আজকাল ওয়েবডেস্ক: কেরিয়ারের গোড়ার দিকে তাঁর উপরে মহেন্দ্র সিং ধোনির প্রভাব ছিল। ভারতের বিশ্বজয়ী অধিনায়কের সমর্থন পেয়েই আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠেন শিখর ধাওয়ান।
লন্ডনে একটি ইভেন্টে ধাওয়ান তাঁর ক্রিকেট জীবনে দেশের প্রাক্তন অধিনায়কের অবদানের কথা তুলে ধরলেন। শুধু কি ধোনি? বিরাট কোহলি ও রোহিত শর্মাও তাঁকে সাহায্য করেছেন বলে জানান ধাওয়ান।
দেশের প্রাক্তন ওপেনার বলেন, ''ধোনি ভাই আমাকে দারুণ সাহায্য করেছিল। আমার পাশে ছিল। কেরিয়ারের গোড়ার দিকে আমার প্রতি আস্থা রেখেছিল ধোনি। আর সেটাই পার্থক্য গড়ে দিয়েছিল। নেতার আস্থা সঙ্গে থাকলে সংশ্লিষ্ট ক্রিকেটার বহুদূর এগিয়ে যেতে পারে, বেড়ে উঠতেও পারে।''
পরবর্তীকালে কোহলি ও রোহিতও তাঁকে সাহায্য করেছেন। কিন্তু ধোনির সমর্থন সব অর্থেই ছিল স্পেশ্যাল। বিশ্বের ভয়ঙ্কর সব বোলারদের মোকাবিলা করেছিলেন ধাওয়ান। কিন্তু কাকে খেলা ছিল সবথেকে কঠিন? একটি জনপ্রিয় অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে রোহিত শর্মা একবার জানিয়েছিলেন, দু' জন ভারতীয় ক্রিকেটারের সঙ্গে তিনি রুম শেয়ার করতে চান না। কারণ তাঁরা ঘর নোংরা করেন। একজন শিখর ধাওয়ান। দ্বিতীয় জন হলেন ঋষভ পন্থ।

রোহিত বলেছিলেন, হোটেলকর্মীদের ঘর পরিষ্কারও করতে দেন না ধাওয়ান ও পন্থ। হোটেলের দরজায় 'ডোন্ট ডিসটার্ব' বোর্ড ঝুলিয়ে রেখে বেলা একটা পর্যন্ত তাঁরা ঘুমান। হোটেল কর্মীরা ঘর পরিষ্কার করতে না পারায় সেই ঘর অগোছাল থেকে যায়। মেঝেতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকে জিনিসপত্র। সেই কারণেই ধাওয়ানের সঙ্গে রুম শেয়ার করতে চাইতেন না হিটম্যান। এ তো গেল মাঠের বাইরের ঘটনা। মাঠের ভিতরে অবশ্য শিখর ধাওয়ান ছিলেন দারুণ সিরিয়াস। প্রতিপক্ষের আগুনে বোলারদের তিনি সামলেছেন খুব সহজেই। বেগ পেতে হয়নি তাঁকে।
এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ''ডেল স্টেনকে সামলানো খুব কঠিন ছিল। গতি, আগ্রাসন, স্কিল এবং সেই ভয়ঙ্কর তাকানো। জেমস অ্যান্ডারসনও। চলত স্লেজিং। তা অবশ্য খেলার অঙ্গ। কখনও কখনও স্লেজিং সেরাটা বের করে আনে।''

ভারতীয় দলের হয়ে মোট ২৪টি সেঞ্চুরি, ৫৫টি অর্ধ শতরান করেন ধাওয়ান। একসময়ে বিশ্বের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান ছিলেন। ২০১৯ বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে তাঁর শতরান কে ভুলতে পারেন!
২০২৪ সালের আগস্টে ব্যাট-প্যাড তুলে রাখেন ধাওয়ান। আন্তর্জাতিক কেরিয়ারে ২৬৯টি ম্যাচ খেলেন ধাওয়ান। ১০ হাজারের উপরে রান করেন। জাতীয় দলে তাঁর অবদান ভোলার নয়।
কয়েকদিনের মধ্যেই প্রকাশিত হতে চলেছে ধাওয়ানের আত্মজীবনী ‘দ্য ওয়ান’। ২০১৩ সালে অভিষেক হয় ধাওয়ানের। তার পরে দিল্লির এক অখ্যাত যুবক ধীরে ধীরে জাতীয় দলে জায়গা পান। প্রথম একাদশে জায়গা করে নিয়ে বিশ্বের ভয়ঙ্কর সব বোলারদের বিষ শুষে নিতেন।

তাঁর সেই পথচলার রাস্তা কাঁটা বিছানো ছিল। ধাওয়ান কিন্তু পেরেছিলেন। তাঁর বেড়ে ওঠার পিছনে, ফুলে ফেঁপে ওঠার পিছনে মহেন্দ্র সিং ধোনির ভূমিকা অনস্বীকার্য।
আরও পড়ুন: ডার্বির আঁচ গায়ে মাখতে চান, কেন বাকি ক্লাবের প্রস্তাব ফিরিয়ে চার বছরের চুক্তিতে মোহনবাগানে অভিষেক?
