আজকাল ওয়েবডেস্ক: বক্সিং ডে টেস্টে মিরাকেল। মাত্র ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই শেষ ম্যাচ। শনিবার এমসিজিতে অস্ট্রেলিয়াকে ৪ উইকেটে হারায় ইংল্যান্ড। ঐতিহাসিক জয়। পরপর তিন টেস্ট জিতে ৩-০ তে সিরিজ ইতিমধ্যেই জিতেছে অস্ট্রেলিয়া। ঐতিহ্যশালী এমসিজিতে ব্যবধান কমায় ইংল্যান্ড। অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ১৯ টেস্ট ম্যাচ পর জয় পেলেন বেন স্টোকসরা। ইংল্যান্ডের এই জয় বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের টেবিলে প্রভাব ফেলবে। এই ম্যাচের আগে অস্ট্রেলিয়ার জয়ের গড় ছিল ১০০ শতাংশ। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের সাইকেলে এটা অজিদের প্রথম হার। যার ফলে তাঁদের তাড়া করা বাকি দলগুলোর সম্ভাবনা খুলবে। যদিও হার সত্ত্বেও টেবিলে একনম্বরে স্টিভ স্মিথরা। 

টেবিলে অদলবদল না হলেও পয়েন্ট পার্সেন্টেজ ১০০ থেকে ৮৫.৭১ শতাংশ কমেছে। তবে অস্ট্রেলিয়ার ফাইনালে যাওয়া প্রায় নিশ্চিত। তবে অজিদের সঙ্গে নিউজিল্যান্ডের পার্থক্য কিছুটা কমেছে। জয়ের ফলে ১২ পয়েন্ট ইংল্যান্ডের। স্টোকসদের দীর্ঘ পথ পেরোতে হবে। বর্তমানে তাঁদের পয়েন্ট পার্সেন্টেজ ৩৫.১৮ শতাংশ। সপ্তম স্থানে রয়েছে ইংল্যান্ড। ভারত সহ বাকি পাঁচ দলের সঙ্গে দূরত্ব অনেকটাই। অস্ট্রেলিয়ার হারে সবচেয়ে উপকৃত হবে নিউজিল্যান্ড এবং দক্ষিণ আফ্রিকা। অজিরা পয়েন্ট নষ্ট করায়, একনম্বরের লড়াই আবার ওপেন হয়ে গিয়েছে। বর্তমানে ছয় নম্বরে ভারত। পয়েন্ট পার্সেন্টেজ ৪৮.১৫। 

বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালের দৌড়ে এগিয়ে অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ড। প্রথম দুইয়ে প্রবেশ করতে বাকি টেস্টগুলোর মধ্যে প্রায় সবই জিততে হবে টিম ইন্ডিয়াকে। এই জয়ে এখনও ভারতকে টপকে যেতে পারেনি ইংল্যান্ড, তবে গিলদের তাড়া করছে। ভারতের ঘাড়ের ওপর নিশ্বাস ফেলছে ইংল্যান্ড। ৪ জানুয়ারি থেকে সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে অ্যাশেজের শেষ টেস্ট। নিজেদের আধিপত্য বিস্তার করে জয়ে ফিরতে মরিয়া থাকবে অস্ট্রেলিয়া। অন্যদিকে এই মোমেন্টাম বজায় রেখে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের টেবিলে এগিয়ে যেতে চাইবে ইংল্যান্ড। 

প্রসঙ্গত, অ্যাশেজের প্রথমদিন ২০ উইকেট পড়ায়, এমসিজির পিচের সমালোচনা করেন ইংল্যান্ডের প্রাক্তন অধিনায়ক অ্যালিস্টার কুক। তিনি বলেন, 'দুটো দলই কি একটু ভাল ব্যাট করতে পারত? তবে বল সঠিক জায়গায় রাখলে উইকেট পড়ার সম্ভাবনা থাকেই। বোলারদের উইকেট। আমি বোল্যান্ডকে দেখছিলাম। আমি জানি না কিভাবে ওর বলের মোকাবিলা করা সম্ভব। বাঁ হাতিদের বিরুদ্ধে অ্যারাউন্ড দ্য উইকেট বল করছিল। স্ট্যাম্প আক্রমণ করছিল। ডান হাতি হিসেবে আমিও জানি না ওকে কিভাবে সামলাতাম। দ্বিতীয় দিন পিচ তুলনায় কিছুটা পাটা হতে পারে। তবে মাঠকর্মীরা তেমন কোনও আশ্বাস দিতে পারেনি।' শেষপর্যন্ত পিচে কোনও পরিবর্তন হয়নি। মাত্র দু'দিনেই শেষ হয়ে যায় অ্যাশেজের চতুর্থ টেস্ট।