১) জাপানে স্থায়ী বসবাসের ক্ষেত্রে সাধারণত ১০ বছর একটানা থাকার প্রয়োজন হয়। এর মধ্যে ৫ বছর কর্মসূত্রে বা যেকোনও পারিবারিক ভিসা থাকতে হয়।
2
9
২) অত্যন্ত দক্ষ পেশাদাররা অনেক আগেই আবেদন করতে পারবেন। এক্ষেত্রে ৭০ পয়েন্ট পেলে ৩ বছর পর, অথবা জাপানের পয়েন্ট-ভিত্তিক পদ্ধতিতে ৮০ পয়েন্ট পেলে মাত্র ১ বছরের মধ্যেই এটি সম্ভব৷
3
9
৩) জাপানি নাগরিক বা স্থায়ী কোনও বাসিন্দাদের সঙ্গে বৈবাহিক সম্পর্কে জড়ালে ভারতীয়রা বিয়ের ৩ বছর এবং জাপানে ১ বছর বসবাসের পর স্থায়ী নাগরিক হতে পারবেন। সেখানে জাপানি নাগরিক বা পিআরধারীদের সন্তানরা ১ বছর পরে আবেদন করতে পারবেন।
4
9
৪) স্থায়ীভাবে বসবাসের ক্ষেত্রে আবেদনকারীদের আর্থিক স্থিতিশীলতা, কোনওরকম অপরাধমূলক রেকর্ড না থাকা, সময়মত কর পরিশোধের পাশাপাশি ভালো আচরণ প্রমাণ করতে হবে।
5
9
৫) প্রয়োজনীয় কাগজপত্র: আবেদনের জন্য একটি বৈধ পাসপোর্ট, আবাসিক কার্ড, কর্মসংস্থান এবং আয়ের প্রমাণপত্র, কর ও সামাজিক নিরাপত্তা শংসাপত্র, জামিনদার নথি এবং প্রযোজ্য ক্ষেত্রে বিয়ে বা পারিবারিক নিবন্ধনের কাগজপত্র প্রয়োজন, সবই জাপানি ভাষায় অথবা আনুষ্ঠানিকভাবে অনুবাদ করা হতে হবে।
6
9
৬) আবেদন প্রক্রিয়া: সমস্ত নথি স্থানীয় ইমিগ্রেশন ব্যুরোতে জমা দিতে হবে। এর সঙ্গে ৮,০০০ ইয়েন (প্রায় ৪,৮০০ টাকা) ফি দিতে হবে এবং এই প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হতে সাধারণত ৪ থেকে ৮ মাস সময় লাগে।
7
9
৭) সুবিধা: স্থায়ী বসবাসের সুযোগের মাধ্যমে ভিসা পুনর্নবীকরণ ছাড়াই জাপানে সীমাহীন থাকার সুযোগ, চাকরি পরিবর্তনের স্বাধীনতা, ব্যাঙ্কিং এবং ঋণের সহজ অ্যাক্সেস এমনকী ভারতীয় নাগরিকত্ব বজায় রেখে স্থিতিশীল জীবন উপভোগ করার সুযোগ পাওয়া যায়। যদিও ভোটাধিকার এবং জাপানি পাসপোর্ট অন্তর্ভুক্ত নয়।
8
9
৮) শর্তাবলী এবং দায়িত্ব: পিআরধারীদের প্রতি বছর কমপক্ষে ৬ মাস জাপানে থাকতে হবে। বিশ্বব্যাপী আয় ঘোষণা করতে হবে এবং নিয়মিত কর দিতে হবে। কারণ দীর্ঘ অনুপস্থিতি বা লঙ্ঘনের ফলে স্থিতি বাতিল হতে পারে।
9
9
৯) জাপান কেন আপনাকে চায়: বয়স্ক জনসংখ্যা এবং ক্রমশ কমতে থাকা কর্মীশক্তির কারণে, জাপান দক্ষ অভিবাসীদের জন্য দরজা খুলে দিচ্ছে। এটি ভারতীয়দের কেবল বসবাসের সুযোগই নয়, বরং কেরিয়ার বৃদ্ধি, সাংস্কৃতিক অভিজ্ঞতা এবং একটি নতুন জীবনধারা গড়ে তোলার সুযোগও প্রদান করছে।