আজকাল ওয়েবডেস্ক: সদ্য শেষ হয়েছে ক্লাব বিশ্বকাপ। পিএসজিকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে চেলসি। তবে ক্লাব বিশ্বকাপ শেষের পর এক বড় ভবিষ্যদ্বাণী করে বসল এআই। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ২০৬১ সাল পর্যন্ত ক্লাব বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করে দিয়েছে।
কিন্তু সেখানেই রয়েছে বড়সড় চমক। এআইয়ের করা ভবিষ্যদ্বাণীতে বলা হয়েছে, ২০৫৭ সালের আগে বার্সেলোনা ক্লাব বিশ্বকাপ জিততে পারবে না। আগামী ৩৬ বছরে ক্লাব বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়নের নাম ঘোষণা করেছে এআই।
সেখানে বলা হয়েছে ২০২৯ সালে রিয়াল মাদ্রিদ, ২০৩৩ সালে আল হিলাল, ২০৩৭ সালে বায়ার্ন মিউনিখ, ২০৪১ সালে চেলসি, ২০৪৫ সালে ফ্ল্যামেঙ্গো, ২০৪৯ সালে পিএসজি, ২০৫৩ সালে ক্লাব আমেরিকা, ২০৫৭ সালে বার্সেলোনা, ২০৬১ সালে পালমেইরাস জিতবে।
ক্লাব বিশ্বকাপের ফাইনালে প্যারিস সাঁ জাঁ-র দৌড় থেমে গিয়েছে নিউ জার্সির মেটলাইফ স্টেডিয়ামে।
যে পিএসজি অশ্বমেধের ঘোড়া ছোটাচ্ছিল, তারাই চূর্ণবিচুর্ণ হয়ে গেল ইংল্যান্ডের ক্লাব চেলসির কাছে। কথায় বলে, শেষ ভাল যার সব ভাল তার। শেষটা আর ভাল হল কোথায় প্যারিস সাঁ জাঁ-র!
চেলসি ৩-০ গোলে মাটি ধরাল পিএসজি-কে। প্রথমার্ধেই খেলার ফলাফল হয়ে গিয়েছিল। পিএসজি-র হাত ফস্কে ম্যাচ চলে গিয়েছিল চেলসির সাজঘরে। দ্বিতীয়ার্ধে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারল না পিএসজি। ক্লাব বিশ্বকাপের রং নীল। প্রথমার্ধে জোড়া গোল করেন চেলসি তারকা কোল পালমার। জোয়াও পেদ্রোকে দিয়ে গোল করান তিনি। রাতটা কোল পালমারের।
নিউ জার্সির মেট লাইফ স্টেডিয়ামে উপস্থিত ছিলেন ৮১ হাজার দর্শক। তাঁরা হতবাক। তাঁদের কাছে অবিশ্বাস্য ঠেকছে সব। চেলসির সমর্থকরাও কি বিস্মিত হননি! তিন-তিনটি গোলে হার। তার উপরে দশ জনে নেমে যাওয়া পিএসজি-র কপালে এমন হেনস্থা অপেক্ষা করছিল, তা কি তারাও জানতেন!
৮৫ মিনিটে চেলসির লেফট ব্যাক মার্ক কুকুরেয়ার চুল ধরে তাঁকে টেনে ফেলে দেওয়া হয়। লাল কার্ড দেখেন পিএসজির মিডফিল্ডার জোয়াও নেভেস। ততক্ষণে অবশ্য যা হওয়ার হয়ে গিয়েছে। হতাশা থেকেই কুকুরেয়াকে চুল টেনে ফেলে দেন নেভেসকে। শুরু থেকেই যে চেলসি ঝাঁপিয়ে পড়বে পিএসজি-র উপরে, তা অনুমান কেউই অনুমান করতে পারেননি।
প্রথম ৮ মিনিটের মাথায় পালমার চৈতাবনী দিয়ে যান পিএসজি-র রক্ষণে। ২২ ও ৩০ মিনিটে পালমারের জোড়া গোল। তাঁর দুটো গোল একই ধরনের। চেলসির রাইট ব্যাক মালো গুস্তোর কাছ থেকে বল পেয়ে বাঁ পায়ের শটে গোল করেন। এগিয়ে যায় চেলসি। প্রথম গোলের আট মিনিট মিনিট পরেই পালমারের দ্বিতীয় গোল।
ডান প্রান্ত দিয়ে দৌড়ে পিএসজির রক্ষণে কাঁপন ধরিয়ে পালমার গোল করেন। পিএসজির গোলরক্ষক দোন্নারুম্মা এক্ষেত্রেও বাঁচাতে পারেননি। পোদ্রোর গোলটিও পালমারেরই তৈরি করা। তাঁর ডিফেন্স চেরা পাস ধরে পেদ্রো দোন্নারুম্মাকে পরাস্ত করেন।
ক্লাব বিশ্বকাপে নামার আগেই প্যারিস সাঁ জাঁ জিতে নিয়েছিল চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, লিগ ওয়ান ও ফ্রেঞ্চ কাপ। পিএসজির সামনে সুযোগ ছিল ক্লাব বিশ্বকাপ জিতে দারুণ সফল ভাবে মরশুম শেষ করার। কিন্তু শেষটা আর রঙিন হল না পিএসজির। চেলসির কাছে প্রথমার্ধেই ম্যাচ হেরে বসল প্যারিসের চ্যাম্পিয়ন ক্লাব।
