মিল্টন সেন,হুগলি: "হ্যাপা কালি"! নামটা অদ্ভুত কারণ। কথিত আছে, এই পুজো প্রতিষ্ঠার সময় নাকি অনেক হ্যাপা পোয়াতে হয়েছিল। বহু বাধা বিঘ্ন অতিক্রম করে ৩৫৩ বছর আগে সূচনা হয়েছিল এই পুজোর। তাই পুজো শুরুর পর থেকেই ঠাকুরের নাম হয়েছিল হ্যাপা কালী। তার পর থেকে আজও সেই নামেই বিখ্যাত পান্ডুয়ার বেলুন ধাবাসিন গ্রাম পঞ্চায়েতের বেলুন গ্রামে কালী পুজো। কালের নিয়মে একাধিকবার পুজোর আয়োজক উদ্যোক্তা পরিবর্তন হয়েছে। তবে অটুট রয়েছে বহু প্রাচীন এই পুজোর রীতি রেওয়াজ আচার। আজও প্রাচীন রীতি মেনে পুজো হয়। পুজোয় শেষে ঘটা করে পালন করা হয় নিলাম প্রথা। বারোয়ারির বর্তমান সম্পাদক সুদীপ ঘোষ জানিয়েছেন, তন্ত্রমতে হওয়া এই পুজোয় প্রায় ৫০ টির বেশি পাঁঠা বলি দেওয়া হয়। এই পুজোর অন্যতম রীতি, পুজোয় ব্যবহৃত গঙ্গাজল, ফুল, মালা থেকে শুরু করে বলি দেওয়া পাঁঠার মাথা, ফলমূল প্রসাদ সবই নিলাম হয়। আর পুজোর পর দিন সকালে নিলামে ওঠা প্রসাদ নিতে ভিড় জমান বহু মানুষ। শুধু ওই এলাকা নয়, নিলামে অংশ নেন পার্শ্ববর্তী একাধিক গ্রামের বহু মানুষ। প্রাচীন নিয়ম অনুসারে নিলাম থেকে প্রাপ্ত অর্থকে কাজে লাগানো হয় পরের বছর পুজোয়। রবিবার সকালে স্থানীয় গ্রামবাসী সহ দূরদূরান্ত থেকে আসা বহু মানুষ পুজো দেন। আবার পরের দিন, সোমবার সকালে পুজো মেটার পর নিলামেও অংশ গ্রহণ করেন তাঁরা।
ছবি পার্থ রাহা।
ছবি পার্থ রাহা।
