আজকাল ওয়েবডেস্ক: চলতি বছরের এশিয়া কাপে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে ওমানকে ২১ রানে হারিয়ে অপরাজিত থেকে সুপার ফোরে পৌঁছে গেল ভারত। আবুধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে জয় নিশ্চিত করার পরও সংবাদ শিরোনামে উঠে এল ভারত অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদবের বক্তব্য। পাকিস্তান ম্যাচ নিয়ে সরাসরি প্রশ্ন করা হলেও তিনি একবারের জন্যও প্রতিবেশী দেশের নাম উচ্চারণ করলেন না। গ্রুপ ‘এ’-তে সংযুক্ত আরব আমিরশাহি, পাকিস্তান এবং ওমানকে হারিয়ে শীর্ষে শেষ করেছে টিম ইন্ডিয়া। রবিবার দুবাইয়ে সুপার ফোরে আবার মুখোমুখি হবে ভারত–পাকিস্তান। ম্যাচ-পরবর্তী প্রেজেন্টেশনে সূর্যকে যখন জিজ্ঞাসা করা হয়, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বড় লড়াইয়ের জন্য দল কতটা প্রস্তুত, তিনি উত্তর দেন, ‘অল সেট ফর সুপার ফোরস।’
অধিনায়ক স্কাই মজার ছলে আরও জানান, তিনি এই ম্যাচে নিজেকে ১১ নম্বরে নামিয়েছিলেন। যার একমাত্র কারণই ছিল যাতে দলে সবাই ব্যাটিংয়ের সুযোগ পান। পাশাপাশি ওমানের লড়াইয়ের প্রশংসা করে সূর্য বলেন, ‘ওমান অবিশ্বাস্য ব্র্যান্ডের ক্রিকেট খেলেছে। ওদের কোচ সুলু স্যারের কারণে ওরা যে লড়াই করবে জানতাম। দারুণ উপভোগ করেছি। অর্শদীপ-হর্ষিতদের হঠাৎ নামতে হয়েছে, ভীষণ গরম ছিল। হার্দিককে আবার খেলা থেকে দূরে রাখা যায় না, ব্যাট-বল, সব জায়গায় ছাপ ফেলল।’ জয়ের পর ভারতীয় শিবিরে ছিল খুশির আবহ। সূর্যকুমারকে ওমানের ক্রিকেটারদের সঙ্গে ছবি তুলতে দেখা যায়, হার্দিক পান্ডিয়াও কয়েকজনকে আলিঙ্গন করেন। অথচ এর ঠিক আগের ম্যাচে পাকিস্তান দলকে সম্পূর্ণ এড়িয়ে চলেছিলেন ভারতীয়রা।
সূর্যকুমার প্রকাশ্যে সলমন আঘার সঙ্গে হাত মেলাননি, যা ঘিরে ইতিমধ্যেই ‘হ্যান্ডশেক কাণ্ড’ নিয়ে শুরু হয়েছে প্রবল বিতর্ক। পিসিবি এই ঘটনায় অভিযোগ দায়ের করে ম্যাচ রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফটকে সরানোর দাবি জানিয়েছিল। তবে আইসিসি তাদের অনুরোধ কার্যত উপেক্ষা করেছে। পাকিস্তান বোর্ড এমনকি টুর্নামেন্ট বয়কটের হুমকিও দেয়। সব মিলিয়ে রবিবার দুবাইয়ে ভারত–পাকিস্তান সুপার ফোর দ্বৈরথ ঘিরে উত্তেজনা তুঙ্গে। শুক্রবার গ্রুপের শেষ ম্যাচে ওমানকে ২১ রানে হারিয়েছে ভারত। তবে যতটা অনায়াসে জেতার কথা ছিল, সেটা হয়নি। বল হাতে লড়াই করার পর, ব্যাট করতে নেমে চমক দেয় ওমান।
প্রথমে ব্যাট করে ৮ উইকেটের বিনিময়ে ১৮৮ রান তোলে ভারত। মনে হয়েছিল, আবু ধাবির মন্থর উইকেটে এই রান তাড়া করতে গিয়ে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়বে ওমানের ইনিংস। কিন্তু রীতিমত লড়াই করে। এদিন ছিলেন না যশপ্রীত বুমরা। বাকি ভারতীয় বোলারদের তেমন তোয়াক্কা করেনি প্রতিপক্ষের অনামী ক্রিকেটাররা। নির্ধারিত ওভারের শেষে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৬৭ রানে শেষ করে ওমান। রান তাড়া করতে নেমে প্রথম উইকেটে ৫৬ রান যোগ করে ওমান। ৩২ রানে আউট হন অধিনায়ক যতীন্দর সিং। দ্বিতীয় উইকেটে ৯৩ রান যোগ করে আমির কালিম এবং হাম্মাদ মির্জা জুটি।
দু'জন ভারতীয় বোলিংকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দেয়। সংযুক্ত আরব আমিরশাহি এবং পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সূর্যকুমাররা সহজে জিতলেও, অপ্রত্যাশিতভাবে ওমান ম্যাচ পুরো ওভার খেলতে হয় টিম ইন্ডিয়াকে। দ্বিতীয় উইকেটে একটা সময় ভারতকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেয় ওমান। জয়ের লক্ষ্যেই এগোনোর চেষ্টা করেন কালিম, মির্জারা। এই জুটিকে ভয়ঙ্কর দেখাচ্ছিল। ৪৬ বলে ৬৪ রান করে কালিম আউট হওয়ার পর ম্যাচ থেকে কিছুটা হারিয়ে যায় মিনোজরা। ২টি ছয় এবং ৭টি চার দিয়ে ইনিংস সাজান ওমানের ওপেনার। ৩৩ বলে ৫১ রান করে আউট হন হাম্মাদ। তবে ওমানের এই লড়াই অন্যান্য অ্যাসোসিয়েট দেশগুলোর কাছে বড় প্রেরণা।
