যৌনতা আমাদের জীবনের সঙ্গে ওত:প্রোতভাবে জড়িত। খিদে পাওয়া, ঘুম পাওয়ার মতো যৌনতাও মানুষের একটি স্বাভাবিক প্রবৃত্তি। কারও কাছে ভালবাসার প্রকাশ, কারওর জন্য শারীরিক পরিতৃপ্তি, নিঃসন্দেহে শারীরিক মিলন দু’টি মানুষের সম্পর্কের রসায়নকে আরও দৃঢ় করে। সার্বিকভাবে সুস্থ জীবনের জন্যও সুখকর যৌনজীবন জরুরি। 

নিয়মিত মিলন শুধু যৌনসুখই নয়, শরীরের উপরও ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। তবে সমস্যা শুরু হয় বয়স বাড়লে বিশেষ করে ৪০ বছরের পর শারীরিক মিলনে অনীহা জন্মায়। নেপথ্যে থাকতে পারে শারীরিক অসুস্থতা বা কোনও রোগের জটিলতা। সার্বিকভাবে যার প্রভাব পড়ে সম্পর্কেও। সেক্ষেত্রে কয়েকটি কৌশল মেনে চললেই সম্পর্কের উষ্ণতা বজায় থাকবে।  

আরও পড়ুনঃ সঙ্গীর যৌনমিলনে একেবারেই অরুচি? বিছানায় ঘনিষ্ঠ হতে চান না? নেপথ্যে থাকতে পারে বড় কারণ

* স্বাস্থ্যের যত্ন নিনঃ যৌন জীবনের উপর স্বাস্থ্য সরাসরি প্রভাব ফেলে। ৪০ বছর বয়সের পর শারীরিকভাবে সক্রিয় থাকা এবং  শরীরের যত্ন নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। 

* প্রতিদিন ব্যায়াম করুন - প্রতিদিন কমপক্ষে ৩০ মিনিট হাঁটা, জগিং, সাঁতার বা যোগব্যায়ামের মতো হালকা ব্যায়াম করুন। এটি আপনার স্ট্যামিনা, নমনীয়তা এবং রক্ত ​​প্রবাহ বাড়াবে। ব্যায়াম মানসিক চাপ কমায় এবং যৌন জীবন উন্নত করে।

আরও পড়ুনঃ সঙ্গীর এই সব গোপন কথা ফাঁস করলেই বিপদ পড়বেন! প্রিয় বন্ধুকে বললেও চিড় ধরতে পারে দাম্পত্যে

* সুষম খাদ্য - ফল, শাকসবজি, গোটা শস্য এবং কম প্রোটিনযুক্ত খাবার খান। অত্যন্ত প্রক্রিয়াজাত খাবার, চিনি এবং অস্বাস্থ্যকর ফ্যাট এড়িয়ে চলুন। এই ধরনের খাবার যৌন জীবনের ক্ষতি করতে পারে।

* পর্যাপ্ত জল পান করুন - পর্যাপ্ত জল পান করা শরীরের পাশাপাশি যৌন স্বাস্থ্যের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ।

* যৌন স্বাস্থ্য সম্পর্কিত সমস্যাঃ ৪০ বছরের পর পুরুষ কিংবা মহিলা উভয়েরই যৌন স্বাস্থ্য সম্পর্কিত কিছু সমস্যা দেখা দিতে পারে। যা বোঝা এবং সঠিক চিকিৎসা করা গুরুত্বপূর্ণ। যেমন ইস্ট্রোজেন হরমোন কমে যাওয়ার ফলে যৌন মিলনের সময় যোনি শুষ্কতা, পুরুষদের ‘ইরেকটাইল ডিসফাংশন’ বা লিঙ্গ শিথিলতা ইত্যাদি। 

* বিশেষজ্ঞের পরামর্শ করুনঃ যৌন সমস্যার সম্মুখীন হলে লজ্জা বোধ না করে বিশেষজ্ঞের সঙ্গে খোলাখুলি কথা বলুন। তিনি আপনার সমস্যা বুঝে সঠিক চিকিৎসার পরামর্শ দিতে পারবেন।

আরও পড়ুনঃ রাতের আদরে অনিহা স্ত্রী'র? এই কাজগুলো করলেই ঝড় উঠবে বিছানায়

* মানসিক চাপ কমান - ধ্যান, যোগব্যায়াম, গভীর শ্বাস-প্রশ্বাস,  প্রিয়জনের সঙ্গে সময় কাটালে মানসিক চাপ কমে। 

* পর্যাপ্ত ঘুমান- প্রতিদিন ৭-৮ ঘন্টা ভাল ঘুম শরীর এবং মন উভয়ের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ। পর্যাপ্ত ঘুম শক্তি বৃদ্ধি করে এবং যৌন আকাঙ্খাও বাড়ে। 

* কথা বলুনঃ যৌন জীবন কেবল শারীরিক নয়, এটি মানসিক বন্ধনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশও। যার মধ্যে সঙ্গীর সঙ্গে সময় কাটান। একসঙ্গে সিনেমা দেখা, মাঝে মাঝে বাইরে ডিনার খেতে যাওয়া বা নিরিবিলি দু'জনে সময় কাটানোর মাধ্যমেও সম্পর্কে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে।