আজকাল ওয়েবডেস্ক: নার্সারি শিশুদের দেওয়া স্টাডি ম্যাটেরিয়াল ঘিরে তীব্র বিতর্ক। সেখানে লেখা- ইংরেজি বর্ণমালা শেখাতে 'কে'-তে 'কাবা', 'এম'-এ 'মসজিদ', 'এন'-এ 'নমাজ' এবং 'এইউ'-তে 'অউরত ইন হিজাব' ব্যবহার করা হচ্ছে। ঘটনাটি মধ্যপ্রদেশের রায়সেন জেলার একটি বেসরকারি স্কুলের। 

এক ছাত্রের কাকা বাড়িতে তাঁর ভাইপোর স্কুলের স্টাডি মেটিরিয়াল পরীক্ষা করার সময় বিষয়টি দেখতে পান। তারপর বিষয়টি পরিবারের নজরে আনেন।

ভয়ঙ্কর এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর পরই, অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ (এবিভিপি) এবং বেশ কয়েকজন অভিভাবক স্কুলে পৌঁছে য়ান। শুরু করেন বিক্ষোভ প্রদর্শন। প্রতিবাদীরা শিক্ষার উপকরণে উর্দু এবং ইসলামিক শব্দ ব্যবহারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হন।

জিজ্ঞাসাবাদের পর, স্কুলের অধ্যক্ষ, আই এ কুরেশি স্বীকার করেছেন যে- স্টাডি ম্যাটেরিয়াল পরীক্ষা না করেই বিতরণ করা হয়েছিল। অধ্যক্ষ জানান যে, স্টাডি ম্যাটেরিয়ালগুলি ভোপাল থেকে আনা হয়েছিল। তবে বিতর্কের পর, সেগুলি সমস্ত অভিভাবকদেরস্কুলে ফেরৎ দিতে বলা হয়েছে।

কোতোয়ালি থানার ইনচার্জ নরেন্দ্র গোয়েল বিক্ষোভের খবর পেয়ে স্কুলে পৌঁছান। তিনি পরিস্থিতি সামাল দেন এবং বিক্ষোভকারীদের থানা এবং জেলা শিক্ষা অফিসে অভিযোগ দায়ের করার পরামর্শ দেন।

আরও পড়ুন- ট্রেনের টিকিটে মিলবে বিরাট ছাড়, পুজোর আগেই স্বস্তির ঘোষণা রেলের

পুলিশ ইনচার্জ নরেন্দ্র গোয়েল বলেন, "আমরা স্কুলে গোলমালের খবর পেয়েছিলাম, এরপর আমি একটি পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। জিজ্ঞাসাবাদের পর, অধ্যক্ষ স্টাডি মেটিরিয়াল বিতরণের কথা স্বীকার করেন। বিক্ষোভ বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে, অভিভাবক ও এবিভিপি সদস্যদের জেলা শিক্ষা অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ জমা দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।" 

এই ঘটনার কয়েকদিন আগে, সমাজবাদী পার্টি পরিচালিত পিডিএ পাঠশালায় শিশুদের রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের নামের মাধ্যমে ইংরেজি বর্ণমালা শেখার ভয়াবহ ঘটনা প্রাকাশ্যে এসেছিল।

পিডিএ পাঠশালায় 'এ' ফর 'অ্যাপল' এবং 'বি' ফর 'বল' এর মতো উদাহরণ দিয়ে ইংরেজি শেখানোর পদ্ধতির পরিবর্তে, 'এ' ফর 'অখিলেশ যাদব', 'বি' ফর 'বাবাসাহেব আম্বেদকর', 'সি' ফর 'চৌধুরী চরণ সিং', 'ডি' ফর 'ডিম্পল যাদব', এবং 'এম' ফর 'মুলায়ম সিং যাদব' এর মতো রেফারেন্স ব্যবহার করা হচ্ছিল।

কেমন এমন পদক্ষেপ? সমাজবাদী পার্টির নেতা ফারাজ আলম বলেছিলেন, আজকের শিশু আগামীকালের নাগরিক। তাই এই পদ্ধতির লক্ষ্য শিক্ষা প্রদানের পাশাপাশি ছোটবেলা থেকেই রাজনৈতিক ও সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি করা।

বিজেপি-নেতৃত্বাধীন উত্তর প্রদেশ সরকারের অধীনে সরকারি স্কুল বন্ধের জেরে সমাজবাদী পার্টি পিডিএ স্কুল চালু করেছিল। এই স্কুলগুলির লক্ষ্য, সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের বিনামূল্যে প্রাথমিক শিক্ষার পাঠ দেওয়া। স্কুলগুলি দলের পিডিএ (পিছড়া, দলিত, আল্পসংখ্যা) আদর্শকেও প্রচার করে।