আজকাল ওয়েবডেস্ক: আমাদের দেশে লক্ষ লক্ষ পেনশনভোগী আছেন, যাঁদের সরকার প্রতি মাসে পেনশন দেয়। এই পেনশনের অর্থেই তাঁদের জীবন মসৃণ হয়ে ওঠে। অনেকের জন্য, পেনশনই আয়ের একমাত্র উৎস। এমন পরিস্থিতিতে, যদি পেনশন আসা বন্ধ হয়ে যায়, তাহলে তাঁদের সমস্যা বাড়তে পারে। প্রায়শই, লোকেরা তাঁদের পেনশন সম্পর্কিত একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া উপেক্ষা করে, সেই কারণে তাঁদের পেনশন বন্ধ হয়ে যায়।

এরকম ঘটলে, পেনশনভোগীরা বিরক্ত হয়ে ব্যাঙ্ক বা সরকারি অফিসে ঘোরাফেরা করে, কিন্তু ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে যায়। পেনশন সম্পর্কিত কিছু নিয়ম স্থির করা হয়েছে। প্রতিটি পেনশনভোগীকে প্রতি বছর একটি গুরুত্বপূর্ণ নথি জমা দিতে হয়। যদি এই কাজটি সময়মতো না করা হয়, তাহলে ব্যাঙ্ক আপনার পেনশন বন্ধ করে দিতে পারে।

এই নথিটি কেন এত গুরুত্বপূর্ণ?
এই গুরুত্বপূর্ণ নথিটিকে জীবন প্রমাণ পত্র বা জীবন শংসাপত্র (লাইফ সার্টিফিকেট) বলা হয়। প্রতিটি পেনশনভোগীকে বছরে একবার এটি জমা দিতে হয়। আপনি যদি সময়মতো এটি জমা না দেন, তাহলে ধরে নেওয়া হয় যে- পেনশনভোগী আর বেঁচে নেই, এবং সেই কারণে, তাঁর পেনশন বন্ধ হয়ে গিয়েছে। অতএব, এই কাজটি করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

জীবন প্রমাণ পত্র জমা দেওয়ার সহজ উপায়:
সরকার এই প্রক্রিয়াটি সহজ করার জন্য অনলাইন এবং অফলাইন উভয় বিকল্পই দিয়েছে।

১. অনলাইন পদ্ধতি
আপনি ডিজিলকারের মতো অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে আপনার জীবন প্রমাণ পত্র জমা দিতে পারেন। এই কাজটি উমঙ্গ অ্যাপের মাধ্যমেও সহজেই করা যেতে পারে। কিছু ব্যাঙ্ক- ব্যাঙ্কিং সুবিধাও প্রদান করে, যেখানে ব্যাঙ্ক কর্মীরা আপনার বাড়িতে এসে এই প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করতে পারেন।

আরও পড়ুন- পিপিএফ নাকি এসআইপি, কোনটি আপনার কাছে বেশি লাভজনক হতে পারে, দেখে নিন বিস্তারিত

২. অফলাইন পদ্ধতি
আপনি সরাসরি আপনার ব্যাঙ্ক শাখায় গিয়ে আপনার জীবন প্রমাণ পত্র জমা দিতে পারেন।

সময়মতো জমা দেওয়া কেন গুরুত্বপূর্ণ?
জীবন প্রমাণ পত্র জমা না দিলে পেনশন বন্ধ হয়ে যায়। ফলে আপনাকে সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। প্রতি বছর নভেম্বরের মধ্যে জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক। কিছু ক্ষেত্রে, সময়সীমা বাড়ানো হয়। তবে এটি সময়মতো জমা নিশ্চিত করা আপনার দায়িত্ব।

একবার পেনশন বন্ধ হয়ে গেলে, এটি পুনরায় চালু করতে সময় লাগে। এই সময়ে, আপনার চাহিদা মেটাতে আপনার অর্থের অভাব হতে পারে। তাই, প্রতি বছর সময়মতো এটি করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।