আজকাল ওয়েবডেস্ক: দিল্লি মহিলাদের জন্য সুরক্ষিত? না কি নয়? সে প্রশ্ন দীর্ঘদিনের। নানা ঘটনায় সেই প্রশ্ন আরও জোরাল হয়েছে। কিন্তু দেশের রাজধানীতে, দেশেরই এক সাংসদের সঙ্গে যা ঘটে গেল, তাতে প্রশ্ন যেন আরও বড় হয়ে দেখা দিল।

কী হয়েছে? সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, সোমবার সকালে নিজের বাসভবনের সামনেই কংগ্রেস সাংসদের গলার হার ছিঁড়ে নিয়ে গিয়েছে কেউ। শুধু তাই নয়, সাতসকালে আচমকা উলটো দিক থেকে এসে সোনার হার ছিঁড়ে নেওয়ার ঘটনায় ঘাড়ে, গলায় রীতিমতো আহত হয়েছেন সাংসদ। অথচ ওই এলাকা তাঁর পরিচিত। অনেকটা সময় তিনি সেখানেই থাকছেন। তার পরেও, চেনা পরিসরে, সাংসদদের বাসভবনের মতো জায়গায় কীভাবে এই ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটল, বুঝে উঠতে পারছেন না তিনি নিজেই। 

তিনি নিজেই জানিয়েছেন, সোমবার সকালে তামিলনাড়ুর মায়িলাদুথুরাই আসনের কংগ্রেস সাংসদ আর সুধা ডিএমকে রাজ্যসভার সদস্য রাজতী সালমার সঙ্গে নয়াদিল্লির চাণক্যপুরীতে পোলিশ দূতাবাসের বাইরে প্রাতঃভ্রমণে গিয়েছিলেন। সেখানেই তাঁর সঙ্গে ঘটে যায় ভয়াবহ ঘটনা।

আরও পড়ুন: ঈশ্বরের সঙ্গে দেখা করতে আত্মত্যাগ, সুইসাইড নোট লিখে বহুতল থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী মহিলা...

ঘটনা প্রসঙ্গে কংগ্রেস সাংসদ ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে একটি চিঠি লিখেছেন। তাতে তিনি ঘটনার বিবরণ দিয়েছেন। লিখেছেন, পর্যাপ্ত নিরাপত্তার অভাবের কারণে উচ্চ নিরাপত্তা বলয়ের মধ্যে থেকে একজন কংগ্রেস সাংসদের সঙ্গে যে ঘটনা ঘটে গিয়েছে, তা দুঃখজনক। সুধা লিখেছেন, তাঁর উপর যে আক্রমণের ঘটনা ঘটেছে, তাতে তিনি মর্মাহত, তিনি হতবাক। 

 

চিঠিতে অমিত শাহের উদ্দেশে সুধা লিখেছেন, 'সকাল ৬.১৫-৬.২০ মিনিটের দিকে, যখন আমরা পোল্যান্ড দূতাবাসের গেট-৩ এবং গেট-৪ এর কাছে ছিলাম, তখন বিপরীত দিক থেকে পুরো হেলমেট পরা এবং মুখ ঢেকে একটি স্কুটি চালিয়ে এক ব্যক্তি আমাদের দিকে এগিয়ে আসে এবং আমার সোনার হার ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়। যেহেতু সে বিপরীত দিকে ধীরে ধীরে আসছিল, তাই আমি সন্দেহ করিনি যে সে চেইন ছিনতাইকারী হতে পারে। সে যখন আমার গলা থেকে চেইন টেনে নিয়েছিল, তখন আমার ঘাড়ে আঘাত লেগেছে।' 

?ref_src=twsrc%5Etfw">August 4, 2025

 

তিনি আরও লিখেছেন, 'ভারতের জাতীয় রাজধানীর এই উচ্চ নিরাপত্তা বলয়ে মোড়া অঞ্চলে যদি কোনও মহিলা নিরাপদে হাঁটতে না পারেন, তাহলে আমরা আর কোথায় নিরাপদ বোধ করতে পারি এবং আমাদের শরীর, জীবন এবং মূল্যবান জিনিসপত্রের ভয় না পেয়ে আমাদের রুটিন পালন করতে পারি?'  তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে অপরাধীকে খুঁজে বের করে গ্রেপ্তার করার জন্য অনুরোধ করেছেন চিঠিতে, সূত্রের খবর তেমনটাই। 

 

প্রতিবেদন লেখার সময় পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, দিল্লি পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। কে এই ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটিয়েছে? তল্লাশি চলছে তার। তদন্তের অগ্রগতিতে এলাকায় সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখছে পুলিশ, জানা গিয়েছে তেমনটাও। তবে এই ঘটনা ফের নতুন করে দিল্লিতে মহিলা নিরাপত্তা নিয়ে বড় প্রশ্ন তুলে দিল, তেমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।