আজকাল ওয়েবডেস্ক: ভারতীয় টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব জানিয়েছেন, দলে ফিরে ওপেনিংয়ে ব্যাট করার সুযোগ শুভমান গিলের প্রাপ্য ছিল।

কটকে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে প্রথম টি-টোয়েন্টির আগের দিন সাংবাদিক সম্মেলনে সূর্যকুমার বলেন, টিম ম্যানেজমেন্ট তাঁকে সঞ্জু স্যামসনের আগে ওপেনিংয়ে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

একই সঙ্গে তিনি জোর দিয়ে বলেন, স্যামসন এখনও দলের পরিকল্পনার অংশই রয়েছেন। যদিও অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে আগের সিরিজে তাঁকে প্রথম একাদশ থেকে বাদ দেওয়া হয়েছিল।

২০২৩ সালে টি-টোয়েন্টি দলে ফিরে সঞ্জু স্যামসন নিয়মিত ওপেনিংয়ের সুযোগ পেতে শুরু করেন ২০২৪ সালের অক্টোবর থেকে।

পাঁচ ইনিংসে তিনটি সেঞ্চুরি করে তিনি ওপেনার হিসেবে নিজের জায়গা পাকা করে ফেলেছিলেন এবং অভিষেক শর্মার সঙ্গে জুটি গড়ে তুলেছিলেন।

তবে ২০২৫ সালের এশিয়া কাপের আগে দলের ওপেনার হিসেবে শুভমান গিলের নাম ঘোষণাই স্যামসনের অবস্থান বদলে দেয়। গিল ২০২৪ সালের জুলাই পর্যন্ত টি-টোয়েন্টি দলের নিয়মিত সদস্য ছিলেন।

এরপর বছরখানেক তিনি সীমিত ওভারের ছোট ফরম্যাটে খেলেননি। মনোযোগ দিয়েছিলেন ওডিআই এবং টেস্টে, বিশেষ করে টেস্ট দলে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় উঠে আসার পর।

গিল ওপেনিংয়ে ফিরে আসায় স্যামসনকে মিডল অর্ডারে নামানো হয়। কিন্তু সেখানে পাঁচ ইনিংসে তিনি মাত্র একটি অর্ধশতরান করেছেন স্যামসন।

শেষ পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়া সফরে তাঁকে বাদ দিয়ে লোয়ার মিডল অর্ডারে গত আইপিএলে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর হয়ে ফিনিশার হিসেবে নজরকাড়া পারফরম্যান্স করা জিতেশ শর্মাকে।

সঞ্জুকে নিয়ে সূর্যকুমার বলেন, ‘স্যামসন যখন দলে আসে, সে ওপরে ব্যাট করত। ওপেনারদের বাইরে বাকিদের খুব ফ্লেক্সিবল হতে হয়। সে ওপেনিংয়ে দারুণ করেছিল, কিন্তু শুভমান শ্রীলঙ্কা সিরিজেও তার আগে খেলেছে, তাই ওর সেই জায়গা ফিরে পাওয়া উচিত ছিল।’

টেস্ট দলের অধিনায়ক হিসেবে নিযুক্ত হওয়ার পর গিলের টি-টোয়েন্টি-তে ফিরে আসা ছিল সময়ের অপেক্ষা। আগেও তিনি নিয়মিত সুযোগ পেয়েছেন এবং ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে টি-টোয়েন্টি-তে একটি সেঞ্চুরিও করেছেন।

প্রশ্নে সূর্যকুমার বলেন, ‘স্যামসন এখনও দলের প্রথম একাদশে থাকায় প্রতিযোগিতায় অবশ্যই আছে।’ দু’জন ফ্লেক্সিবল উইকেটকিপার-ব্যাটার স্কোয়াডে থাকা দলকে আরও শক্তিশালী করে, বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, ‘আমরা স্যামসনকে অনেক সুযোগ দিয়েছি। সে যেকোনও পজিশনে ব্যাট করতে প্রস্তুত ছিল, ৩ থেকে ৬ যেকোনও জায়গায়। ওপেনার ছাড়া সবাইকে ফ্লেক্সিবল হতে হবে। এটা আমি সব ব্যাটারকে বলেছি। স্যামসন এবং জিতেশ দু’জনই আমাদের পরিকল্পনায় রয়েছে। একজন ওপেন করতে পারে, আরেকজন নিচে নামতে পারে। দু’জনেই সবরকম ভূমিকা পালন করতে পারে। এটা আমাদের জন্য বড় সম্পদ, আর সমস্যাও বটে।’

সূর্যকুমার আরও জানান, ঘাড়ের চোট কাটিয়ে শুভমান গিল সম্পূর্ণ ফিট এবং দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টি-তে নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত।

এশিয়া কাপের পর প্রথমবার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরতে চলেছেন হার্দিক পান্ডিয়াও। এদিন কটকে বারাবাটি স্টেডিয়ামের কন্ডিশন ও উইকেট বুঝে নিতে ভারতীয় দলের অনুশীলন নির্ধারিত ছিল দুপুর ১:৩০ থেকে ৪:৩০ পর্যন্ত।

আগামী বছরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে ভারত আরও দশটি টি-টোয়েন্টি খেলবে, যার মধ্যে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে আসন্ন পাঁচ ম্যাচের সিরিজও অন্তর্ভুক্ত।