অভিনেতা অশোক সারাফ, যিনি মূলত তাঁর হাস্যরসাত্মক অভিনয়ের জন্য পরিচিত, তিনি ১৯৯২ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত সলমন খান অভিনীত 'জাগৃতি' ছবিতে এক খলনায়কের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। সলমন খান ও অশোক সরাফ একসঙ্গে 'করণ অর্জুন', 'পেয়ার কিয়া তো ডরনা কেয়া', 'বন্ধন' সহ একাধিক ছবিতে কাজ করেছেন। তাঁদের মধ্যে বেশ ভালই বন্ধুত্ব রয়েছে। তবে এক সময় নাকি অশোকের গলায় ধারালো ছুরি ধরেছিলেন 'ভাইজান'?

 


'জাগৃতি' ছবিতে নেতিবাচক চরিত্রে অভিনয় করতে গিয়ে তিনি শুটিং চলাকালীন এক ভয়ংকর অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হন অশোক। যা তাঁকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছিল। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে সারাফ স্মৃতিচারণা করে জানান, সলমন খান নাকি তাঁর গলায় ছুরি ধরেছিলেন। 


এক সাক্ষাৎকারে অশোক সারাফ বলেন, “ওই দৃশ্যে সালমান একটি আসল ছুরি দিয়ে আমার গলায় চেপে ধরেছিল। ছুরির সেই অংশটি দিয়ে চাপ দেওয়ার জন্য, গলা কেটে দিয়েছিল। সংলাপ বলা শুরু হতেই আমি তার হাত থেকে নিজেকে ছাড়াতে চেষ্টা করি। কিন্তু সলমন তখনও ছুরি দিয়ে জোরে চাপ দিচ্ছিল। আমি বাধ্য হয়ে বলি, কী করছো? আমার গলা কেটে যাচ্ছে!"

 


তিনি আরও বলেন, “সলমন আমাকে জিজ্ঞাসা করলেন, ‘তবে কী করব?’ আমি বললাম, ছুরিটা উল্টো করে ধরো। তখন তিনি বললেন, ‘কিন্তু ক্যামেরায় সেটা বাজে দেখা যাবে’। আমি তখন বললাম, থাক! যেভাবে শুট চলছে চলুক। দৃশ্যটা শেষ করলাম, কিন্তু পরে দেখি গলায় গভীর কাটা। যদি গলার নার্ভ কেটে যেত, তাহলে আমি হয়তো আজ বেঁচে থাকতাম না। সেই মুহূর্তটা এখনও পর্যন্ত ভুলতে পারি না। আমি নিশ্চিত নই সলমন এই ঘটনা মনে রেখেছেন কি না, ও তো অনেক কিছু ভুলে যায়।” 

 

আরও পড়ুন: আমির খানের বাড়িতে হঠাৎ হাজির বিশাল পুলিশ বাহিনি! কী কারণে আইনের মুখোমুখি হলেন 'মিস্টার পারফেকশনিস্ট'?


প্রসঙ্গত, অনুরাগীরা সলমনকে পরবর্তীতে দেখতে পাবেন, অপূর্ব লাখিয়া পরিচালিত 'ব্যাটল অফ গলওয়ান' নামক ছবিতে। বহুল প্রতীক্ষিত এই ছবিটি ২০২০ সালে ভারত ও চীনের মধ্যে সংঘটিত গলওয়ান উপত্যকার সংঘর্ষের উপর ভিত্তি করে তৈরি। ছবিটি আগামী বছরের জানুয়ারিতে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে। এই ছবির জন্য কঠোর পরিশ্রম করছেন বলিউডের 'ভাইজান'। শারীরিক পরিবর্তনের পাশাপাশি ডায়েটেও পরিবর্তন এনেছেন সলমন। রেখেছেন মোটা গোঁফ। ইতিমধ্যেই সামনে এসেছে এই ছবির প্রথম পোস্টার। যা ঘিরে রীতিমতো উত্তেজনা ছড়িয়েছে দর্শক মহলে। 

 


প্রসঙ্গত, বিষ্ণোই দলের তরফে প্রাণনাশের হুমকির পর থেকে বেড়েছে সলমনের নিরাপত্তা। ‘ওয়াই ক্যাটেগরি’র নিরাপত্তায় সর্ব ক্ষণ থাকতে হয় তাঁকে। সারাক্ষণ বুলেটপ্রুফ গাড়িতে ঘোরেন তিনি। ব্যক্তিগত নিরাপত্তাকর্মী ছাড়াও সর্ব ক্ষণ পাশে থাকেন মহারাষ্ট্র রাজ্য পুলিশের কনস্টেবল। সলমনের নিরাপত্তার চিন্তায় কপালে ভাঁজ তাঁর পরিবার-পরিজনেরও। সম্প্রতি তাঁর খোলা বারান্দায় লাগানো হয়েছে বুলেটপ্রুফ কাচ। এত সুরক্ষার মাঝে থাকতে থাকতে তিনি ক্লান্ত, নিজেই স্বীকার করেছেন সলমন। এবার এক সাক্ষাৎকারে বলিউডের 'ভাইজান' জানান তিনি বান্দ্রার রাস্তায় সাইকেল চালানোটা খুব মিস করেন। আসলে এক সময় সলমনকে ফুরফুরে মেজাজে বান্দ্রার রাস্তায় সাইকেল চালাতে দেখা যেত। কিন্তু সম্প্রতি কড়া নিরাপত্তার জন্য আর সেভাবে ফাঁকা রাস্তায় দেখা যায় না তাঁকে। তাই মন খারাপ 'ভাইজান'-এর।