আজকাল ওয়েবডেস্ক: করাচির কেপিটিসি স্পোর্টস কমপ্লেক্সে পাকিস্তান ন্যাশনাল গেমসের ফুটবল সেমিফাইনালের পর পাকিস্তান আর্মি ও ওয়াপদা দলের মধ্যে তীব্র সংঘর্ষের ঘটনা ঘটল।
মাঠেই খেলোয়াড় ও কর্মকর্তাদের মধ্যে প্রথমে বচসা শুরু হলেও তা কিছুক্ষণের মধ্যেই তীব্র হাতাহাতির পর্যায়ে পৌঁছে যায়। দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হন।
জানা গিয়েছে, ওই ফুটবল ম্যাচটি সরাসরি টেলিভিশনের পর্দায় সম্প্রচারিত হচ্ছিল। ফলে, হাতাহাতির ঘটনাটিও পুরোটাই লাইভ টেলিকাস্ট হয়।
ফলে, ফুটবল মাঠে এই সহিংসতার ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। ফলে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয় দেশজুড়ে। তীব্র সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে পাকিস্তান ফুটবল ফেডারেশনকেও।
ঘটনাটির কীভাবে ঘটল তা খতিয়ে দেখতে পাকিস্তান ফুটবল ফেডারেশন (PFF) এবং জাতীয় অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন সরকারি ভাবে তদন্ত শুরু করেছে।
জানা গিয়েছে, ম্যাচে রেফারি খেলা শেষের বাঁশি বাজানোর পরপরই উত্তেজনার সূত্রপাত হয়। আর্মি দলের টানটান জয়ের উদযাপনকে কেন্দ্র করে ওয়াপদা খেলোয়াড়রা প্রতিবাদ জানাতে এগিয়ে যান।
মুহূর্তেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায় এবং দুই দলের খেলোয়াড় ও কর্মকর্তারা মাঠের মধ্যেই একে অপরকে ঘুষি ও লাথি মারতে শুরু করেন।
ভাইরাল হওয়া ম্যাচের ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, কিছু ওয়াপদা খেলোয়াড় অত্যন্ত আক্রমণাত্মক আচরণ করেন এবং ম্যাচ রেফারিকে তাড়া করে।
এমনকী, ম্যাচ রেফারিকে চেঞ্জিং রুম পর্যন্ত তাড়া করা হয়। পরে জানা যায়, রেফারিকে বেধড়ক মারধর করা হয়েছে। তবে অন্যান্য কর্মকর্তা ও খেলোয়াড়রা হস্তক্ষেপ করে তাঁকে কোনওরকমে উদ্ধার করেন।
নয়তো, আরও বাড়াবাড়ি হতে পারত। আর্মি দলের পক্ষে একটি পেনাল্টি দেওয়ার সিদ্ধান্তই মূলত এই উত্তেজনার কারণ বলে জানা গিয়েছে।
ওয়াপদা ফুটবল দল পেনাল্টির সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তীব্রভাবে আপত্তি জানিয়েছিল। লাইভ সম্প্রচারে এই হাতাহাতির ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পরই সোশ্যাল মিডিয়ায় সাধারণ দর্শক থেকে ক্রীড়া বিশ্লেষক সবাই নিন্দা জানাতে থাকেন এবং দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির দাবি করেন।
অনেকে কর্মকর্তাদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। ন্যাশনাল গেমসের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন অনেকেই।
ঘটনার পর পাকিস্তান ফুটবল ফেডারেশনের এক কর্মকর্তা সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে বলেন, ‘আমরা গোটা বিষয়টির ওপর নজর রেখেছি। তবে ন্যাশনাল গেমস পাকিস্তান অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের আওতায় পড়ার কারণে তাদের পক্ষ থেকেও ঘটনার তদন্ত করা হবে।’
তবে তিনি আরও জানিয়েছেন, ‘আমরা নিজেদের পক্ষ থেকেও তদন্ত করব এবং যারা এই সংঘর্ষকে উসকে দিয়েছে বা এতে জড়িত ছিল, সেই খেলোয়াড় ও কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
