রিয়া পাত্র
কথিত আছে চাঁদ সওদাগরের বংশধর তাঁরা। বীরভূম থেকে বর্ধমান, সেখান থেকে শোভাবাজার সুতানটি এবং বর্তমানে ৩৩/২ বিডন স্ট্রিটে বসতি দত্তদের। পরিবারের ইতিহাস ঘাঁটলে দেখা যাবে বিডন স্ট্রিটের দত্ত বাড়ির দুর্গা পুজোর থেকে বয়স বেশি কালী পুজোর। এবছর সে বাড়ির কালী পুজোর বয়স হচ্ছে ১৪৯। সাতসকালে দেখা গেল, দুর্গা চালা খোলা হয়েছে, তার পাশেই ধীরে ধীরে গড়ে উঠছে কালী পুজোর চালা। এত বছরের পুজো, তোড়জোড় কেমন? সেই প্রসঙ্গেই অজয় দত্ত শোনালেন পরিবারের ইতিহাসের কথা, পুজোর কথা। এক সময় বীরভূম থেকে তাঁদের পরিবার চলে আসে বর্ধমানে। অনেকেই কারণ হিসেবে সাপের ভয়ের কথা বলে থাকেন। তবে মনে হয় ভাগ্য অন্বেষণের কারণেই জেলা বদলান তাঁরা। বর্ধমান থেকে প্রায় আড়াইশ বছর আগে তাঁরা চলে আসেন সুতানুটিতে। সেখানেই বসতি গড়ে তোলেন গন্ধবণিক পরিবার। দত্ত বাড়িতে কালীপুজো শুরু করেন ভোলানাথ দত্ত। দত্তরা তখন ছিলেন শোভাবাজারের গোলক দত্ত লেনের বাড়িতে। কালীপুজো শুরুর কারণ হিসেবে তিনি জানালেন, "বর্ধমান থেকে শোভাবাজার চলে আসার পরে পরিবারের সচ্ছলতা ছিল না দুর্গাপুজো শুরু করার মত।" শোভাবাজার থেকে দত্তরা আসেন বিডন স্ট্রিটে। দুর্গা পুজোর সঙ্গে কালী পুজোও চলে আসে এই বাড়িতে। দুর্গা পুজো এবার ১১৯ বছরে পড়লেও কালী পুজো তার থেকেও ৩০ বছরের পুরনো। নিয়ম কানুন প্রসঙ্গে অজয় দত্ত জানালেন, "বসতবাড়ির কালীপুজোর মতো নিয়মে হয় পুজো। যেহেতু আমরা অব্রাহ্মণ, নৈবেদ্য দেওয়া হয় চাল, পাঁচ রকমের শস্য, ফল সহযোগে। নিয়ম মেনে হয় হোম।" এখন চলছে তারই প্রস্তুতি। দেড়শ" বছরের প্রাক্কালে ব্যস্ততা ভোলানাথ ধামের ঠাকুর দালান জুড়ে।
কথিত আছে চাঁদ সওদাগরের বংশধর তাঁরা। বীরভূম থেকে বর্ধমান, সেখান থেকে শোভাবাজার সুতানটি এবং বর্তমানে ৩৩/২ বিডন স্ট্রিটে বসতি দত্তদের। পরিবারের ইতিহাস ঘাঁটলে দেখা যাবে বিডন স্ট্রিটের দত্ত বাড়ির দুর্গা পুজোর থেকে বয়স বেশি কালী পুজোর। এবছর সে বাড়ির কালী পুজোর বয়স হচ্ছে ১৪৯। সাতসকালে দেখা গেল, দুর্গা চালা খোলা হয়েছে, তার পাশেই ধীরে ধীরে গড়ে উঠছে কালী পুজোর চালা। এত বছরের পুজো, তোড়জোড় কেমন? সেই প্রসঙ্গেই অজয় দত্ত শোনালেন পরিবারের ইতিহাসের কথা, পুজোর কথা। এক সময় বীরভূম থেকে তাঁদের পরিবার চলে আসে বর্ধমানে। অনেকেই কারণ হিসেবে সাপের ভয়ের কথা বলে থাকেন। তবে মনে হয় ভাগ্য অন্বেষণের কারণেই জেলা বদলান তাঁরা। বর্ধমান থেকে প্রায় আড়াইশ বছর আগে তাঁরা চলে আসেন সুতানুটিতে। সেখানেই বসতি গড়ে তোলেন গন্ধবণিক পরিবার। দত্ত বাড়িতে কালীপুজো শুরু করেন ভোলানাথ দত্ত। দত্তরা তখন ছিলেন শোভাবাজারের গোলক দত্ত লেনের বাড়িতে। কালীপুজো শুরুর কারণ হিসেবে তিনি জানালেন, "বর্ধমান থেকে শোভাবাজার চলে আসার পরে পরিবারের সচ্ছলতা ছিল না দুর্গাপুজো শুরু করার মত।" শোভাবাজার থেকে দত্তরা আসেন বিডন স্ট্রিটে। দুর্গা পুজোর সঙ্গে কালী পুজোও চলে আসে এই বাড়িতে। দুর্গা পুজো এবার ১১৯ বছরে পড়লেও কালী পুজো তার থেকেও ৩০ বছরের পুরনো। নিয়ম কানুন প্রসঙ্গে অজয় দত্ত জানালেন, "বসতবাড়ির কালীপুজোর মতো নিয়মে হয় পুজো। যেহেতু আমরা অব্রাহ্মণ, নৈবেদ্য দেওয়া হয় চাল, পাঁচ রকমের শস্য, ফল সহযোগে। নিয়ম মেনে হয় হোম।" এখন চলছে তারই প্রস্তুতি। দেড়শ" বছরের প্রাক্কালে ব্যস্ততা ভোলানাথ ধামের ঠাকুর দালান জুড়ে।
