মিষ্টি আলু — এই সাধারণ অথচ বহুগুণে ভরপুর সবজিটি অক্টোবর মাসের পর থেকেই বাজারে দেখা যায়। প্রাকৃতিক মিষ্টি স্বাদ আর অসাধারণ পুষ্টিগুণের জন্য এটি ছোট-বড় সবার কাছেই সমান জনপ্রিয়। নরম টেক্সচার ও সুবাসে ভরপুর এই সবজিটি শুধু শীতের মুখরোচক খাবারই নয়, বরং শরীরকে উষ্ণ ও পুষ্ট রাখার এক অনন্য উৎস। আয়ুর্বেদে মিষ্টি আলুর স্থান বিশেষ। আয়ুর্বেদ মতে, মিষ্টি আলু শরীরের বাত ও কফ দোষকে সামঞ্জস্যে রাখে, ফলে শরীরে ভারসাম্য বজায় থাকে।
2
7
স্বাদে মিষ্টি হলেও মিষ্টি আলু ‘সাত্ত্বিক’ খাদ্য হিসাবে ধরা হয় এবং উপবাসের দিনেও খাওয়া যায়। এমনকি ডায়াবেটিস রোগীরাও পরিমিত মাত্রায় এটি খেতে পারেন। প্রাকৃতিক শক্তিতে ভরপুর এই খাদ্য শীতকালের সাধারণ রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে এবং শরীরে উদ্যম বাড়ায়।
3
7
মিষ্টি আলুকে অনেকেই ‘সুপারফুড’ বলেন, কারণ এতে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন, খনিজ ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এটি শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, স্নায়ু সুস্থ রাখে এবং অ্যানিমিয়ার ঝুঁকি কমায়। এতে থাকা লোহা ও পটাশিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং খারাপ কোলেস্টেরল হ্রাস করে হৃদযন্ত্রের সুরক্ষা দেয়।
4
7
আয়ুর্বেদ মতে, মিষ্টি আলু মূত্রনালির সংক্রমণ প্রতিরোধে সাহায্য করে। বিশেষ করে স্যুপ আকারে খেলে প্রস্রাবের জ্বালাপোড়া ও অস্বস্তি কমাতে উপকারী।
5
7
শুধু অভ্যন্তরীণ স্বাস্থ্যই নয়, মিষ্টি আলু ত্বক ও চুলের জন্যও উপকারী। এতে থাকা বিটা-ক্যারোটিন ত্বকের দাগ ও পিগমেন্টেশন হ্রাস করে প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা আনে। কুঁচি করা মিষ্টি আলু ফেসপ্যাক হিসেবে ব্যবহার করলে ত্বকের উজ্জ্বলতা ও মসৃণতা আরও বাড়ে।
6
7
শুধু অভ্যন্তরীণ স্বাস্থ্যই নয়, মিষ্টি আলু ত্বক ও চুলের জন্যও উপকারী। এতে থাকা বিটা-ক্যারোটিন ত্বকের দাগ ও পিগমেন্টেশন হ্রাস করে প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা আনে। কুঁচি করা মিষ্টি আলু ফেসপ্যাক হিসেবে ব্যবহার করলে ত্বকের উজ্জ্বলতা ও মসৃণতা আরও বাড়ে।
7
7
সেদ্ধ, ভাজা বা স্যুপ — যেভাবেই খান না কেন, মিষ্টি আলু স্বাদ ও গুণে অনন্য। শীতের খাদ্যতালিকায় এটি সহজ কিন্তু শক্তিশালী এক সংযোজন, যা একসঙ্গে দেয় স্বাস্থ্যের যত্ন ও রসনার তৃপ্তি।