সংবাদসংস্থা মুম্বই: 

নওয়াজের নতুন ছবি 

অন্ধকারের গল্পে আবারও আলো ফেলতে চলেছেন নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকি। ঘোষণা হয়ে গেল ‘রাত আকেলি হ্যায়’-এর সিক্যুয়েলের নাম ‘রাত আকেলি হ্যায়: দ্য বনশল মার্ডার্স’। আবারও পরিচালকের আসনে হানি ত্রেহান, আর চিত্রনাট্যে স্মিতা সিং। প্রথম ছবির মতোই ফিরছেন সেই তীক্ষ্ণ, গম্ভীর, নির্ভীক পুলিশ অফিসার- ইন্সপেক্টর জটিল যাদব, যার চরিত্রে নওয়াজউদ্দিন আগেও তাক লাগিয়েছিলেন দর্শকদের। ফ্র্যাঞ্চাইজির এই নতুন অধ্যায়ে তাঁর সঙ্গে থাকছেন চিত্রাঙ্গদা সিং, রজত কাপুর, দীপ্তি নাভাল, ইলা অরুণ, রেবতী, অখিলেন্দ্র মিশ্র, প্রিয়াঙ্কা সেতিয়া, সঞ্জয় কাপুর এবং রাধিকা আপ্তে। এক কথায়, একেবারে তারকাখচিত ক্রাইম-কাস্ট।

ছবির গল্প শুরু হবে প্রথম ছবির কয়েক বছর পর থেকে। এবার জটিল যাদব জড়িয়ে পড়বেন এক ভয়ানক, ঠান্ডা মাথায় সংগঠিত খুনের মামলায়। তদন্ত যত এগোবে, ততই খুলে যেতে থাকবে এক প্রভাবশালী পরিবারের গোপন কফিন। প্রতিটি সূত্রই এখানে যেন একেকটা ধাঁধা।  যেখানে সত্যি আর পরিণতির সীমারেখা ক্রমশ মিশে যায় অন্ধকারে।

এই ছবির আন্তর্জাতিক প্রিমিয়ার হবে এই নভেম্বরেই গোয়ায় আয়োজিত ৫৬তম ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল অফ ইন্ডিয়ায়। 

 

 

জুনেই আসছে সলমনের ছবি 

 

বলিউডের আগামী বছরের সবচেয়ে বড় ছবিগুলির মধ্যে অন্যতম ‘ব্যাটেল অব গলওয়ান’।  আর এর কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন সলমন খান, একদম এক নতুন অবতারে। ছবির প্রথম লুকেই নেটিজেনদের চোখ কাড়েন তিনি। গতকাল নিজের এক্স অ্যাকাউন্টে পোস্ট করেন দু’টি শার্টলেস ছবি, যেখানে তাঁকে আগের চেয়ে আরও বেশি ফিট, দৃঢ় আর প্রস্তুত দেখাচ্ছে। মুহূর্তে ভাইজানের ফ্যানদের মধ্যে রীতিমতো ঝড় ওঠে।

সূত্রের খবর, সেপ্টেম্বরেই ছবির শুটিং শুরু হয়েছে লাদাখে, আর ইতিমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে ছবির সবচেয়ে কঠিন ও অ্যাকশন দৃশ্যগুলির শুটিং। সেই সূত্রটি বলেছে, “ছবির একটা বড় অংশ ইতিমধ্যেই শুট হয়ে গেছে। ডিসেম্বরের মধ্যেই শুটিং শেষ হবে। এরপর পরিচালক অপূর্ব লাখিয়া পুরোপুরি মন দেবেন পোস্ট-প্রোডাকশন পর্যায়ে।”

অপুর্ব লাখিয়ার পরিচালনায় এই সিনেমাটি তৈরি হচ্ছে ভারত–চিন সীমান্ত সংঘর্ষের পটভূমিতে, যেখানে দেশপ্রেম, আত্মত্যাগ, ও সাহসের গল্প ফুটে উঠবে সালমানের নতুন চরিত্রের চোখ দিয়ে। একদম ‘নেভার বিফোর সিন’ অবতার! এমনটাই প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন নির্মাতারা। ছবির মুক্তি নিয়ে আগেই গুঞ্জন শুরু হয়েছিল। খবর, প্রথমে নির্মাতারা ভেবেছিলেন ২০২৬ সালের জানুয়ারিতে মুক্তির কথা। কিন্তু এখন সূত্রের দাবি, “জানুয়ারি রিলিজ সম্ভব নয়। তবে জুন মাসকে গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হচ্ছে। একইসঙ্গে জুলাই বা আগস্টেও মুক্তির সম্ভাবনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”

সব মিলিয়ে ‘ব্যাটেল অব গলওয়ান’ শুধু আরেকটা যুদ্ধছবি নয়, এটি হতে চলেছে সলমন খানের কর্মজীবনের এক নতুন অধ্যায়, যেখানে রক্তে দেশপ্রেম, দৃশ্যে গতি আর গল্পে গর্জন।

 

মীনা কুমারীর বায়োপিকে কিয়ারা

বলিউডের ট্র্যাজেডি কুইন ফিরছেন, তবে এবার রূপালি পর্দায় নতুন রূপে। শোনা যাচ্ছে, কিংবদন্তি অভিনেত্রী মীনা কুমারীর বায়োপিকে ‘কমল ঔর মীনা’-তে মুখ্য ভূমিকায় দেখা যাবে কিয়ারা আদবানিকে। ছবির পরিচালক করণ মালহোত্রা, যিনি ‘অগ্নিপথ’ ও ‘শমশেরা’–র মতো ছবির জন্য পরিচিত।

এই বায়োপিকে জীবন্ত হয়ে উঠবে ভারতীয় সিনেমার এক অনন্যা অধ্যায়। মীনা কুমারীর সৌন্দর্য, বেদনাভরা মাধুর্য, আর তাঁর অভিনয়ের গভীরতা। ‘পাকিজা’, ‘সাহিব বিবি ঔর গুলাম’-এর মতো কালজয়ী ছবির এই নায়িকা পরিণত হয়েছিলেন এক প্রতীকে, যার জীবন ছিল সাফল্যের ঝলকানির আড়ালে এক নিঃসঙ্গ সংগ্রাম।

প্রযোজনা সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, ‘কমল ঔর মীনা’ তুলে ধরবে মীনা কুমারীর ব্যক্তিগত ও পেশাগত জীবনের জটিলতা, খ্যাতির চাপ, ভালবাসার টানাপোড়েন, একাকিত্ব, আর তাঁর শিল্পীসত্তার অমর প্রভাব। কিয়ারা ইতিমধ্যেই শুরু করেছেন গভীর প্রস্তুতি। অনুশীলন করছেন মীনা কুমারীর ভঙ্গি, চোখের ভাষা, কণ্ঠের ওঠানামা আর পর্দায় সেই নরম অথচ তীব্র উপস্থিতি ফুটিয়ে তোলার। ছবিতে থাকবে মীনা কুমারী ও পরিচালক কামাল আমরোহির সম্পর্কের দিকটিও, যাঁদের সৃজনশীল সহযোগিতায় জন্ম নিয়েছিল ভারতীয় সিনেমার সবচেয়ে প্রতীকী কিছু সৃষ্টি।

২০২৬ সালের শুরুতে শুটিং শুরু হবে বলে জানা গেছে। ‘কমল ঔর মীনা’ হতে চলেছে অতীতের নস্ট্যালজিয়া আর আধুনিক সংবেদনশীলতার মেলবন্ধন। এক ট্র্যাজেডি কুইনের প্রতি আবেগময় শ্রদ্ধাঞ্জলি, যা নতুন প্রজন্মকে ফের মনে করিয়ে দেবে সৌন্দর্যের ভেতরেও কতটা বেদনা লুকিয়ে থাকে।