আজকাল ওয়েবডেস্ক: বিরোধীরা প্রথম থেকেই দাবি জানিয়েছিল, সংসদে আলোচনা করতে হবে অপারেশন সিঁদুর নিয়ে। বিশেষ অধিবেশনের দাবিও জানানো হয়েছিল। সোমবার থেকে শুরু হয়েছে সংসদের বাদল অধিবেশন। সেখানেই সংসদে অপারেশন সিঁদুর নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। রবিবার এমনটাই জানিয়ে দেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরেন রিজুজু। তবে এই আলোচনা যেন সংসদের মধ্যে সুস্থ পরিবেশ বজায় রাখে সেদিকেও জোর দিয়েছিলেন তিনি।
সংসদের কোন কক্ষে, কতক্ষণ সময় বরাদ্দ অপারেশন সিঁদুর নিয়ে আলোচনার, জানা গিয়েছিল তাও। বুধবার জানা গেল, কবে, সংসদের কোন কক্ষে আলোচনা হবে তা নিয়ে। ২১ জুলাই জানা গিয়েছিল, অপারেশন সিঁদুরের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলচনার জন্য, কেন্দ্র লোকসবায় ১৬ ঘণ্টা এবং রাজ্যসভায় ৯ঘণ্টা সময় বরাদ্দ করেছে। বুধবার জানা গেল, আগামী সপ্তাহে শুরু হবে আলোচনা। কেন্দ্র সংসদের দুই কক্ষেই ১৬ ঘণ্টা এই আলোচনা চালানোর কথা জানিয়েছে, তেমনটাই জানা গিয়েছে সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যম সূত্রে। একাধিক সূত্রে খবর, ২৯ জুলাই পার্লামেন্টে আলোচনা হবে অপারেশন সিঁদুর নিয়ে।'
সর্বভবারতীয় সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, প্রধানমন্ত্রী আগামী মঙ্গলবার, অর্থাৎ ২৯শে জুলাই রাজ্যসভায় এই বিষয়ে ভাষণ দেবেন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অমিত শাহ এবং রাজনাথ সিং-ও বক্তব্য রাখবেন বলে খবর সূত্রের। এর আগেই বিরোধীরা প্রধানমন্ত্রীকে সশস্ত্র বাহিনীর পদক্ষেপ নিয়ে সংসদে ভাষণ দেওয়ার দাবি জানিয়েছিল। একই সঙ্গে দাবি জানানো হয়েছিল, এই আলোচনা হোক অধিবেশনের শুরুতেই। বিরোধীদের লাগাতার চাপের মুখে, কেন্দ্র প্রথম সপ্তাহে না হলেও, বাদল অধিবেশনের দ্বিতীয় সপ্তাহে আলোচনার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে। এএনআই সূত্রে খবর, বুধবার রাজ্যসভার বিএসি-র একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়, সেখানেই ২৯ জুলাই উচ্চকক্ষে অপারেশন সিন্দুর নিয়ে আলোচনা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

৬ মে রাতে পহেলগাঁও হামলার জবাব দিতে এই অভিযান পরিচালিত হয়েছিল। এছাড়াও দুই দেশের মহাপরিচালকদের (DGMO) স্তরে সরাসরি যোগাযোগের পর দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়, যা ইসলামাবাদের উদ্যোগে শুরু হয়েছিল। যদিও কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী অভিযোগ করেছিলেন, যে সরকার অপারেশন সিঁদুর সম্পর্কে পাকিস্তানকে আগে থেকেই জানিয়েছিল, এটিকে ‘অপরাধ’ বলে অভিহিত করার পর রাজনৈতিক বিতর্ক শুরু হওয়ার কয়েকদিন পরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর এই সাফাই সামনে এসেছে। বিদেশ বিষয়ক সংসদীয় পরামর্শদাতা কমিটির বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন জয়শংকর। সেখানেই সব দলের প্রতিনিধিদের সামনে অপারেশন সিঁদুর এবং পাকিস্তান থেকে উদ্ভূত আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাসবাদ নিয়ে আলোচনা হয়। বৈঠকে জয়শঙ্কর সদস্যদের আশ্বস্ত করেছেন, যে ভারত কেবল সন্ত্রাসবাদি পরিকাঠামো লক্ষ্য করে যথাযথ পদক্ষেপ নিয়েছে, এবং উত্তেজনা এড়াতে তাৎক্ষণিকভাবে পাকিস্তানকে বিষয়টি অবহিত করেছে।
অপারেশন সিঁদুর শুরু হওয়ার ৩০ মিনিট পর পাকিস্তানকে জানিয়েছিল ভারত। কয়েকদিন আগে সংসদীয় পরামর্শদাতা কমিটিকে এই কথা জানিয়েছেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর। তিনি জানান, যে ভারত পাকিস্তান এবং পাক-অধিকৃত কাশ্মীরের (POK) নয়টি সন্ত্রাসী শিবির লক্ষ্য করে অপারেশন সিন্দুর শুরু করার ৩০ মিনিট পরে ইসলামাবাদকে সতর্ক করে।
