আজকাল ওয়েবডেস্ক: অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি ম্যাচে একা বল হাতে ধ্বংসলীলা চালালেন তরুণ পেসার কুয়েনা মাফাকা। ডারবানে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। তখন মনে হয়েছিল, হয়তো সাহসী পদক্ষেপ নিচ্ছে প্রোটিয়ারা। কারণ উইকেট ছিল ব্যাটিংয়ের জন্য অনুকূল, আউটফিল্ড ছিল দ্রুত, আর অস্ট্রেলিয়ার টপ অর্ডারেরও নিজেদের প্রমাণ করার সুযোগ ছিল। কিন্তু ইনিংস শেষ হওয়ার পর আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে এলেন এই ১৯ বছরের তরুণ কুয়েনা মাফাকা। যিনি দুরন্ত গতিতে অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিং লাইনআপকে ধসিয়ে দেন কার্যত একা হাতে।

মাত্র ৪ ওভারে ২০ রান দিয়ে ৪ উইকেট তুলে নেন মাফাকা। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টি-টোয়ন্টি ফরম্যাটে দক্ষিণ আফ্রিকার সর্বকালের সেরা বোলিং ফিগার এটাই। তবে কেবল উইকেট নয়, যেভাবে তিনি এই সাফল্য পান সেটাই তাকে বিশেষ করে তোলে। বলকে সোজা ও দ্রুত রাখেন, ব্যাটসম্যানদের ভুল শট খেলতে বাধ্য করেন, এবং অস্ট্রেলিয়াকে কখনও ম্যাচে আধিপত্য বিস্তার করতে দেননি। শুরুতে এদিন অজিদের ধাক্কা দেন কাগিসো রাবাডা।

ট্রাভিস হেড ও মিচেল মার্শকে আউট করেন তিনি। এরপর মাফাকার আগুনে বোলিংয়ে ছারখার ক্যাঙারু বাহিনী। মিচেল ওয়েনকে এক দমকা গতির ডেলিভারিতে বোল্ড করেন, তারপর দ্রুত পরপর তুলে নেন বিপজ্জনক বেন ডোয়ারশুইস ও অ্যাডাম জাম্পার উইকেট। ৭ ওভারের মধ্যেই অস্ট্রেলিয়ার স্কোর দাঁড়ায় ৬ উইকেটে ৭৫। মনে হচ্ছিল ১০০ রানের মধ্যেই অল আউট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

তবে একাই প্রতিরোধ গড়েন টিম ডেভিড। দ্বিতীয় বলেই রাবাডাকে ছয় মেরে শুরু করেন, তারপর অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে স্ট্রাইক রোটেট করে ইনিংস চালিয়ে যান। উল্টোদিকে পরপর উইকেট পড়লেও ৫২ বলে ৮৩ রানের দুরন্ত ইনিংস খেলেন ডেভিড। যা অস্ট্রেলিয়াকে ঠেলে দেয় লড়াই করার মতো ১৭৮ রানে। তবু ম্যাচের আসল নায়ক মাফাকা। ১৯ বছর বয়সেই যে ধৈর্য ও খিদে তিনি দেখালেন, তা অভিজ্ঞ বোলারদেরও লজ্জা দিতে পারে। দক্ষিণ আফ্রিকা হয়তো খুঁজে পেল তাদের পরবর্তী বড় তারকাকে, এমনটাই ধারণা ক্রিকেট মহলের।