কৌশিক রায়: জামশেদপুরে কোয়ার্টার ফাইনাল, যুবভারতীতে সেমিফাইনাল। গোটা ৯০ মিনিট ধরে মোহনবাগানের ফুটবলাররা যাই খেলে থাকুন না কেন, ম্যাচ যদি টাইব্রেকারে যায়, সেক্ষেত্রে গোটা দল, সমর্থকদের ভরসা বিশাল কাইথ। আর হবে নাই বা কেন? ম্যাচের পর ম্যাচ যেভাবে বিশাল নিজের গ্লাভসে আটকে দিচ্ছেন প্রতিপক্ষকে, তাঁকে নিয়ে এবার আলাদা করে ভাবার সময় এসেছে।
তবে সতীর্থ ফুটবলার, সমর্থকদের কাছে তারকা হয়ে উঠলেও কিপার কাইথ নির্বিকার। কী আবার হয়েছে, কিছুই হয়নি। বাগান কিপারের কথায়, 'আমি শুধু আমার কাজটা করেছি। ফুটবলাররা গোল করতই, আমার ভরসা ছিল ওদের ওপর। আমি ভেবেছিলাম যদি একটা কিংবা দুটো শট আটকে দিতে পারি।' মঙ্গলবার বেঙ্গালুরুর সঙ্গে পেনাল্টি শুট আউটে জোড়া সেভ করেন বিশাল। যার জেরে ডুরান্ডের ফাইনালে সবুজ মেরুন। নিঃসন্দেহে ম্যাচের নায়ক তিনিই।
গ্রেগ স্টুয়ার্ট পেনাল্টি মিসের পর বিশাল জোভানোভিচের শট সেভ না করলে এদিন ফের খেলা গড়াত সাডেন ডেথে। কিন্তু বাঁদিকে ঝাঁপিয়ে দুর্দান্ত সেভ করেন কাইথ। ম্যাচের পর ম্যাচ এভাবে পেনাল্টিতে সাফল্য পাওয়ার রহস্য কী? বিশাল জানান, 'প্র্যাকটিসে আলাদা করে পেনাল্টি অনুশীলন তো করতেই হয়। আমি কৃতিত্ব দেব গোলকিপার কোচকে। টাইব্রেকারের আগে আমাকে বলে দেন, প্রতিপক্ষের কোন খেলোয়াড় কোনদিকে মারতে পারে। সব কিছু ভেবে তারপর পরিকল্পনা সাজাই।'
তাঁর প্রশংসা করেন কোচ মলিনাও। বলেন, 'ম্যাচটা ৯০ মিনিটে জিততে চেয়েছিলাম। কিন্তু সেটা হয়নি। বেঙ্গালুরু ভাল খেলেছে। টাইব্রেকারে বিশাল ভাল সেভ দিয়েছে।' শনিবারে ডুরান্ড কাপের ফাইনালে নর্থ ইস্টের মুখোমুখি হবে মোহনবাগান। সমর্থকরা বেঙ্গালুরু ম্যাচকে খাতায় কলমে ফাইনাল হিসেবে ধরলেও নর্থ ইস্টকে মোটেই সহজ ভাবে নিচ্ছেন না মলিনা। সাফ জানিয়ে দিলেন, ফাইনাল মোটেই সহজ হবে না। তবে আমার লক্ষ্য ৯০ মিনিটের মধ্যে ম্যাচ জেতা।'
