আজকাল ওয়েবডেস্ক: ভারত পাকিস্তান দুই দেশের মধ্যে যখন উত্তেজনার পারদ চড়ছে ঠিক তখনই লন্ডনের বাইরে পাক হাই কমিশনার অফিসের সামনে বিক্ষোভ দেখান প্রবাসী ভারতীয়রা। এরপরই শুরু হল বিতর্ক।


মানিকন্ট্রোল সূত্রে খবর, লন্ডনের পাক হাইকমিশনার অফিসের বারান্দা থেকে সেখানকার এক সামরিক অফিসার বের হয়ে আসেন। তার হাতে ছিল অভিনন্দন বর্তমানের পোস্টার। এই ভারতীয় বায়ুসেনার অফিসারকেই পাকিস্তান থেকে কূটনৈতিক চাল দিয়ে ফেরত নিয়ে এসেছিল ভারত। সামরিক অফিসারটি অভিনন্দন বর্তমানের পোস্টার হাতে নিয়ে এসে বারান্দা থেকে কুৎসিত অঙ্গভঙ্গি করেন। 


পাকিস্তানের এই অফিসারের নাম কর্নেল তৈমুর রাহাত। তিনি অভিনন্দন বর্তমানের পোস্টার হাতে নিয়ে গলা কাটার অঙ্গভঙ্গি করেন। সামাজিক মাধ্যমে এই ছবি ভাইরাল হতেই নিন্দার ঝড় বয়ে যায়। ক্ষোভ উগরে দেন নেটিজেনরা। 

?ref_src=twsrc%5Etfw">April 25, 2025

 


প্রতিবাদের জায়গা থেকে পাকিস্তানকে সন্ত্রাসের কারখানা বলে উল্লেখ করেন প্রতিবাদীরা। এই প্রতিবাদে সামিল হতে দেখা যায় এক ইহুদীকেও। তিনি বলেন, যেভাবে জঙ্গিরা হামলা করেছে তার প্রতিবাদে তারা সরব হয়েছেন। ভারতের পাশে তারা থাকবেন। 


যে কুৎসিত অঙ্গভঙ্গি করা হয়েছে তাতে এক প্রতিবাদী বলেন, এটি একটি নোংরা মানসিকতার পরিচয়। এর থেকে বোঝা যায় পাকিস্তান কী চায়। এক নেটিজেন লেখেন, এই ধরণের ব্যবহার প্রমাণ করে পাকিস্তানের শিক্ষা কোন দিকে। 


প্রসঙ্গত, শুক্রবার রাতেও পাকিস্তান পোস্ট থেকে ক্রমাগত গুলি ছোঁড়া হয় ভারতীয় পোস্টগুলি লক্ষ্য করে। পরপর দুই রাত এই কাণ্ড ঘটাল পাকিস্তান। ভারতীয় সেনার তরফে এই খবর জানানো হয়েছে। যার উপযুক্ত জবাব দিয়েছে ভারতীয় সেনাও। 


যদিও ভারতীয় সেনা বিবৃতিতে জানিয়েছে, গুলির লড়াইয়ে কোনও হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। সেনা বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘২৫ তারিখ রাতে কাশ্মীরে নিয়ন্ত্রণরেখার ওপার থেকে ভারতে পোস্টগুলি লক্ষ্য করে ক্রমাগত গুলি চালানো হয়। ভারতীয় সেনারাও তার উপযুক্ত জবাব দিয়েছে। তবে হতাহতের কোনও খবর নেই।’ 


এটা স্পষ্ট যে পহেলগাঁও হামলার পর ভারত সরকার হুমকি দেওয়ার পরেও উস্কানি দিতে শুরু করেছে পাকিস্তান। তাই ক্রমাগত গুলি ছুঁড়ে যাচ্ছে।