আজকাল ওয়েবডেস্ক: বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ (WTC) ফাইনাল আগামী ২০৩১ সাল পর্যন্ত ইংল্যান্ডেই অনুষ্ঠিত হবে। এমনটাই ঘোষণা করল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (ICC)। রবিবার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছে। চ্যাম্পিয়নশিপ শুরু হওয়ার পর থেকেই ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড সফলভাবে এই ফাইনাল ম্যাচগুলোর আয়োজন করে এসেছে। ২০২১ সালে সাউদাম্পটন, ২০২৩ সালে দ্য ওভাল এবং ২০২৫ সালে লর্ডস, এই তিনটি ভেন্যুতে ফাইনাল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আইসিসির বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ২০২৭, ২০২৯ এবং ২০৩১ সালের আইসিসি ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালের জন্য ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ডকেই আয়োজক হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে। পূর্ববর্তী সফল আয়োজনের অভিজ্ঞতা এবং ইংল্যান্ডের গ্রীষ্মকালীন সময়ের উপযোগী আবহাওয়াই এই সিদ্ধান্তের কারণ। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড এই প্রতিযোগিতার ফাইনাল ভারতে নিয়ে আসতে আগ্রহী থাকলেও, নিকট ভবিষ্যতে তা বাস্তবায়ন হচ্ছে না বলেই মনে করা হচ্ছে। এর আগে ২০২৩ সালে ফাইনাল জয়ী অধিনায়ক প্যাট কামিন্স এবং ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক রোহিত শর্মা ফাইনালের ভেন্যু পরিবর্তনের পক্ষে সওয়াল করেছিলেন।
এর আগে প্রকাশিত হওয়া এক রিপোর্ট অনুযায়ী, ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (ICC) আগেই ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ডকে (ECB) জানিয়ে দিয়েছিল যে, পরবর্তী তিনটি চক্রের ফাইনালও ইংল্যান্ডেই আয়োজন করার ইচ্ছা রয়েছে তাদের। ভারত একাধিকবার এই ফাইনাল ভারতে আয়োজন করার প্রস্তাব দিয়েছে। তবে ২০২৭, ২০২৯ এবং ২০৩১ সালের ফাইনালও ইংল্যান্ডেই অনুষ্ঠিত হবে বলে অনুমোদন পেতে চলেছে। এমনটাই বলা হয়েছিল ওই রিপোর্টে। তবে বৈঠকে নেওয়া সিদ্ধান্ত এখানেই শেষ নয়।
আইসিসির বার্ষিক সম্মেলনে আরও বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আইসিসি ঘোষণা করেছে, আফগানিস্তান থেকে বিতাড়িত মহিলা ক্রিকেটারদের জন্য একটি উচ্চমানের প্রশিক্ষণ ও ম্যাচ খেলার সুযোগ সৃষ্টি করা হবে। এই প্রকল্পে অংশ নিচ্ছে বিসিসিআই, ইসিবি এবং ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। ২০২৫ সালে ভারতে অনুষ্ঠিত হতে চলা মহিলা ওডিআই ক্রিকেট বিশ্বকাপ ও ২০২৬ সালে ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত হতে চলা মহিলা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তাদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করাই এই উদ্যোগের লক্ষ্য। বেশ কিছু নতুন মুখও এবার থেকে দেখা যাবে আইসিসি চিফ এক্সিকিউটিভস কমিটিতে। আইসিসি চিফ এক্সিকিউটিভস কমিটিতে অ্যাসোসিয়েট দেশ থেকে তিনজন নতুন সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁরা হলেন, গুরুমূর্তি পালানী (ফ্রান্স, অনুরাগ ভাটনাগর (ক্রিকেট হংকং) এবং গুরুদীপ ক্লেয়ার (ক্রিকেট কানাডা)। এছাড়াও আইসিসির সদস্যপদ পেল দুটি নতুন ক্রিকেট বোর্ড টিমোর লেস্তে ক্রিকেট ফেডারেশন এবং জাম্বিয়া ক্রিকেট ইউনিয়ন। এই নিয়ে আইসিসির মোট সদস্য সংখ্যা দাঁড়াল ১১০।
