আজকাল ওয়েবডেস্ক: একদিন পরই বিশ্বক্রিকেটের সবচেয়ে হাইভোল্টেজ ম্যাচ। তার আগে চারিদিক থেকে পাকিস্তান ম্যাচ বয়কটের ডাক আসছে। এতদিন পর্যন্ত এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করা হয়নি টিম ইন্ডিয়ার পক্ষ থেকে। এবার এই প্রসঙ্গে মুখ খুললেন সীতাংশু কোটাক। টিম ইন্ডিয়ার ব্যাটিং কোচ দাবি করেন, কেন্দ্রীয় সরকারের নতুন নিয়ম অনুযায়ী বোর্ড পাকিস্তান ম্যাচ খেলতে রাজি হয়ে যাওয়ার পর তাঁদের ফোকাস শুধুমাত্র ক্রিকেটে। রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে তাঁরা ভাবছেই না। সীতাংশু কোটাক বলেন, 'বিসিসিআই কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশ মতো চলার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় পর থেকে আমরা শুধুমাত্র ক্রিকেটে ফোকাস করেছি। ভারত বনাম পাকিস্তান ম্যাচ সবসময়ই আকর্ষণীয় হয়। এই ম্যাচ সবসময় প্রতিযোগিতামূলক।' আইসিসি অ্যাকাডেমি গ্রাউন্ডে ভারতীয় দলের ট্রেনিং চলাকালীন এই মন্তব্য করেন টিম ইন্ডিয়ার ব্যাটিং কোচ।
এমন পরিস্থিতিতে কি ক্রিকেটাররা সম্পূর্ণ ফোকাস ধরে রাখতে পারবে? পরিস্থিতি তাঁদের ওপর প্রভাব ফেলবে না? ভারতের ব্যাটিং কোচের দাবি, পরিস্থিতি দলকে প্রভাবিত করবে না। কোটাক বলেন, 'প্লেয়ারদের ফোকাস মাঠে। তাঁদের মাথায় অন্য কিছু নেই।' কয়েকদিন আগে পাকিস্তান ম্যাচ বয়কটের দাবি করেছিলেন হরভজন সিং। কেন্দ্রীয় সরকারের প্রসঙ্গ তুলে ম্যাচ না খেলার কথা জানিয়েছিলেন। 'রক্ত এবং জল একসঙ্গে বইতে পারে না। আমরা ওদের কেন এত গুরুত্ব দিই?' এশিয়া কাপে ভারত-পাকিস্তান প্রসঙ্গ উঠতেই কোনও রাখঢাক না করে এই জবাব দেন হরভজন। স্পষ্ট জানিয়ে দেন, পাকিস্তান ম্যাচ বয়কট করা উচিত। সদ্য কিংবদন্তিদের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের অঙ্গ ছিলেন ভাজ্জি। যেখানে গ্রুপ পর্ব এবং সেমিফাইনালে পাকিস্তানের সঙ্গে খেলতে চায়নি ভারতের ক্রিকেটাররা। সেই দলে ছিলেন শিখর ধাওয়ান, যুবরাজ সিং, হরভজন সিং, ইরফান পাঠান, সুরেশ রায়না এবং ইউসুফ পাঠান। পহেলগাঁওয়ে জঙ্গিহানার ফলস্বরূপ এমন প্রতিক্রিয়া দেখান ভারতের কিংবদন্তিরা। হরভজনের কাছে, দেশ সবার আগে। তিনি মনে করেন, সূর্যকুমার যাদবদেরও উচিত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে না খেলা।
ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেটার মনোজ তিওয়ারিও ভারত-পাক ম্যাচের বিরোধিতা করেন। সর্বভারতীয় সংবাদসংস্থায় এক সাক্ষাৎকারে মনোজ বলেন, 'এই ম্যাচটা হবে ভেবে আমি খুবই অবাক হচ্ছি। পহেলগাঁওয়ে জঙ্গিহানায় এতজন নিষ্পাপ মানুষ প্রাণ হারাল। তারপর প্রায় যুদ্ধ লেগে গিয়েছিল। তখন অনেক কথা হচ্ছিল। বলা হচ্ছিল, এবার যোগ্য জবাব দেবে ভারত। কিন্তু এত কিছু সত্ত্বেও, কয়েক মাস কাটতেই সবাই সবকিছু ভুলে গিয়েছে। আমি মানতে পারছি না, এই ম্যাচটা হচ্ছে। ভাবতে পারছি না, মানুষের প্রাণের মূল্য শূন্য হতে পারে। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে খেলে কী পেতে চাই আমরা? খেলার থেকে মানুষের প্রাণের মূল্য অনেক বেশি হওয়া উচিত। ম্যাচটা দেখার কোনও প্রশ্নই নেই।' ভারত-পাক ম্যাচ হলেও টিকিট নিয়ে তেমন উন্মাদনা নেই। মহারণের একদিন আগে পর্যন্তও টিকিট পাওয়া গিয়েছে। যা সচরাচর হয় না।
