আজকাল ওয়েবডেস্ক: বরাবরই বাজার গরম করার জন্য খ্যাত স্বপনসাধন বসু, ওরফে টুটু বসু। সামনে যদি ডার্বি থাকে, তাহলে তো কথাই নেই। অসুস্থতার জন্য মোহনবাগান ক্লাবে আগের মতো নিয়মত যেতে পারেন না। তবে মনে-প্রাণে যে তিনি আদ্যপান্ত মোহনবাগানি। ডার্বির ৭২ ঘন্টা আগে ইস্টবেঙ্গলকে খোঁচা টুটু বসুর। অস্তমিত সূর্যের সঙ্গে তুলনা করলেন পড়শি ক্লাবের। টুটু বসু বলেন, 'সূর্য ঢলছে। লাল হলুদও ঢলছে। তবে ডার্বি ৫০-৫০। রেফারি নিয়ে বারবার অভিযোগ জানিয়ে লাভ নেই। যেটা সত্যি, সেটা সত্যি। নীতু বলছে আমরা অহেতুক অভিযোগ জানাচ্ছি। পল্টু দা হলে এরকম বলত না। হিসেব করে কথা বলত। তবে আমি মনে করি রেফারির নিরপেক্ষ থাকা উচিত।'
টুটু বসুর এই মন্তব্য ভালভাবে নেননি ইস্টবেঙ্গলের শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকার। পাল্টা জবাব দেন। দেবব্রত সরকার বলেন, 'টুটু বাবু বরাবরই একটু হাস্যকর কথাবার্তা বলে। ভাবলাম, বয়সের সঙ্গে সঙ্গে হয়তো ওনার পরিবর্তন হয়েছে। কিন্তু হয়নি। মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট কোন ক্লাবের লাইসেন্সে খেলে? আমরা কোনও ক্লাবের কাছে মাথা নত করিনি, আত্মসমর্পণ করিনি কোনও ছ'বছর, আট বছরের ক্লাবের কাছে। ঢলে কে পড়েছে এতেই প্রমাণিত হয়।' বাগান সভাপতির রেফারিং নিয়ে কটাক্ষও মেনে নিতে পারেননি ইস্টবেঙ্গলের শীর্ষকর্তা। দেবব্রত সরকার বলেন, 'টুটু বাবু বয়সে আমার থেকে অনেক বড়, কিন্তু ময়দানে আমার থেকে অনেক জুনিয়র। যখন মোহনবাগান ক্লাবের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন, আমি তখন থেকেই দেখছি উনি রেফারিং নিয়ে কথা বলেন। তাই ওনার মুখে এইসব মানায় না। আমরা যে রেফারিং নিয়ে ভুগছি সেটা সংবাদমাধ্যমের রিপোর্টেই প্রমাণ। আমাকে কে আক্রমণ করবে? টুটু বাবুর কী ক্ষমতা আছে আমাকে আক্রমণ করার? আমাকে আক্রমণ করতে কামান লাগবে। টুটু বাবুর দরকার হয় নাকি!' ডার্বির ৭২ ঘন্টা আগেই তাপমাত্রা বাড়িয়ে দিলেন দুই প্রধানের কর্তারা। এদিন বাংলার সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ভবানীপুর ক্লাবের অ্যাকাডেমি চালু করার ঘোষণা করেন টুটু বসু।
