আজকাল ওয়েবডেস্ক: "রাগ চড়ে মাথায় আমার, আমি তার মাথায় চড়ি" - বাস্তবেও রাগের সঙ্গে এমনই সম্পর্ক বহু মানুষের। রাগ একটি স্বাভাবিক মানবিক আবেগ। কিন্তু অতিরিক্ত রাগ আমাদের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। হঠাৎ করে মারাত্মক রেগে যাওয়ার অভ্যাস যেমন শারীরিক ও মানসিক  স্বাস্থ্যের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে তেমনই নষ্ট করতে পারে সম্পর্কও। তাই, রাগ নিয়ন্ত্রণ করা খুবই জরুরি।

১. গভীর শ্বাস-প্রশ্বাস 
রাগান্বিত বোধ করলেই গভীর শ্বাস নিন। লম্বা শ্বাস হৃদস্পন্দনকে ধীর করে শরীরকে শান্ত করতে সাহায্য করে। ধীরে ধীরে শ্বাস নিন এবং ধীরে ধীরে ছাড়ুন। কয়েকবার একটানা করলেই কিছুটা শান্ত বোধ করবেন।
২. নিজের অনুভূতি প্রকাশ করুন
অনেকেই নিজের মনের কথা সঠিক সময়ে বলতে পারেন না। ধরুন কোনও প্রিয়জনের কথায় বা কাজে আপনি আঘাত পেলেন, তখন সেই অনুভূতি চেপে রাখবেন না। বিশ্বস্ত কারও সঙ্গে আপনার অনুভূতি নিয়ে কথা বলুন। এতে মনের চাপ কমবে।
৩. সমস্যা সমাধান করুন
যে কারণে আপনার রাগ হচ্ছে, সেই সমস্যা নিয়ে মাথা গরম না করে বরং সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করুন। সমাধান খুঁজে বার করতে পারলে রাগ নিজে থেকেই কমে যাবে।
৪. বিশ্রাম নিন
যখন বুঝতে পারবেন মেজাজ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারছেন না, তখন কিছু সময়ের জন্য বিশ্রাম নিন। সম্ভব হলে রোজকার কাজের মাঝে কিছুটা সময় বার করে নিয়মিত ব্যায়াম কিংবা যোগাভ্যাস করুন। এতে রাগ নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। ব্যায়াম করলে শরীরে এন্ডোরফিন নামক হরমোন নিঃসৃত হয়, যা মনকে শান্ত রাখতে সাহায্য করে।
৫. মনোবিদের সাহায্য নিন
যদি কোনও টোটকাতেই কাজ না হয়, তাহলে  রাগ নিয়ন্ত্রণ করতে একজন থেরাপিস্টের সাহায্য নিন। অনেকেই ভাবেন কেবল শারীরিক ব্যথা বেদনা ছাড়া চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার কোনও মানে হয় না। এই ধারণা সম্পূর্ণ ভ্রান্ত। হয়তো মনের গভীরে লুকিয়ে থাকা কোনও যন্ত্রণা আপনাকে বদরাগী করে তুলছে। একজন মনোবিদ সেই গোপন স্থলের আভাস পেতে সক্ষম। পাশাপাশি একজন মনোবিদ রাগ নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রয়োজনীয় কৌশল শিখতেও সাহায্য করতে পারবেন।