আজকাল ওয়েবডেস্ক: চতুর্থ টেস্টে মোক্ষম সময়ে জ্বলে উঠলেন ওয়াশিংটন সুন্দর। মোক্ষম সময়ে কথা বলল ওয়াশিংটন সুন্দরের ব্যাট। 

রবীন্দ্র জাদেজার সঙ্গে ওয়াশিংটন সুন্দর ২০৩ রানের জুটি গড়েন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথম শতরান করলেন ওয়াশিংটন সুন্দর। ২০৬ বলে ১০১ রানে তিনি শেষপর্যন্ত অপরাজিত থেকে যান। নটি বাউন্ডারি ও একটি ছক্কায় সাজানো ছিল তাঁর ইনিংস। 

তামিলনাড়ুর ক্রিকেটারের বাবা এম সুন্দর ছেলের খেলা দেখে দারুণ খুশি। ভারতকে ম্যাচ বাঁচাতে সাহায্য করেছে সুন্দর ইনিংস। কিন্তু সেই সঙ্গে আশঙ্কাও প্রকাশ করেছেন, তাঁর ছেলের দুর্দান্ত পারফরম্যান্স ভুলে যাবেন না তো নির্বাচকরা। 

আরও পড়ুন:  ৬৪ খোপের পৃথিবীতে দিব্যার জয়জয়কার, ভারত পেল প্রথম মহিলা বিশ্বচ্যাম্পিয়ন

এম সুন্দর বলেন, ''ধারাবাহিক ভাবে ভাল পারফরম্যান্স করে চলেছে ওয়াশিংটন। তবে মানুষ ওর পারফরম্যান্স ভুলে যায়, ওকে  এড়িয়ে যায়। অন্য খেলোয়াড়রা নিয়মিত সুযোগ পায়, আমার ছেলের ক্ষেত্রেই অন্য নিয়ম।ওয়াশিংটনের ধারাবাহিক ভাবে পাঁচ নম্বরেই ব্যাট করা উচিত। চতুর্থ টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে যেরকম পাঁচ নম্বরে ব্যাট করে সফল হয়েছে সেরকমই। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টে আমার ছেলেকে নেওয়াই হল না। নির্বাচকদের উচিত ওর পারফরম্যান্স দেখা।'' 

এখানেই শেষ নয়, ওয়াশিংটন সুন্দরের বাবা আরও বলেন, ''একটা বা দুটো ম্যাচে ব্যর্থ হলেই আমার ছেলেকে বাদ দিয়ে দেওয়া হয়। এটা ঠিক নয়। ২০২১ সালে চেন্নাইয়ের ঘূর্ণি উইকেটে ওয়াশিংটন অপরাজিত ৮৫ রানের ইনিংস খেলেছিল। ৯৬ রানে আহমেদাবাদে অপরাজিত ছিল এই ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধেই। ও যদি সেঞ্চুরিও করত এই দুটো ইনিংসে, তবুও ওকে বাদ পড়তে হত। অন্য কোনও খেলোয়াড়ের ক্ষেত্রে কি এমনটা হতো?'' 

ভারত থামল চার উইকেট হারিয়ে ৪২৫ রানে। জাদেজা এবং ওয়াশিংটন পার্টনারশিপ গড়লেন ২০৩ রানের। গিল এবং রাহুল আউট হওয়ার পর ইংল্যান্ডের মনে যে সামান্য আশার প্রদীপ জ্বলেছিল তা সহজেই নিভিয়ে দিলেন দু'জনে। লর্ডসে যে চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছিল এদিন ম্যাচ বাঁচিয়ে ভারত বুঝিয়ে দিল এখনও সিরিজ ফুরিয়ে যায়নি। দ্বিতীয় ইনিংসে ০-২ হওয়ার পর দলের হাল ধরেছিলেন গিল এবং রাহুল। চতুর্থ দিনের শেষে তাঁদের পার্টনারশিপই ম্যাচে রেখেছিল ভারতকে। সমর্থকরা আশা করেছিলেন রবিবার তাঁরা দিনের বেশিরভাগ সময়টা ব্যাট করে বাঁচিয়ে দেবেন ম্যাচ। কিন্তু এদিন দিনের শুরুটা ভাল করলেও স্টোকসের একটা বিষাক্ত বল পিচে পড়ে সোজা কেএল রাহুলের প্যাডে লাগে। তিনি আর ফিরেও তাকাননি, সোজা হাঁটা দেন ডাগ আউটের দিকে। বাকি কাজটা করেন শুভমান গিল, রবীন্দ্র জাদেজা ও ওয়াশিংটন সুন্দর।  

আরও পড়ুন: ম্যাঞ্চেস্টার টেস্ট ড্র করে কী বললেন শুভমন!‌ জানুন ক্লিক করে