আজকাল ওয়েবডেস্ক: অসমের বনগাইগাঁওর এক সরকারি মহিলা ইঞ্জিনিয়রের ঝুলন্ত দেহ হল তাঁর ভাড়া বাড়ির ঘর থেকে। জানা গিয়েছে, ৩০ বছর বয়সী মৃতার নাম জ্যোতিষা দাস। পুলিশ জানিয়েছে, পূর্ত দপ্তরে কর্মরত ওই সহকারি ইঞ্জিনিয়রের ঘর থেকে একটি সুইসাইড নোটও উদ্ধার হয়েছে।
উদ্ধার হওয়া সুইসাইড নোটে ইঞ্জিনিয়র জ্যোতিষা দাস তাঁর দুই দুই ঊর্ধ্বতন আধিকারিক সাব-ডিভিশনাল অফিসার (এসডিও) আমিনুল ইসলাম এবং এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়র দীনেশ মেধির বিরুদ্ধে ক্রমাগত মানসিক হেনস্থার অভিযোগ তুলেছেন। যার জেরেই তাঁর এই চরম পদক্ষেপ বলে উল্লেখ রয়েছে ওি সুইসাইড নোটে।
প্রাথমিক তদন্তের পর, বনগাইগাঁওর পুলিশ অভিযুক্ত দুই সরকারি আধিকারিককেই গ্রেপ্তার করেছে। সিনিয়র পুলিশ অফিসার মোহন লাল মীনা বলেন, "আমরা সুইসাইড নোটে নাম থাকা দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছি। তাঁদের বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো হয়েছে। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ এবং তদন্ত করার জন্য আমাদের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।"
পুলিশ অফিসার মীনা-র কথায়, অভিযুক্ত দুই কর্মকর্তাকে এক মাস আগে জেলার বাইরে বদলি করা হয়েছিল। আমিনুলকে কামরূপে পাঠানো হলেও, দীনেশকে পদোন্নতি দিয়ে নলবাড়ি জেলায় পাঠানো হয়।
আরও পড়ুন- মিড-ডে মিলে ডিম, কর্ণাটকে প্রচণ্ড শোরগোল! সরকারি স্কুল ছাড়ার হুঁশিয়ারি শিক্ষার্থীদের
সংবাদ সংস্থা পিটিাই-কে এক সরকারি অফিসার জানিয়েছেন যে, ইঞ্জিনিয়র জ্যোতিষা দাসকে মিনি-স্টেডিয়াম নির্মাণের বিষয়ে অসম্পূর্ণ কাজের 'ভুয়ো বিল' পাশ করানোর জন্য ক্রমাগত চাপ দেওয়া হচ্ছিল গত বেশ কয়েকদিন ধরেই। সুইসাইড নোটে জ্যোতিষা লিখেছেন, 'আমি আমার কাজের কারণে প্রবল মানসিক চাপে রয়েছি। অফিসে আমার পাশে কাউকে পাচ্ছি না। আমি ক্লান্ত, কোথাও যাওয়ার পথ নেই। আমার বাবা-মাও আমার জন্য চিন্তায় রয়েছেন।'
এই চিঠি সামনে আসার পরই পরিবারের তরফে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। এরপর পুলিশ ভারতীয় দণ্ডবিধির আত্মহত্যায় প্ররোচনার ধারা অনুযায়ী মামলা রুজু করে।
এই ঘটনা সামনে আসতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা জানিয়েছেন, বিষয়টির পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হবে। তাঁর কথায়,
 
 "আমরা সমস্ত দিক খতিয়ে দেখছি। ওই বিলের ভিত্তিতে যে নির্মাণকাজের দাবি করা হয়েছে, তা বাস্তবে কতটা সম্পূর্ণ হয়েছে, তা ফের যাচাই করা হবে। পুরো কাজের আর্থিক খতিয়ানও নতুন করে হিসাব করা হবে।"
