আজকাল ওয়েবডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাঁকে ফোন করেছিলেন। কিন্তু মোদির সঙ্গে কথা বলতে চাননি। খবরের ভিতরের খবর দেড় মাসে বাদে প্রকাশ্যে আনলেন ভিনেশ ফোগাত।
প্যারিস অলিম্পিকে পদকের আশা জাগিয়েও খালি হাতে ফিরতে হয়েছে তাঁকে। উলটে লেগেছে কলঙ্কের কালি।
একদিনে তিন কুস্তিগিরকে মাটি ধরিয়ে রুপো নিশ্চিত করে ফেলেছিলেন ভারতের তারকা কুস্তিগির। কিন্তু ফাইনালের দিন সকালে তাঁর ওজন করতেই বিপর্যয় নেমে আসে। জানা যায়, নির্দিষ্ট ওজনের থেকে একশো গ্রাম বেশি ভিনেশের ওজন। তাকে বাতিল করা হয়। হতাশ, ভেঙে পড়া ভিনেশকে ফোন করেন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু সেই ফোন ধরেননি ভিনেশ।
প্যারিস অলিম্পিক অতীত। কুস্তিগির ভিনেশ ফোগাত এখন পুরোদস্তুর রাজনৈতিক নেত্রী হয়ে গিয়েছেন।হরিয়ানার বিধানসভা নির্বাচনে লড়ছেন জুলনা আসন থেকে। সেই ভিনেশ বলছেন, মোদি সেই সময়ে তাঁর সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছিলেন। তবে সরাসরি ফোনটা তাঁকে করেননি মোদি।
ভিনেশ সেই প্রসঙ্গে বলছেন, ''ফোন সরাসরি আমাকে করেননি। এক অফিসিয়াল এসে জানান মোদিজি আমার সঙ্গে কথা বলতে চান। আমি কথা বলার জন্য তৈরিই ছিলাম। কিন্তু আমার উপরে শর্ত আরোপ করা হয়। আমাকে বলা হয়, কথা বলার সময়ে আমার দলের কেউ সেখানে উপস্থিত থাকতে পারবেন না। অন্যদিকে দু'জন লোক আমার আর প্রধানমন্ত্রীর কথাবার্তা রেকর্ড করার জন্য উপস্থিত থাকবেন। সেটা দেওয়া হবে সোশ্যাল মিডিয়ায়। আমি চাইনি আমার কঠিন পরিশ্রম এবং আবেগ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় কেউ উপহাস করুক।''
ভিনেশ ফোগাত এক নিঃশ্বাসে বলেন, প্রধানমন্ত্রী যদি কোনও উদ্দেশ্য না নিয়ে ফোন করতেন এবং দু' জনের কথাবার্তা জনসমক্ষে না আনতেন, তাহলে কথাবার্তা এগোতেই পারত। ভিনেশ বলছেন, ''ক্রীড়াবিদদের কথা যদি প্রধানমন্ত্রী এতটাই ভাবতেন, তাহলে কোনও শর্ত আরোপ করতেন না। রেকর্ডিং করতেন না। মোদিজি জানতেন কথাবার্তা হলে গত দু' বছরের প্রসঙ্গ উঠবে। সেই কারণেই হয়তো আমাকে নিষেধ করা হয় যে আমার দলের কেউ উপস্থিত থাকতে পারবেন না কথাবার্তার সময়ে। তাহলে ওদের পক্ষে এডিট করা সম্ভব হবে।''
