সঞ্জয় দত্ত মানেই শুধুই ‘ভাই’ নয়—একেবারে মিষ্টি মানুষ! বিদ্যা বলানের মুখে শোনা গেল অভাবনীয় অভিজ্ঞতা। বলিউডে এককালে ক্যাসানোভা ইমেজ থাকলেও, আসলে তিনি একেবারে 'খাঁটি হৃদয়ের মানুষ'—সঞ্জয় দত্তকে নিয়ে বিদ্যা বাললানের এই অজানা গল্প শুনলে অবাক হবেন অনেকেই।
সম্প্রতি, এক সাক্ষাৎকারে হঠাৎই উঠে আসে এক অন্যরকমের মুহূর্ত—এক অভিনেতার সঙ্গে বিদ্যার এক অস্বস্তিকর 'ঘনিষ্ঠ দৃশ্য' শুটিংয়ের অভিজ্ঞতা! অভিনেতার নাম না নিলেও বিদ্যা বলেন, “একবার এক অভিনেতা খাবার খেয়ে (মুখ কুঁচকে) ব্রাশ না করে চলে এসেছিলেন! তারপর ওর সঙ্গে সেই ঘনিষ্ঠ দৃশ্যের শুটিং করতে হয়েছিল... আরে আমি ভাবছিলাম, প্লিজ! তোমার কি কোনও প্রেমিকা নেই নাকি?”
এই তিক্ত অভিজ্ঞতার ঠিক উল্টো মিষ্টি গল্পও উঠে আসে, যখন বিদ্যা ফিরে যান নিজের প্রথম ঘনিষ্ঠ দৃশ্যের স্মৃতিতে। বলিউডে তাঁর প্রথম ছবি 'পরিণীতা'-তে সেই দৃশ্যটি ছিল সঞ্জয় দত্তের সঙ্গে। ছবিতে সঞ্জয় ছিলেন 'গিরিশ', আর বিদ্যা ছিলেন 'ললিতা'।
বিদ্যা বলেন, “সঞ্জয় দত্ত সেই দৃশ্যের শুটিংয়ের সকালে এসে বললেন, ‘বিদ্যা, আমি খুব নার্ভাস। বুঝতে পারছি না এটা কীভাবে করব?’ শুনে তো আমি থ! আমি তখন ভাবছি, এ তো সঞ্জয় দত্ত। এত বড় তারকা! আর উনি নার্ভাস? সেটা শুনেই হাসি পাচ্ছিল। উনি তো সবদিক থেকেই ‘অভিজ্ঞ’!”
কিন্তু এরপরেই বিদ্যা বুঝেছিলেন—এই ‘নার্ভাস’ অভিনয়টা সঞ্জয় করছেন শুধু ওঁকে স্বচ্ছন্দ করে তোলার জন্য। “ওটা ওঁর উদারতা ছিল। আমার প্রথম ঘনিষ্ঠ শুটিংয়ের দৃশ্য ছিল ওটা, আমি তো ভীষণ অস্বস্তিতে ছিলাম। কী করব, কিছু বুঝছিলাম না। মনে হচ্ছিল, নিজের খুব গোপন একটা অংশ সবাইকে খুলে দেখাচ্ছি! সঞ্জয় তখন নিজের অভিজ্ঞতা গোপন রেখে আমাকেই হালকা করার চেষ্টা করলেন।”
আর এখানেই শেষ নয়! সিন শেষ হওয়ার পর সঞ্জয় নিজে এসে খোঁজ নিয়েছিলেন বিদ্যার—“শেষে এসে দরজায় টোকা মেরে জিজ্ঞেস করলেন, ‘তুমি ঠিক আছিস তো?’ আমি বললাম, ‘একদম।’ তখন তিনি কপালে চুমু এঁকে দিয়ে বললেন, ‘তাহলে ভাল’। সেই মুহূর্তটা আমি কোনওদিন ভুলব না।”
বিদ্যা শেষে মজা করে বলেন, “ আর হ্যাঁ, ওঁর শরীর থেকে কিন্তু সুন্দর গন্ধও বেরোচ্ছিল!”
সত্যিই, এই জন্যই তো সঞ্জয় দত্ত, স্রেফ একটা নাম নয়—এক অন্যরকম ভাললাগার অনুভব।
প্রসঙ্গত, বিদ্যার ৪৬ বছর বয়স! শুনলেই চোখ কপালে তুলবেন অনেকেই, কারণ সম্প্রতি প্রকাশিত একটি ম্যাগাজিনের প্রচ্ছদে যেভাবে ধরা দিলেন, নিজেকে মেলে ধরলেন অভিনেত্রী বিদ্যা বালান, তা দেখে নেটপাড়া বাকরুদ্ধ। এই কভার শুটে বিদ্যাকে দেখা গেল এক চোখ ঝলসে দেওয়া লুকে—গাঢ় লাল গাউনে, ডিপ নেকলাইনে, হালকা গয়না, আর নতুন হেয়ারস্টাইলে যেন সময়কে পিছিয়ে দিলেন তিনি!
“যে ঝড়কে উপেক্ষা করা যায় না” — ঠিক যেমন তিনি বরাবরই ছিলেন, একজন নারী অভিনেত্রী যিনি পুরুষ-নিয়ন্ত্রিত ইন্ডাস্ট্রিতে নিজের আলাদা জায়গা করে নিয়েছেন, বারবার।এই ছবির মাধ্যমে যেমন বিদ্যার গ্ল্যামারাস রূপের পুনরাবিষ্কার হল, তেমনি উঠে এল আলোচনা এবং বিতর্কের ঝড়।
