আজকাল ওয়েবডেস্ক:‌ ম্যাঞ্চেস্টার টেস্টে প্রথম একাদশে দেখা যাবে সাই সুদর্শনকে?‌ সম্ভাবনা রয়েছে। তবে ম্যাচের আগের দিন অর্থাৎ মঙ্গলবার অধিনায়ক শুভমন গিলের একটি অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেন সাই সুদর্শন। শুভমন জিজ্ঞাসা করেছিলেন যে, সুদর্শন নেটে ব্যাট করতে আগ্রহী কি না। কিন্তু সুদর্শন হেসে সেই অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেন।


অবশ্য গোটা বিষয়টাই হয়েছে মজার ছলে। প্রসঙ্গত শুভমন গিল এবং সাই সুদর্শন দু’জনেই খেলেন আইপিএলের দল গুজরাট টাইটান্সে। সেই সুবাদে শুভমন জানেন যে, ম্যাচের আগের দিন অনুশীলন করেন না সুদর্শন। সে দিন গা গরম করলেও নিজেকে চাপমুক্ত রাখার চেষ্টা করেন সুদর্শন। তাই অনুরোধ প্রত্যাখ্যাত হলেও শুভমন রেগে যাননি।


এদিকে ম্যাঞ্চেস্টার টেস্ট ম্যাচের আগের দিন সুদর্শন দীর্ঘ সময় ধরে অনুশীলন করেন। অনেক ক্ষণ ব্যাট করতে দেখা যায় তাঁকে। তবে ম্যাচের আগের দিন সাধারণত তাঁকে ব্যাট ধরতেই দেখা যায় না। অতীতে ম্যাচের আগের দিন ব্যাট করে ক্লান্ত হয়ে যেতেন সুদর্শন। তার প্রভাব পড়ত ম্যাচে। গত বছর গুজরাটের কোচরা সুদর্শনকে ম্যাচের আগের দিন হালকা থাকার পরামর্শ দেন। সেই পরামর্শ শুনেই এ বছরের আইপিএলে সাফল্য পেয়েছেন সুদর্শন।

 

আরও পড়ুন:‌ লর্ডসে ভারতের হারের পেছনে এই কারণগুলো তুলে ধরলেন প্রাক্তন কোচ 


এটা ঘটনা শুভমন খোদ নিজেও ম্যাচের আগে অনুশীলন করেন না। মাঠে এসে জগিং করে হালকা গা ঘামান। দলের বাকিদের অনুশীলন দেখেন। সুদর্শনও সেই নিয়ম মেনে চলেন। চতুর্থ টেস্টের আগে সুদর্শনকে একাধিক বার পিচ পরীক্ষা করতে দেখা গিয়েছে। প্রথম বার পিচ ঢাকা থাকার সময়। আর দ্বিতীয় বার কভার তুলে নেওয়ার সময়। এতেই বেড়েছে তাঁর খেলার সম্ভাবনা। 

এদিকে লর্ডস টেস্টে তীরে এসে তরী ডুবেছে। ২২ রানে হারতে হয়েছে ভারতকে। চতুর্থ ইনিংসে লক্ষ্য ছিল ১৯৩ রান। ১৭০ রানে শেষ হয়ে যায় ভারতের দ্বিতীয় ইনিংস। জাদেজার লড়াই শেষ পর্যন্ত কাজে আসেনি। 


লর্ডস টেস্ট জিততে পারত টিম ইন্ডিয়া। এমনটাই মনে করেন প্রাক্তন ক্রিকেটার ও কোচ রবি শাস্ত্রী। যদি নীতীশ কুমার রেড্ডি ও জাদেজার মধ্যে এক জন একটু চালিয়ে খেলতে পারতেন। ১৯৩ রান তাড়া করতে নেমে এক সময় ৮২ রানে সাত উইকেট পড়ে গিয়েছিল টিম ইন্ডিয়ার। অষ্টম উইকেটে রেড্ডি ও জাদেজা ৩০ রান যোগ করেন। তবে রানের গতি বাড়াতে পারেননি। শাস্ত্রীর মতে, এই দুই ক্রিকেটারের মধ্যে অন্তত এক জনকে দায়িত্ব নিয়ে রানের গতি বাড়াতে হত। নিজের ইউটিউব চ্যানেলে শাস্ত্রী বলেছেন, ‘‌লাঞ্চের আগে জাদেজা ও রেড্ডি ব্যাট করছিল। বল তখন শক্ত ছিল। ফিল্ডাররাও উপরের দিকে ছিল। বল একবার নরম হয়ে গেলেই সমস্যা। যে কোনও সময় চালাতে গিয়ে আউট হওয়ার ঝুঁকি থেকেই যায়। আর তাই লাঞ্চের আগেই যদি দ্রুত ৪০ টা রান তুলে ফেলতে পারত রবীন্দ্র জাদেজা ও নীতীশ কুমার রেড্ডিরা। তাহলে ম্যাচের ফল অন্যরকম হতেই পারত। দ্রুত কিছু রান তুলে তারপর ডিফেন্সিভ খেললেই হত। ঠিক যেরকম খেলছিল ওরা। সেটাই আর একটু পরে শুরু করলেই হত।’‌