আজকাল ওয়েবডেস্ক: অনেকের কাছে স্বপ্ন থাকে যে তার একটি গাড়ি হবে। তবে সামর্থ্যের কারণে সেটা তার হয়ে ওঠে না। অনেকে আবার লোন করে গাড়ি কিনে নেন। ফলে সেখান থেকে প্রতি মাসে তারা ইএমআই দিতে হয়। এরফলে তার মাসের খরচে অনেকটা টান পড়ে।
তবে সেখান থেকে দেখতে হলে এক ব্যক্তি লোন না নিয়েই গাড়ির মালিক হয়েছেন। তিনি ৭ লাখ টাকার একটি গাড়ি কিনেছেন। তার মাসে আয় ৩৪ হাজার টাকা। তবে এজন্য তারা পরিকল্পনা করতে হয়েছে, ধৈর্য্য দেখা হয়েছে এবং নিয়ম মেনে কাজ করতে হয়েছে।
ইন্দোরে এই ব্যক্তির আয় কখনও মাসে ৪০ হাজারের বেশি হয়নি। তবে তিনি হঠাৎ করেই একটি ৭ লাখ টাকার গাড়ি কিনে নেন। সেখানে একটি সাধারণ পরিকল্পনা তিনি করেছেন। তার নিজের ক্রেডিট কার্ড নেই। তবে নিজের গাড়ি কেনার জন্য তিনি প্রতি মাসে ৬ হাজার টাকা করে আলাদাভাবে তুলে রেখেছিলেন। সেই টাকা তিনি বিনিয়োগ করেন মিউচুয়াল ফান্ডে। অন্যদিকে তিনি প্রতি মাসে ২ হাজার টাকা রেকারিং ডিপোজিটে বিনিয়োগ করেন। ফলে সেখান থেকেই তার গাড়ি নেওয়ার স্বপ্নটি পূরণ হয়ে যায়।

এখানেই থেমে থাকেননি এই ব্যক্তি। তিনি ১ লাখ টাকা নিজের রেকারিং ডিপোজিট থেকে পান। নিজের গাড়ি নিতে যাতে কোনও অসুবিধা না হয় সেজন্য তিনি প্রতি ছুটির দিনে একটি ফ্রিলান্সে কাজ করেছেন। সেখান থেকে মাসে তিনি ৫ হাজার টাকা রোজগার করেছেন।
কোনও ক্রিপ্টো নয়, কোনও শেয়ার মার্কেটে বিনিয়োগ নয়। শুধু সঠিকভাবে পরিকল্পনা করে কাজ করা। এটাই ছিল তার চলার পথ। এইভাবে টাকা জমানোর ফলে মিউচুয়াল ফান্ড থেকে তিনি ২.৫ লাখ টাকা জমিয়ে নেন। ২.১ লাখ টাকা রেকারিং ডিপোজিট থেকে পেয়ে যান। নিজের ছুটির দিনের কাজ থেকে তিনি অতিরিক্ত ২ লাখ টাকা পেয়ে যান। এরপর তার প্রতিষ্ঠান থেকে তাকে দীপাবলিতে ৫০ হাজার টাকা বোনাস দেওয়া হয়। নিজের পুরনো স্কুটারটি বিক্রি করে সেখান থেকেও তিনি ১০ হাজার টাকা পেয়ে যান।
এই সমস্ত টাকা তিনি যখন একসঙ্গে নিয়ে আসেন তখন তার কাছে ৭.১ লাখ টাকা চলে আসে। সেখানে তিনি অতি সহজেই নিজের গাড়ির স্বপ্নকে পূরণ করতে পারেন। কোনও মাসিক কিস্তি বা চাপ ছাড়াই তিনি নিজের গাড়ি কিনে নেন।
আরও পড়ুন: ঘুরতে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন, জেনে নিন দেশের কোথায় রয়েছে ভারী বৃষ্টির সতর্কতা
যে ব্যক্তি এই গাড়ি কিনেছেন তিনি জানান, নিজের স্বপ্নকে পূরণ করতে হলে বেশি বেতনের দরকার নেই। সেখানে শুধু পরিকল্পনা করে বিনিয়োগ করলেই সেটি করা যায়য তবে সেজন্য সঠিকভাবে নিজের টাকা বিনিয়োগ করতে হবে এবং নিজের টার্গেট স্থির রাখতে হবে।
তবে এই কাজটি করতে হলে আপনাকে নিজের কাজটি সঠিকভাবে করতে হবে। কোনও অন্যদিকে যদি নিজেকে ব্যস্ত রাখেন তাহলে সেখান থেকে আপনার টার্গেট পূরণ হবে না। সেখান থেকে দেখতে হলে যে ব্যক্তি এই কাজটি করেছেন তার নিজের টার্গেট তিনি অতি সহজেই করে ফেলতে পেরেছেন।

