অভিষেকের চপারে আয়কর তল্লাশি প্রসঙ্গে কল্যাণ বলেছেন, এটা অবিশ্বাস্য। ভারতবর্ষের মানুষকে এবার ভাবতে হবে নরেন্দ্র মোদি থাকলে ভারতবর্ষের কী দুরবস্থা হবে। এটা তিনি ভাবতেই পারছেন না। এটা চিন্তা ভাবনার মধ্যে আসে কী করে। ভারতের শুধু জনগণ নয় জুডিশিয়ারির কাছেও তাঁর আবেদন থকবে। ভারতবর্ষের গণতন্ত্র বিরোধীদের কণ্ঠস্বর বাঁচানোর জন্য একমাত্র জুডিশিয়ারই আছে। ভাতরবর্ষের গনতন্ত্রকে যখনই যে সরকার যতবার শেষ করতে চেয়েছে, জুডিশিয়ারি মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। সরকারের বিরুদ্ধে একটার পর একটা রায় হয়েছে। নির্বাচন কমিশন তার নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে পারছে না, তাই ভারতবর্ষের বিচারব্যবস্থার খুব বড় ভূমিকা আছে। দেশের ১৪০ কোটি মানুষ সেই বিচার ব্যবস্থার দিকে তাকিয়ে আছে। বামেরা বলেছে মহিলাদের সুরক্ষায় আত্মমর্যাদা কেন্দ্র গড়া হবে, যা সাংসদ তহবিলের অর্থের এক তৃতীয়াংশ টাকা খরচ হবে।সে প্রসঙ্গে কল্যাণ বলেন, সাংসদ কোটার টাকা শুধুমাত্র সরকারি প্রতিষ্ঠানেই খরচ করা যায়। আধা সরকারি প্রতিষ্ঠানেও খরচ হয়। যারা এ কথা বলেছে তারা হয় আইন না জেনে বলেছে, অথবা সাংসদ হওয়ার শখ জেগেছে কিন্তু আইন জানেন না। না হলে মানুষকে বিভ্রান্ত করার জন্য উদ্দেশ্যমূলকভাবে এই কাজটা করেছেন। শ্রীরামপুর রাম সীতার মন্দিরে পুজো দেওয়া প্রসঙ্গে কল্যাণ বলেন, "মন্দির সংস্কারের জন্য শ্রীরামপুর পুরসভার মাধ্যমে কিছু কিছু টাকা দিচ্ছে। যেহেতু শ্রীরামপুর নামটা এখান থেকেই হয়েছে। ডিপিআর তৈরি করে টেন্ডার ডাকা হয়েছে। রামনবমী নিয়ে রাজনীতি, পশ্চিমবঙ্গের মানুষের কাছে তার কোন মূল্য নেই। ধর্মের বাতাবরণ তৈরি করার চেষ্টা চলছে সারা ভারতবর্ষে। দেশের মানুষ সচেতন, তাঁরা সেটা গ্রহণ করছে না। তুমি ধর্ম করলে ধর্মই করো। আর নাহলে রাজনীতি করলে রাজনীতি করো। ভারতবর্ষের মানুষ ভাবতেই পারছেন না প্রধানমন্ত্রী হঠাৎ মুনি ঋষি সেজে মাথায় গলায় চন্দন লাগিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন কেন। সবকিছুকে মিলিয়ে দিচ্ছেন। বুঝতে পারছেন না কী করবেন? প্রধানমন্ত্রী হবেন নাকি ধর্মীয় গুরু হবেন। তবে ২০২৪ সালের পর ওনাকে কোনও আশ্রমে নিশ্চই যেতে হবে, ওখানেই তাঁকে অধিষ্ঠান করতে হবে।"
