আজকাল ওয়েবডেস্ক: অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং তারপর ইংল্যান্ড। পরপর তিন ম্যাচে হেরে মহিলা বিশ্বকাপের শেষ চারে যাওয়ার রাস্তা আরও কঠিন হল ভারতের। অধিনায়ক হরমনপ্রীত কৌর এবং স্মৃতি মান্ধানার লম্বা পার্টনারশিপে একসময় মনে হচ্ছিল যে ম্যাচ সহজেই জিতে যাবে ভারত।
কিন্তু ফের মিডল অর্ডারের ব্যর্থতার ফল ভুগতে হল টিম ইন্ডিয়াকে। একসময় যেটা রান আ বল ছিল দুই সেট ব্যাটার আউট হতেই ধীরে ধীরে বল এবং রানের তফাৎ বাড়তে শুরু করে। সময় মতো কেউই বাউন্ডারি বের করতে পারেননি।
দুরন্ত বোলিং পরিবর্তন এবং ডেথ ওভারে ফিল্ড প্লেসমেন্টেই বাজিমাত করে দেয় ইংল্যান্ড। শেষ ওভারে দুর্দান্ত বল করেন ইংলিশ স্পিনার লিনসি স্মিথ। ক্রিজে থাকা স্নেহ রানা এবং আমনজ্যোত কৌরকে হাত খুলতেই দেননি।
এই ম্যাচ জিতে নিয়ে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করে ফেলল ইংল্যান্ড। অন্যদিকে, ভারতের আশা থাকলেও তাদের তাকিয়ে থাকতে হবে অন্য দলের দিকেও। দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচ হারার পর ইংল্যান্ড ম্যাচ জিততেই হত হরমনদের।
সেক্ষেত্রে এরপর বাকি থাকা আর দুটি ম্যাচ জিতলেই সেমি নিশ্চিত হয়ে যেত। কিন্তু রবিবার হারার ফলে বাকি দুটো ম্যাচ তো জিততে হবেই সঙ্গে অন্য দলের ফলাফল এবং নেট রান রেটের দিকেও তাকিয়ে থাকতে হবে। এদিন টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় ইংল্যান্ড।
প্রথমে ব্যাট করে রানের পাহাড়ে ফেলে দেওয়াই লক্ষ্য ছিল তাদের। সেই লক্ষ্যে পৌঁছতে দলকে সাহায্য করেন হেদার নাইট এবং ওপেনার এমি জোনস। ২২ রানে বাউমন্ট আউট হওয়ার পর হেদার এবং এমি জোনস লম্বা পার্টনারশিপ গড়েন।
হেদার রান আউট হন ১০৯ রান করে। এমি জোনস করেন ৫৬ রান। অধিনায়ক সাইভার ব্র্যান্টের ৩৮ রান ছাড়া ইংল্যান্ডের লোয়ার মিডল অর্ডারে কেউই সেরকম রান পায়নি। কিন্তু হেদারের শতরানের ইনিংসই বড় রানের লক্ষ্যে এগোতে সাহায্য করে দিয়েছিল ইংল্যান্ডকে।
ভারতের হয়ে চার উইকেট নেন দীপ্তি শর্মা। এদিন ম্যাচে প্রথম উইকেট নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ভারতের হয়ে ১৫০ উইকেট নিলেন তিনি। নির্ধারিত ৫০ ওভারে ইংল্যান্ড তোলে ২৮৮ রান। তাড়া করতে নেমে ভারত শুরুতেই প্রতীকা রাওয়ালকে হারায়।
এদিন রান পাননি তিন নম্বরে নামা হার্লিন দেওলও। চলতি বিশ্বকাপে তাঁর ব্যাট খুব একটা কথা বলেনি। ৩১ বলে ২৪ রান করে ফেরেন হার্লিন। এরপরেই পাল্টা আক্রমণ শুরু করেন ক্রিজে থাকা স্মৃতি মান্ধানা এবং অধিনায়ক হরমনপ্রীত।
কারোর মধ্যেই তাড়াহুড়ো দেখা যায়নি। স্ট্রাইক রোটেট করে সময় মতো বাউন্ডারি বের করে টার্গেটের দিকে এগোচ্ছিলেন তাঁরা। ১২৫ রানের পার্টনারশিপ গড়েন ভারতের অধিনায়ক এবং সহ অধিনায়ক।
৭০ রানের মাথায় হরমনপ্রীত আউট হতেই ফের ঘুরে যায় খেলা। ইংল্যান্ড জানত পার্টনারশিপ ভাঙতে পারলেই ভারত চাপে পড়বে। আর হলও ঠিক তাই। পরের দিকে কেউই ঠান্ডা মাথায় ম্যাচ বের করতে পারলেন না।
হরমন আউট হওয়ার পর দীপ্তি শর্মার সঙ্গে পার্টনারশিপ গড়েছিলেন স্মৃতি মান্ধানা। তিনি ফিরলেন ৮৮ রানে। স্মৃতি ফেরার পর ভারতের একমাত্র ভরসা ছিলেন দীপ্তি এবং রিচা।
চলতি বিশ্বকাপে পিঞ্চ হিটারের ভূমিকায় দেখা গিয়েছে রিচাকে। কিন্ত মাত্র সাত রানের মাথায় আউট হয়ে যায় দীপ্তি এবং রিচা। শেষ ওভারে ভারতের দরকার ছিল ১৪ রান। সেখান থেকে ৪ রানে ম্যাচ হেরে যায় টিম ইন্ডিয়া।
