আজকাল ওয়েবডেস্ক: ইন্টার মায়ামির প্রাণভোমরা লিও মেসি। আরও একবার তা দেখা গেল। লিগস কাপের প্রথম ম্যাচে ইন্টার মায়ামি ২-১ গোলে হারাল অ্যাটলাসকে। তিনি গোল করেননি। তবে মায়ামির দুটো গোলের পিছনেই রয়েছে মেসির পা।
এক ম্যাচের নিষেধাজ্ঞার পরে অ্যাটলাসের বিরুদ্ধে মাঠে নেমেছিলেন মেসি। ৫৮ মিনিটে তেলাস্কো গোল করে এগিয়ে দিয়েছিলেন মায়ামিকে। অ্যাসিস্ট করেছিলেন মেসি। অ্যাটলাস সমতা ফেরায় খেলার ৮০ মিনিটে। ৯৬ মিনিটে মার্সেলো মায়ামির হয়ে জয়সূচক গোলটি করেন। এক্ষেত্রেও তাঁকে গোলের গন্ধ মাখা পাসটা বাড়িয়েছিলেন সেই মেসিই।
ম্যাচ ১-১ হওয়ার পরে উত্তেজনার বারুদ ছিল ম্যাচে। অ্যাডেড টাইমে মায়ামি জয়সূচক গোলটি পেয়ে যাওয়ায় মেসি আর নিজেকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেননি। প্রতিপক্ষের ফুটবলারকে উদ্দেশ্য করে উত্তেজিত ভাবে হাত ছুড়তে শুরু করেন মেসি। সেই মুহূর্ত ভাইরাল হয়ে যায়। অবশ্য মায়ামির দ্বিতীয় গোলটির পরে স্টেডিয়াম উত্তাল হয়ে ওঠে। অন্যদিকে মাঠে সুয়ারেজ ও রডরিগো দি পলকে জড়িয়ে ধরে রাগত উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন মেসি। এমন দৃশ্য অতীতে দেখা যায়নি কখনও।
মেজর লিগ সকারের অল-স্টার ম্যাচে অংশ না নেওয়ার খেসারত দিতে হয়েছে লিও মেসি ও জর্ডি আলবাকে। রবিবার মেজর লিগ সকারে ইন্টার মায়ামি ও সিনসিনাটির খেলা। সেই ম্যাচে মায়ামির দলে থাকবেন না মেসি ও আলবা। এক ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা নেমে এসেছে তাঁদের উপরে। এ তো একপ্রকার সেমসাইড গোল। মেজর লিগ সকারের অল স্টার ম্যাচে না খেলে নিষিদ্ধ হওয়া একপ্রকার আত্মঘাতী গোলই বলা চলে। মেসি খেললেন না কেন?
অল স্টার ম্যাচে অংশ নিলেন না, তা বুঝছেন সবাই। কিন্তু অল-স্টার গেমে অংশ নেওয়ার ক্ষেত্রে দীর্ঘদিনের নিয়ম প্রচলিত রয়েছে। সেই নিয়মই কার্যকর করা হয়েছে মেসির ক্ষেত্রেও। মেসিকে নির্বাসিত করার সিদ্ধান্ত সব অর্থেই ছিল কঠিন। কিন্তু নিয়ম যেহেতু সবার জন্যই এক, সেই কারণে এলএম ১০-এর উপরে নেমে এল শাস্তির খাঁড়া। টানা খেলে চলেছেন মেসি। সেই কারণে তিনি আর অল-স্টার গেমে নামেননি।
Lionel Messi was hyped after Inter Miami scored the last minute winner ????
— MC (@CrewsMat10)
pic.twitter.com/AbIAXBjtjSTweet by @CrewsMat10
৩০ এপ্রিল থেকে মায়ামির প্রতিটি ম্যাচেই খেলে চলেছেন মেসি। সবক'টি ম্যাচেই তিনি পুরোদস্তুর ৯০ মিনিট খেলেছেন। ১৪ জুন থেকে মেসি মায়ামির জার্সি পরে খেলেছেন ৯টি ম্যাচ। এর মধ্যে ক্লাব ওয়ার্ল্ড কাপেই খেলেন চারটি ম্যাচ। ২৭ এপ্রিল মায়ামির হয়ে না নামলেও পরবর্তীতে সব ম্যাচেই খেলতে দেখা গিয়েছে মেসিকে। এহেন মেসিই মাঠে নেমে আবার রুটিনমাফিক গোলের পাস বাড়ালেন। সেই পাস থেকে তাঁর সতীর্থরা গোল করলেন। এমনকী ম্যাচ যখন ১-১, তখন মেসির পাস থেকেই অচলাবস্থা কাটান মায়ামির খেলোয়াড় মার্সেলো।
