অতিরিক্ত গতির ফলে গাড়িটি একটি স্কুটার ও একটি বাইককে পিছন থেকে সজোরে ধাক্কা মারে। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে চারচাকা গাড়িটিও কলকাতামুখী রাস্তা টপকে নয়ানজুলিতে গিয়ে পড়ে। জানা গিয়েছে, দুর্ঘটনায় আহত স্কুটি চালকের অবস্থা অত্যন্ত সঙ্কটজনক। বাইক আরোহীও গাড়ির ধাক্কায় দূরে ছিটকে পড়েন। তিনিও গুরুতর আহত হয়েছেন।

আহত দুজনকেই উদ্ধার করে চুঁচুড়া ইমামবড়া হাসপাতালে পাঠায় পোলবা থানার পুলিশ। জানা গিয়েছে, চারচাকা গাড়িটির চালক বর্তমানে পলাতক, তাকে খুঁজছে পুলিশ। অন্য দুর্ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার বিকেলে হুগলির শ্রীরামপুরের মানিকতলা জিটি রোডের ওপর। জানা গিয়েছে, জিটি রোডের ওপর স্কুল বাসের ধাক্কায় আহত হয়েছেন এক সাইকেল আরোহী। আহত সাইকেল আরোহীর নাম পান্না সেনগুপ্ত। অভিযোগ উঠেছে, মাহেশের লক্ষ্মীঘাট এলাকার বাসিন্দা পান্না সেনগুপ্ত প্রতিদিনের মতোই কাজে আসার সময় দ্রুত গতিতে আসা স্কুল বাসটি তাকে ধাক্কা মারে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ। পুলিশ এবং স্থানীয় মানুষের চেষ্টায় আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই ব্যক্তিকে শ্রীরামপুর ওয়ালস হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, প্রায় প্রতিদিনই স্কুল বাসগুলি অত্যন্ত দ্রুতগতিতে যায়।

ফলে, দুর্ঘটনার আশঙ্কা লেগেই থাকে। তাদের দাবি, প্রশাসন বিষয়টিতে নজর দিক। ব্যস্ত রাস্তার ওপর এই ঘটনা ঘটায় বেশ কিছুক্ষণ ব্যাহত হয় যান চলাচল। উল্লেখ্য, তারকেশ্বরে শ্রাবণী মেলায় যাওয়ার পথে সোমবার দু’টি পৃথক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল দু’জনের। আহত হয়েছেন আরও একজন। প্রথম ঘটনাটি ঘটেছে সিঙ্গুরে দেশাপাড়া এলাকায়। সেখানে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে। দ্বিতীয়টি ঘটেছে তারকেশ্বরে। বন্ধুদের সঙ্গে বাইকে করে জল ঢালতে যাওয়ার পথে অসুস্থ হয়ে মৃত্যু হয় এক পুণ্যার্থীর। প্রথম ঘটনাটি ঘটে সিঙ্গুরের দেশাপাড়া এলাকায়। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রবিবার রাতে বারুইপুর এলাকার ১৭জনের একটি পুণ্যার্থীর দল শেওড়াফুলি থেকে জল তুলে পায়ে হেঁটে তারকেশ্বরের উদ্দেশে যাচ্ছিল।

সিঙ্গুরের দেশাপাড়া এলাকায় তাঁরা বিশ্রাম নেওয়ার জন্য বসে পড়েন। সেখানে রাস্তার পাশে একটি ইলেকট্রিক ট্রান্সফর্মার ছিল। পুণ্যার্থী দলের একজনের হাতে একটি বড় রডের সঙ্গে ঝান্ডা লাগানো ছিল বলে তাঁদের দলের সদস্যরা জানিয়েছেন। অসাবধানতাবশত সেই ঝান্ডা ট্রান্সফরমারের সঙ্গে সংযোগ হতেই আগুনের ফুলকি বের হয়ে বিকট শব্দ হয়। ঘটনায় দু’জন পুণ্যার্থী বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে জ্ঞান হারান। সেখান থেকে তাঁদের উদ্ধার করে সিঙ্গুর থানার পুলিশ সিঙ্গুর ট্রমা কেয়ার সেন্টারে নিয়ে যায়। সেখানে একজনকে মৃত বলে জানান চিকিৎসকরা।

আর একজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় শ্রীরামপুর হাসপাতালে পাঠানো হয়। দ্বিতীয় ঘটনাটি ঘটে সোমবার সকালে তারকেশ্বর এলাকায়। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এদিন সকালে বাইক নিয়ে দশজন বন্ধুদের একটি দল  তারকেশ্বর মন্দিরে জল ঢালার উদ্দেশে শেওড়াফুলি নিমাই তীর্থ ঘাট থেকে জল তুলে বাইকে করে তারকেশ্বরের উদ্দেশে রওনা হয়। তারকেশ্বর মন্দিরে প্রবেশের কিছুটা আগে বাজিতপুর চৌমাথায় এসে হঠাৎই অসুস্থ হয়ে পড়েন এই দলের এক জল যাত্রী। তড়িঘড়ি তাঁকে তারকেশ্বর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসা শুরু করার কিছুক্ষণের মধ্যেই তাঁর মৃত্যু হয় বলে তার বন্ধুবান্ধবরা জানায়। মৃতের নাম অমিত পাকড়ে। তাঁর বয়স ৩৬ বছর। যুবকের বাড়ি হাওড়া জেলার বালি এলাকায়।