কালীপুজোর আগমনে হাওড়া বেলুড়ে বাজি কিনতে হিড়িক পড়েছে বিখ্যাত ‘বুড়িমা’র বাড়িতে। বুড়িমা ব্র্যান্ড আজ বাজির জগতে এক নামী প্রতিষ্ঠান, যার বাজি কিনতে দেশজুড়ে মানুষ আসেন। এই সময় সকাল থেকে রাত পর্যন্ত দীর্ঘ লাইন দেখা যায় বাজি সংগ্রহের জন্য।
2
7
দেশভাগের পর জীবিকা নির্বাহের লড়াইয়ে এক মহিলা ছোট্ট দোকান খুলেছিলেন বেলুড়ে। সারা বছর নানা জিনিস বিক্রি করলেও কালীপুজোর সময় বাজিই ছিল তাঁর আয়ের মূল ভরসা। এই দোকান থেকেই শুরু হয়েছিল “বুড়িমা” নামের যাত্রা।
3
7
প্রথমে বাজার থেকে বাজি কিনে পাড়ায় বিক্রি করতেন বুড়িমা। এরপর নিজেই বাজি তৈরি শুরু করেন — গুণমান ও সততার জন্য দ্রুত জনপ্রিয়তা পায় তাঁর বাজি। ক্রমে বুড়িমার নাম ছড়িয়ে পড়ে সমগ্র হাওড়া ও কলকাতাজুড়ে।
4
7
বর্তমানে “বুড়িমা বাজি” শুধু হাওড়ার নয়, সারা দেশেরই এক জনপ্রিয় ব্র্যান্ড। বিশেষত দুর্গাপুজোর পর থেকে দীপাবলি পর্যন্ত এই বাজির চাহিদা তুঙ্গে ওঠে। আলো, আকাশ ডিসপ্লে ও শব্দবাজির বৈচিত্র্যে সমৃদ্ধ বুড়িমা ব্র্যান্ড।
5
7
অতিবৃষ্টির কারণে এবছর বাজি তৈরিতে কিছুটা অসুবিধা হয়েছে। ফলে নতুন ভ্যারাইটিজের সংখ্যা কিছুটা কম, তবে পুরনো জনপ্রিয় বাজিগুলোর বিক্রি জমজমাট। তবুও ক্রেতাদের ভিড় ও আগ্রহে কোনো ভাটা পড়েনি।
6
7
বর্তমানে বুড়িমার বাড়িতে ১২ সদস্যের পরিবার বাজি বিক্রির দায়িত্ব সামলান। তাঁদের মধ্যে বুড়িমার প্রপৌত্র সুমিত দাস চতুর্থ প্রজন্মের প্রতিনিধি। তিনি জানান, এবছরও শেষ মুহূর্তে বাজি বিক্রির পুরনো ছন্দ ফিরে এসেছে।
7
7
বুড়িমার চকলেট ও শব্দবাজি একসময় মানুষের হৃদয় জয় করেছিল। আজও সেই ঐতিহ্য বহন করে চলেছে নতুন প্রজন্ম—আনন্দের প্রতীক হয়ে। কালীপুজো মানেই বুড়িমার বাজি—এই বিশ্বাসই বাঙালির উৎসবের অঙ্গ হয়ে উঠেছে।