আজকাল ওয়েবডেস্ক: বর্ডার-গাভাসকর ট্রফিতে ব্যর্থতার পর একাধিক পরিবর্তন আনতে চলেছে বোর্ড। ইতিমধ্যেই দশ দফা নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। গৌতম গম্ভীরের পারফরম্যান্স নিয়েও কাটাছেঁড়া চলছে। গত কয়েক সপ্তাহে ভারতীয় ক্রিকেটে অনেক কিছুই ঘটে গিয়েছে। কিন্তু ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেটার এবং বোর্ডের নির্বাচক কমিটির প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুনীল যোশী মনে করছেন, এখনই আমূল পরিবর্তন আনার কোনও প্রয়োজন নেই। বিশেষ করে কোচিংয়ে। সুনীল যোশী বলেন, 'আমার মনে হয় বর্ডার-গাভাসকর‌ ট্রফির পর এখনই বড়সড় পরিবর্তনের প্রয়োজন নেই। হার মেনে নিতে হবে। ওরা আমাদের থেকে ভাল ক্রিকেট খেলেছে।'

হেড কোচ হিসেবে ছয় মাস কাটিয়ে ফেলেছেন গম্ভীর। কিন্তু উল্লেখযোগ্য কোনও সাফল্য নেই। অনেকেই মনে করছে, সাদা বলের ক্রিকেটে এবং লাল বলের ক্রিকেটে আলাদা কোচ থাকা উচিত। তবে প্রাক্তন নির্বাচক প্রধান এর পক্ষে নয়। স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, আমাদের পাশ্চাত্য সংস্কৃতি অবলম্বন করা উচিত নয়। যোশী বলেন, 'আমাদের পাশ্চাত্য সংস্কৃতির দিকে এগোনো উচিত নয়। আমাদের নিজস্বতা থাকা দরকার। যা আমাদের জন্য মানানসই। কারণ আমাদের অধিকাংশ প্লেয়ার তিন ফরম্যাটেই খেলে। এমন খুব কম প্লেয়ার আছে যারা শুধুমাত্র একটা বা দুটো ফরম্যাটে খেলে। তাই এটা পার্থক্য গড়ে দেবে না।'

টেস্ট এবং একদিনের ক্রিকেটে কোচ হিসেবে এখনও সাফল্য পাননি গম্ভীর। টি-২০ তে রেকর্ড ভাল। মূলত আইপিএলে লখনউ সুপার জায়ান্টস এবং কলকাতা নাইট রাইডার্সের সাফল্যের জন্যই তাঁকে কোচ করা হয়েছে। ক্রিকেটার হিসেবেও সাদা বলের ক্রিকেটে সফল গম্ভীর। ২০০৭ টি-২০ বিশ্বকাপ এবং ২০১১ একদিনের বিশ্বকাপ জয়ী দলের সদস্য তিনি। যোশী মনে করেন, এই পরিসংখ্যানের জন্য কোনও নির্দিষ্ট ধারণা পোষণ করা উচিত নয়। তিন ফরম্যাটের জন্যই কোচ করা হয়েছে তাঁকে। যোশী বলেন, 'দু'জন কোচ থাকলে, তাঁদের দৃষ্টিভঙ্গিও আলাদা হবে। যদিও সবাই পেশাদার। একটা সিরিজের আগে সাদা বলের কোচ দায়িত্ব নেবে। টেস্টের জন্য অন্য একজন কোচ। ট্রেনিংয়ের পদ্ধতি বদলে যাবে। আলাদা কোচ থাকলে অনেক কিছুই বদলে যায়। আমি তাই একাধিক কোচের পক্ষে নয়।' গম্ভীরকে আরও সময় দেওয়ার পক্ষপাতি প্রাক্তন নির্বাচক প্রধান।