আজকাল ওয়েবডেস্ক: বাড়ি, দোকান, ফ্ল্যাট বা জমি কেনার খরচ তো রয়েইছে, তার সঙ্গেই যুক্ত হয় স্ট্যাম্প ডিউটির বোঝা। তবে এই খরচ কমানোর আইনি উপায় রয়েছে। এই প্রতিবেদনে সেইগুলিতেই আলোকপাত করা হবে। 

স্ট্যাম্প শুল্ক বা ডিউটি হল সম্পত্তি ক্রয়, বিক্রয় বা হস্তান্তরের উপর রাজ্য সরকার কর্তৃক আরোপিত একটি কর। এটি বাজার মূল্য অথবা সম্পত্তির লেনদেন মূল্যের উপর ভিত্তি করে গণনা করা হয়, যেটি বেশি হয় সেটির উপর প্রযোজ্য। তাহলে, এই করের উপর আইনত সাশ্রয় করার কোনও উপায় আছে কি? উত্তর হল, হ্যাঁ! আসুন আপনার স্ট্যাম্প শুল্ক কমানোর জন্য চারটি আইনি কৌশলে নজর রাখি।

* আপনার স্ত্রী-কে (অথবা অন্য কোনও মহিলা) যৌথ মালিক হিসাবে যুক্ত করুন

স্ট্যাম্প শুল্ক সাশ্রয় করার সবচেয়ে সহজ উপায়গুলির মধ্যে একটি হল, সম্পত্তির মালিক হিসাবে একজন মহিলার অন্তর্ভুক্তি। যেমন আপনার স্ত্রী, মা বা বোন। কারণ, ভারতের অনেক রাজ্য মহিলা ক্রেতাদের জন্য স্ট্যাম্প শুল্কের হারে ছাড় রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ দিল্লিতে, মহিলারা মাত্র ৪ শতাংশ হারে স্ট্যাম্প ডিউটি দেন। যেখানে পুরুষরা স্ট্যাম্প ডিউটি ​​দেন ৬ শতাংশ হারে। মহারাষ্ট্র এবং হরিয়ানার মতো রাজ্যগুলিও একই রকম সুবিধা দিয়ে থাকে। তাই, আপনার স্ত্রী বা অন্য কোনও মহিলা আত্মীয়কে সহ-মালিক হিসাবে অন্তর্ভুক্ত করলে যথেষ্ট পরিমাণ অর্থ সাশ্রয় করতে পারেন।

* সম্পত্তির সঠিক মূল্যায়ন নিশ্চিত করুন

কখনও কখনও, কোনও সম্পত্তির প্রকৃত বাজার মূল্য প্রদত্ত মূল্যের চেয়ে কম থাকে। তবে, স্ট্যাম্প ডিউটি ​​সাধারণত বাজার মূল্য বা লেনদেন মূল্যের উচ্চতরটির উপর গণনা করা হয়। এখানে আপনি সরকারি নির্দেশিকা মূল্য (সার্কেল রেট) প্রকৃত বাজার দরের সঙ্গে তুলনা করুন। যদি আপনি বিশ্বাস করেন যে, বাজার মূল্য আসলে সার্কেল রেট থেকে কম, তাহলে আপনি ন্যায্য মূল্যায়নের জন্য রেজিস্ট্রার বা সংগ্রাহকের অফিসে আবেদন করতে পারেন। যদি আপনার দাবি গৃহীত হয় এবং প্রমাণ মিলে যায়, তাহলে আপনার কম স্ট্যাম্প ডিউটি ​​লাগবে।

* ধারা ৮০সি এর অধীনে কর সুবিধা দাবি করুন

আয়কর আইনের ধারা ৮০সি এর অধীনে, ব্যক্তি এবং হিন্দু অবিভক্ত পরিবার (এইচইউএফ) আবাসিক সম্পত্তি ক্রয় সম্পর্কিত ব্যয়ের উপর ১.৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ছাড় দাবি করতে পারেন। এর মধ্যে স্ট্যাম্প ডিউটি ​​এবং রেজিস্ট্রেশন চার্জ উভয়ই অন্তর্ভুক্ত। তবে, এই সুবিধা কেবলমাত্র সেই আর্থিক বছরে প্রযোজ্য হবে, যখন অর্থ প্রদান করা হয়। এছাড়াও, মনে রাখবেন যে এই ছাড় শুধুমাত্র নতুন আবাসিক সম্পত্তির জন্য বৈধ। বাণিজ্যিক বা পুনঃবিক্রয় সম্পত্তির জন্য নয়।

* স্ট্যাম্প ডিউটি ​​ছাড় পেতে সাশ্রয়ী মূল্যের আবাসন কিনুন

বড় সঞ্চয়ের জন্য সাশ্রয়ী মূল্যের আবাসনে বিনিয়োগ করার কথাও বিবেচনা করা উচিত। অনেক রাজ্য সরকার বাজেট-বান্ধব সম্পত্তির জন্য, বিশেষ করে প্রথমবারের ক্রেতাদের জন্য স্ট্যাম্প ডিউটি ​​ছাড় দেয়। উদাহরণস্বরূপ, দিল্লির সাশ্রয়ী মূল্যের আবাসন প্রকল্পের অধীনে, ৪৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত মূল্যের ফ্ল্যাট কেনার জন্য প্রথমবারের মতো গৃহ ক্রেতাদের স্ট্যাম্প ডিউটি ​​সম্পূর্ণরূপে ছাড় দেওয়া হয়। একইভাবে, মহারাষ্ট্রে, মুম্বই মেট্রোপলিটন অঞ্চলে ৩৫ লক্ষ টাকার কম এবং রাজ্যের অন্যান্য অঞ্চলে ৩০ লক্ষ টাকার কম মূল্যের বাড়ি কেনার ক্ষেত্রে স্ট্যাম্প ডিউটি পুরোপুরি ছাড় থাকে।