আজকাল ওয়েবডেস্ক : ভারতের পরিবেশে কতটা নিজের দাগ কাটতে পারবে লা নিনা। ভারতীয় গবেষকরাও নতুন গবেষণায় দেখেছে যে, দেশের বায়ুর গুণমানও আবহাওয়ার এই দুই 'কন্ডিশন' দ্বারা প্রভাবিত। বেঙ্গালুরু-ভিত্তিক ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ অ্যাডভান্সড স্টাডিজ এবং পুনে-ভিত্তিক ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ট্রপিকাল মেটিওরোলজির গবেষকরা এই গবেষণাটি করেছেন। তাঁরা এই গবেষণায় বলেছেন, ২০২২ সালে শীতকালে ভারতের কিছু শহরে যেমন মুম্বই, বেঙ্গালুরু ও চেন্নাইতে বাতাসের গুণমান ছিল স্বাভাবিকের থেকে অস্বাভাবিক রকম খারাপ। এই রেকর্ড-ব্রেকিং স্পেলের জন্য দায়ি ছিল লা নিনা।

 

অক্টোবর থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত উত্তর ভারতের শহরে , বিশেষ করে দিল্লিতে বায়ুর ঘনত্ব খুব পরিমাণে বেড়ে যায়। বিভিন্ন কারণ যেমন তাপমাত্রা, আর্দ্রতা, বাতাসের ওজন, গতি এবং দিক- বায়ুমণ্ডলের নিম্ন স্তরে দূষণকারীদের আটকে রাখতে ভূমিকা পালন করে। এই কারণগুলি অন্যান্য অঞ্চল থেকে দূষক পরিবহনের জন্যও দায়ী, বিশেষ করে পঞ্জাব ও হরিয়ানায় কৃষি বর্জ্য পোড়ানোর ফলে সৃষ্ট দূষকগুলি দিল্লি এবং পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে পরিবহনের জন্য দায়ি।

 

 

সমুদ্র এলাকাবর্তী জায়গা অর্থাৎ দেশের পশ্চিম ও দক্ষিণাঞ্চলে দূষণের মাত্রা সবসময়ই তুলনামূলকভাবে কম ছিল। সমীক্ষায় বলা হয়েছে যে, গাজিয়াবাদের পিএম ২.৫ ঘনত্ব শীতকালে স্বাভাবিক থেকে প্রায় ৩৩ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে, যখন নয়ডায় ঘনত্ব স্বাভাবিকের চেয়ে ২৮ শতাংশ কম ছিল। দিল্লিতে প্রায় ১০% হ্রাস পেয়েছে। একই সঙ্গে মুম্বইয়ের ঘনত্ব ৩০% বৃদ্ধি পেয়েছে এবং বেঙ্গালুরুতে ২০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।

 

এই অস্বাভাবিক আবহাওয়ার ফলে গবেষকরা গবেষণা করে দেখেন যে, লা নিনা প্রভাবেই এইরকম পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এক গবেষক জানান, গত তিন বছরে এল নিনো ভারতে বায়ুর গুণমানের উপর বিপরীত প্রভাব কিনা তা এখনও পুরোপুরি স্পষ্ট নয়। তবে এবার লা নিনা যে অনেকটাই ভারতের পরিবেশে নিজের ছাপ রেখে যাবে সেটা বেশ স্পষ্ট।